চকবাজারে পলিথিন কারখানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান চলাকালে হামলার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি
রাজধানীর চকবাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন কারখানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান চলাকালে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি ও চকবাজার থানা পুলিশ।
২৭ ও ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি. চকবাজার থানাধীন বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিবি ও চকবাজার থানা পুলিশের যৌথ টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। মোঃ হুমায়ুন কবির (২৮), ২। মোঃ আরিফুল ইসলাম (৪০), ৩। আনোয়ার হোসেন খোকন (৪৮), ৪। মোঃ শাহাবুদ্দিন (৪৫), ৫। মোঃ নাজমুল আলম উজ্জ্বল (৩৬) ও ৬। মোঃ সুমন (২৬)।
গত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ সকাল আনুমানিক ১১:০০ ঘটিকায় পুলিশ, র্যাবের সহযোগিতায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তারের নেতৃত্বে একটি দল চকবাজার এলাকায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। অভিযানে পশ্চিম ইসলামবাগের মোঃ কবির হোসেন ও মোঃ ইলিয়াছ সরদারের ভাড়া করা বাসা থেকে মোট ৪০ বস্তা (৪০ মণ, যার আনুমানিক মূল্য দুই লক্ষ ৬৮ হাজার ৭০৩ টাকা) নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে সেসব পলিথিন একটি পিকআপে উঠিয়ে ফেরার পথে ১৫০-২০০ জন ব্যক্তি লাঠি, ইট, লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে তাদের পথরোধ করে এবং সঙ্গে থাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের পরিচালক (উপসচিব) মো. শওকত আলীকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করে। অতঃপর তারা পিকআপে থাকা জব্দকৃত নিষিদ্ধ ৪০ বস্তা পলিথিন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং পিকআপটি ভাংচুর করে। হামলায় আহত পরিচালক মো. শওকত আলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ২৬ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মোতাহের হোসেন বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ছয়জনসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে ডিএমপির চকবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা রুজু হওয়ার পর গত ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫খ্রি. তারিখ রাতে ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে চকবাজার থানা এলাকা হতে মোঃ হুমায়ুন কবির ও মোঃ আরিফুল ইসলাম নামে দুইজনকে এবং ২৮ জানুয়ারি ২০২৫খ্রি. চকবাজার থানাধীন বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে খোকন, শাহাবুদ্দিন, মোঃ নাজমুল হাসান উজ্জ্বল ও মোঃ সুমন নামে আরও চারজনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।