হজরত উম্মে সালমা [রদিয়াল্লাহু আনহা) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল। বেহেশতের হুর সেরা, না দুনিয়ার নারী?

বেহেশতে নারীর অবস্থান
হজরত উম্মে সালমা [রদিয়াল্লাহু আনহা) এব্যাপারটি আমাদের জন্য পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল। বেহেশতের হুর সেরা, না দুনিয়ার নারী?
রাসুল (সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) বললেন, উম্মেসালমা। দুনিয়ার নারীই সেরা।
তিনি নিবেদন করলেন, কেনো হে আল্লাহর রাসুল।
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) বললেন-
بصلوتهن وصيامهن وعبادتهن الله عز وجل
“তার নামাজের কারণে, তার রোজার কারণে, আল্লাহর প্রতি তার আনুগত্যের কারণে।”
اليس الله وجوههن النور البس الله وجوههن النور
“আল্লাহতায়ালার স্বীয় নুর তাদের চেহারায় ঢেলে দেবেন। আল্লাহর নুর দিয়ে তাদের চেহারা জ্যোতির্ময় হয়ে উঠবে।”
তারপর আর জান্নাতিহুর তার সামনে দাঁড়াবে কী করে? শুধু তাই নয়, তাদেরকে খাঁটি রেশম পরানো হবে। আপদমস্তক সোনায় মুড়ানো থাকবে। হুররা তাদেরকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে। তাদের লেহেঙ্গার (পোশাক) বৃত্ত হবে
তিন মাইল। কী আশ্চর্য! তিন মাইল?
আমি অনেকদিন ভেবেছি, তিন মাইল এলাকা পরিবেষ্টিত এতোবড় পোশাক কে বহন করবে? কে তাশুদ্ধ উঠিয়ে নিয়ে যাবে? অনেক পর আমি এর জবাব পেয়েছি যে, জান্নাতের পোশাক, জান্নাতের লেহেঙ্গা তো সুতার হবে না, সিল্কের হবে না, জর্জেটের হবে না। বরং তা হবে নুরের। নুরের তো কোনো ওজন হয় না। সেটা তিন মাইল হোক আর তিনশ মাইল হোক। সেটা ওজনশূন্য হবে। প্রতিটি পোশাকের রঙ, ধরন, বৈচিত্র্য ভিন্ন ভিন্ন হবে। এক একটি পোশাক একেক ধরনের রূপ খুলে দেবে।
আল্লাহতায়ালা এমন সৌন্দর্য, সৌন্দর্যের পূর্ণতা দান করবেন। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি তাকিয়ে থাকবে চল্লিশ বছর পর্যন্ত। তবুও দেখার ‘আশ’ মিটবে না। কারো চোখই তৃপ্ত হবে না।
বই : কোন নারী জান্নাতি
পৃষ্ঠা : ১২৮
মাওলানা জুলফিকার আহমদ নকশাবন্দি
মাওলানা তারিক জামিল।