ভৌগলিকরাজনীতি

‘৯১-এ জামায়াতের সমর্থনে বিএনপির সরকার গঠন এবং

সম্প্রতি বিএনপির একজন সিনিয়র ও দায়িত্বশীল নেতার জামায়াতে ইসলামীকে মুনাফেকি, ৮৬’র বেইমান, রগকাটা এবং বিএনপি কর্তৃক জামায়াতেকে সুবিধা প্রদান সহ আরো কিছু অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয় ও বিতর্কিত কথা বলেছেন। একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ এরকম অসত্য তথ্যপূর্ণ ও এলোমেলো বক্তব্য রাখতে পারেন ভেবে অবাক হই । এসময়ে এরুপ কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত ও কাকে খুশি করতে চান জানি না। তাই বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির সখ্যতা ও বিভাজন এবং অসত্য তথ্য সংবলিত বক্তব্যের জবাবের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্বে আজ ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচন, সরকার গঠন ও বিএনপি জামায়াতের ঐসময়ের সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।

“আমরা যদি ভোটার হতাম ২৭ তারিখ দেখাই দিতাম”
ভোটার না হওয়া কিশোরদের এই শ্লোগান প্রমাণ করে নির্বাচন কতটা উৎসবমুখর হতে পারে।

আমি বলছিলাম ‘৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা। উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন পূর্ব প্রচারণায় শিশু-কিশোররাও অংশগ্রহণ করেছিলো।

১৯৯০’ র ৬ ডিসেম্বর হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের পতনের পর প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়ে প্রাজ্ঞ ও বিচক্ষণ কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে তত্তাবধায়ক সরকার গঠন করে আপিল বিভাগের বিচারপতি আবদুর রউফের মত যোগ্য ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন বিচারপতির উপর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব অর্পণকরে প্রতি কেন্দ্রে ২ জন পুলিশ ও কয়েকজন নিরস্ত্র আনসার দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন।

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৫ টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। ৩০০ আসনের মধ্যে-

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি= ১৪০
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ=৮৮
জাতীয় পার্টি =৩৫
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ =১৮
অন্যন্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বাকি ১৯টি আসনে জয়ী হয়।

উল্লেখ্য যে, ছোট কয়েকটি দলের হেভিওয়েট কয়েকজন নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং সংসদকে প্রাণবন্ত করে রেখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মেনন, গনতন্ত্রী পার্টির সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, এনডিপির সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরী, জাসদ সিরাজের শাহজাহান সিরাজ, বাকশালের মহিউদ্দিন আহমেদ ও আবদুর রাজ্জাক, স্বতন্ত্র সদস্য নুরুল ইসলাম মনি অন্যতম।

২৭ তারিখ নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর থেকে অনেক নাটকীয় ঘটনা শেষে ১১ মার্চ ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলী খানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করে সরকার গঠনে বিএনপিকে সমর্থনের কথা জানালে এক সপ্তাহ পর ১৯ মার্চ বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রেসিডেন্টের নিকট শপথ গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত-সমালোচিত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর ঐ সময়ের ভুমিকা দেশকে সংসদীয় গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে নিতে অসামান্য ভুমিকা রেখেছিলো। যদিও এ দলটির বিভিন্ন সময়ের সিদ্ধান্ত ও ভুমিকায় দলের ভিতর-বাহিরে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। অবশ্য রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষায় “আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্ক রাজনীতির অপরিহার্য অংশ।”

বিএনপিকে জামায়াতের সমর্থনে প্রধান ভুমিকা পালন করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল নুরুদ্দিন খান। তাঁর মধ্যস্হতায় ও উপস্থিতিতে বেগম জিয়ার সাথে অধ্যাপক গোলাম আযমের বৈঠক হয়।

এর আগে সেনাপ্রধানের সাথে তাঁর সরকারি বাসায় অধ্যাপক গোলাম আযমের একাধিক বৈঠক হয় বলে জানা যায়।

জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল (পরবর্তীতে সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক মন্ত্রী) আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের লেখা বই ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলন’ থেকে জানা যায় অধ্যাপক গোলাম আযমের পুরনো বন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ডঃ জি ডব্লিউ চৌধুরী টোটাল বিষয়টি সমন্বয় করেন।

‘আর রেজালু কাউয়ামুনা আ’লান নিছা’ পুরুষরা নারীদের নেতৃত্ব দেবে এই বক্তব্য ও ‘আল্লাহর আইন চাই -সৎ লোকের শাসন চাই’ স্লোগান দিয়ে আব্বাস আলী খানের নেতৃত্বে১৮ টি আসনে বিজয় লাভ করে চমক সৃষ্টি করা জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠনে পর্যাপ্ত আসন না পাওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপিকে ৩ টি শর্তে সমর্থন দেয় বলে জানা যায় (যদিও ৩টি শর্তের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কোন সূত্র পাওয়া যায়নি)।

যদিও জামায়াত নিঃশর্ত সমর্থনের কথা বলে, মূলত গোলাম আজমের নাগরিকত্ব, বগুড়ায় খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেয়া আসনে উপনির্বাচনে জামায়াতকে সমর্থন ও দুইটি সংরক্ষিত মহিলা আসন দেয়া। এই তিনটি শর্তের বিনিময়ে সমর্থন দিলেও (আগেই উল্লেখ করেছি ৩ টি শর্তের কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায় নি) শুধুমাত্র হাফেজা আসমা খাতুন ও খন্দকার রশিদা খাতুনকে সংরক্ষিত মহিলা এমপি করা হয়। বাকি শর্তগুলো বিএনপি এড়িয়ে যায়, ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে জামায়াত কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরার বৈঠক ডেকে অধ্যাপক গোলাম আজমকে আমীর ঘোষণা করে।

গোলাম আযমকে ‘৭১র ঘাতক আখ্যা দিয়ে এবং বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন অভিযোগ তোলে ১৯৯২’র মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেগম জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ গঠন করে গণআদালত বসিয়ে গোলাম আজমকে ফাঁসির রায় দেয়া হয়। জাহানারা ইমামকে চেয়ারম্যান করে গঠিত গণ-আদালতের সদস্যরা ছিলেন –

১. এডভোকেট গাজীউল হক
২. ড.আহমদ শরীফ
৩.স্থপতি মাজহারুল ইসলাম
৪. ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ
৫. ফয়েজ আহমদ
৬. প্রফেসর কবির চৌধুরী
৭. কলিম শরাফী
৮. মাওলানা আবদুল আউয়াল
৯. লে. ক. (অব.) কাজী নুরুজ্জামান
১০. লে. ক. (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী
১১. ব্যারিষ্টার শওকত আলী খান

এই গণআদালতে গোলাম আজমের বিপক্ষে প্রসিকিউটরদের একজন ছিলেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

এই আন্দোলনের নেপথ্যে বিএনপি উস্কানি দিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তৎকালিন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার, শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রী আব্দুল মান্নান ভুইয়া, যোগাযোগ মন্ত্রী অলি আহমেদ , কৃষি সেচ পানি সম্পদ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রী এম মাজেদুল হক, পশু মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমূখ। ‘

২৪ মার্চ ১৯৯২ নিজ বাসা থেকে অধ্যাপক গোলাম আযমকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে বিএনপির ও ছাত্রদলের মিশন হয়ে দাঁড়ায় জামায়াত – শিবির নির্মূল করা।

জামায়াতে ইসলামী তাঁদের আমীরের মুক্তির দাবীতে সারাদেশে সভা-সমাবেশ করে এবং কোথাও কোথাও বিএনপি, সরকার ও ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়।

সিনিয়র নায়েবে আমীর আব্বাস আলী খানকে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত আমীর করা হয়।

অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায়,সুশৃঙ্খলভাবে, নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এবং ব্যাপক জনসমাগম উপস্থিতির মাধ্যমে বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটের রাস্তায় ও সারাদেশে জেলা- উপজেলা পর্যায়ে অধ্যাপক গোলাম আযমের মুক্তির দাবীতে একেরপর এক সমাবেশ করতে থাকে।

গোলাম আযমের মুক্তির দাবীতে ছবি যুক্ত রংবেরঙের পোষ্টারে সারাদেশ (কয়েকটি জেলা বাদে) ছেঁয়ে ফেলা হয়। হাতে আঁকা ছবির পোষ্টারের জন্য ইসলামি মহলে সমালোচিতও হয়েছে।

হাইকোর্টে গোলাম আযমের নাগরিকত্ব পুনর্বহাল ও গ্রেফতার চ্যালেন্জ করে দুটি রিট মামলা করা হয়। মামলা দুটির প্রধান আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র ও বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিষ্টার এ আর ইউসুফ। সহযোগী ছিলেন ব্যারিষ্টার আবদুর রাজ্জাক, এডভোকেট নওয়াব আলী, এডভোকেট (মাওলানা) নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

ঐ সময় জামায়াতের দুজন নায়েবে আমীর প্রবীণ নেতা শামসুর রহমান ও মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখেন।

একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়, জামায়াতের কঠিন সময়ে ‘জাতীয় যুব কমান্ড’, ‘ভারতীয় দালাল প্রতিরোধ কমিটি’ ও ‘দৈনিক ইনকিলাবে’র অসাধারণ ভুমিকা ছিলো। তাঁদের কারো সাথেই এখন জামায়াতের উত্তম সম্পর্ক দেখা যায়না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রয়াত আনোয়ার জাহিদ সাহেবের সাথে মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা ভাইয়ের নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো ও পরামর্শ গ্রহণ করতেন বলে যানা যায়।

৯১ সালের ২৭মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি পন্থী ভিসি প্রফেসর মনিরুজ্জামান মিয়ার আমন্ত্রণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সিন্ডিকেট সদস্যদের মিটিং -এ গেলে ছাত্রদল, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্রলীগ সহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের হামলায় গুরুতর আহত হন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সংসদীয় দলের নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী। ইবনে সিনা হাসপাতালে ২ মাস চিকিৎসা নিয়েও তিনি পুরপুরি সুস্থ হতে পারেননি। এ হামলায় জড়িত একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি জামায়াতের সমর্থনে সরকার গঠন করা বিএনপি।

শুধু তাই নয় খুলনা বিএল কলেজের জিএস মুন্সী আবদুল হালিম, এজিএস আবুল কাসেম পাঠান, সাহিত্য সম্পাদক শেখ রহমত আলী ও খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার এতিম ছাত্র আমানউল্লাহকে নির্মম ভাবে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে কুপিয়ে ছাত্রদল কর্মীরা হত্যা করে। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর জিএস সহ কয়েকজনকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও তৎকালীন একজন মন্ত্রীর ক্যাডার বাহিনীর হাতে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের সাথে সংঘর্ষে ছাত্র মৈত্রী নেতা রিমু হত্যার পরে সংসদে তিনশ বিধিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরী বিবৃতি দেওয়ার পরও নজিরবিহীন ভাবে জামায়াত ও এনডিপির সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরী বাদে বিএনপি সহ সকল দল জামায়াত নিষিদ্ধের দাবী তুলে। বিএনপি দলীয় সদস্য ফরিদা রহমান ও মেজর (অবঃ) আক্তারুজ্জামান দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে হলেও জামায়াত নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দেওয়ার ঘোষনা দেন। সেদিন ডিপুটি স্পিকার হুমায়ন খান পন্নির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জামায়াতের ২০ জন সদস্যের কাউকে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি।

‘ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র উত্তাল আন্দোলনের সময় গোলাম আজম ও জামায়াতকে কটাক্ষ করে তৈরী করা পূর্ণ দৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি “ঘাতক” সেন্সর বোর্ড কর্তৃক ছাড়পত্র না দিলেও প্রধানমন্ত্রীর অফিসের বিশেষ নির্দেশে সেটি মুক্তি পায়।

এইভাবে করে বিএনপি ও সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সারাদেশে ৪৮ জন শিবির নেতাকর্মী ছাত্রদলের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়।

শুধু তাই নয় গোলাম আজমের নাগরিকত্বের দাবীতে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সমাবেশে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে দুর্বৃত্তদের হামলায় শাইজুদ্দিন সহ তিন জন কিশোর শিবির কর্মী নিহত হয়।

একের পর এক জামায়াত শিবিরের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েও সরকার ক্ষান্ত হযনি। হাইকোর্টে গোলাম আজমের নাগরিকত্ব মামলায় সরকারের এটর্ণি জেনারেল আমিনুল হক নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেন।

১৯৯১ সালে জামায়াতের সমর্থনে সরকার গঠন করে বিএনপি বিভিন্নভাবে জামায়াত-শিবিরের উপর নিপিড়ন চালায় এবং পুরো রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মুখোমুখি করে ব্যর্থ শাসকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলো বলে তখনকার নাগরিক সমাজ মনে করতো।

হামদুল্লাহ আল মেহেদী
চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ লেবার পার্টি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button