সুযোগ বুঝে ছাত্রলীগ কখনো ছাত্রদল,এলাকায় পরিচিত চোরা সানি,আতঙ্কে এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরগুনায় মূর্তিমান এক আতঙ্কের নাম সানি মৃধা ওরফে ছ্যাচরা সানি ছিনতাই রাহাজানি চাঁদাবাজি মাদক ব্যাবসা ধর্ষণ রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলা নিয়ে মোট মামলা সংখ্যা ২০। ২০ টি মামলা ই তার যেনো এক বড় হাতিয়ার,প্রশাসন তার কিছুই করতে পারে না বলে অপরাধ এর পরিমান দিন দিন বাড়তেছে।


তার বাবা ছিলেন একসময় জাতীয় পার্টি বরগুনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বড় ভাই ছিলেন বিএনপির ক্যাডার সন্ত্রাস বড় ভাই সুমন পাবলিকের গণধোলাই তে মৃত্যু বরন করেন। বড় ভাইয়ের সাথে ই সানি করতেন বিএনপির রাজনীতি ডজন খানেক মামলা ও আছে তার বিরুদ্ধে হরতাল গাড়ি জ্বালাউ পোরাউ মামলা সহ নানান মামলা। একসময় বরগুনা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিকের সানিধ্যে থেকে সকল অপকর্ম ও সাধারন মানুষকে হয়রানি করে বেরিয়েছে। ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করে নানান রকমের অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে এই ছ্যাচরা সানি। সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক এর হাত ধরে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে বরগুনা পৌর সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি সাগর কর্মকার ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের হাত ধরে রাজনৈতিক মাঠে সক্রিয় ছিলেন, এবং নয়ন বন্ডের মৃত্যুর পরে সুনাম দেবানাথ এর সকল অবৈধ ব্যাবসার পরিচালনা করে আসছিলেন এই সানি মৃধা ওরফে ছ্যাচরা ব্যাদপ সানি।

তবে সানির, নেতা এবং সংগঠন পরিবর্তন যেনো নিত্যদিনের মাছ ভাতের মত,যখন যেই দল ক্ষমতায় আসে সেই দলের হয়ে থেকে কাজ করেন ছ্যাচরা সানি। ৫ আগষ্টের পরে আওয়ামীলীগ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে আছেন সানি ওরফে ছ্যাচরা সানি। বরগুনা জেলা বিএনপির কিছু সংখ্যাক নেতার ছত্রছায়ায় আবার শুরু করেছেন রাহাজানি ছিনতাই সহ মাদক ব্যাবসা সহ নানান রকমের অপরাধ। কিছু দিন আগেও বরগুনায় কর্মরত পুলিশের এক সার্কেল এসপির সাথে রাস্তায় বসে না চিনে উচ্চবাচ্য ব্যাবহার করে ছ্যাচরা সানি।
এছারা ও আমাদের হাতে কিছু রেকর্ড এসেছে যেখানে ছ্যাচরা সানি বিভিন্ন সময় ছাত্রদলের বিভিন্ন নেতাদের হুমকি ধমকি দিতেন এমনকি বরগুনা বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে বসে ছাত্রদলের নেতাদের গায়ে হাত দেওয়া সহ নানান অপরাধ করেছেন। বিভিন্ন সোর্স এ জানা যায় বরগুনার প্রশাসন বার বার ব্যাবস্থা নিয়েও এর থেকে প্রতিকার দিতে পারছে না, বরগুনা সাধারন মানুষকে এমনটা দাবি তাদের এবং ভুক্তভোগী পরিবারদের। তবে এলাকার মানুষ এমনটা আশা করেন যে হয়তো ওর বড় ভাই গণপিটুনিতে মৃত্যু বরন করেছে ওর হাল ও তাই হবে। সানির বিরুদ্ধে থানায় বা কোর্টে মামলা দিলে উল্টো মামলার আসামি হতে হয় ভুক্তভোগীদের, জানা যায় সানির বোন বন্যা বিভিন্ন সময় ধর্ষন মামলা দিয়েছে যাদের কে সানি মারধর করতো। এছারা ও সানির বোন বন্যার সাথে সকল মহল এর সাথে রাতের সম্পর্ক অনেক ভাল থাকার কারনে কেহ তেমন কিছু করতে পারে না।সানির ব্যাপারে আমাদের অনুসন্ধান চলমান আছে। বিশেষ পর্বে বিস্তারিত।