বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের সমন্নয়কের আত্বীয় পরিচয়ে সাংবাদিককে হুমকিঃ ওমেদার রানার ক্ষমতার দাপট কোথায়?

মামুন খানঃ দুর্নীতি ও জাল-জালিয়াতি চক্রের খপ্পর থেকে মুক্ত হতে পারেনি বেশিরভাগ সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। অধিকাংশ জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রার ছাড়াও শত শত ওমেদার, দলিল লেখক ও নকলনবিশদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির
তদন্ত ও মামলার মুখোমুখি অনেকে। কেউ কেউ ইতোমধ্যে জেলও খেটেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গড়িমসি, স্বজনপ্রীতি এবং দুদকের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান ও শাস্তি নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া পদে পদে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
মাতৃভূমির খবর পতৃকার ক্রাইম রিপোর্টার পাথর আহমেদ তেজগাও রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্স এর অনিয়ম ও দূর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট করার উদ্যেশ্যে ধান্মন্ডি সাব রেজিস্টার এর সাথে সাক্ষাত করতে গেলে তাঁর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন ও প্রাননাশের হুমককি দেয় ওমেদার রানা চৌধুরি।
রানা বলেন,”এখানে সাংবাদিকদের কোনো জায়গা নাই, কোনো সাংবাদিক আসতে পারবে না, সাংবাদিক সম্পুর্ন নিষেধ , আমি সমন্নায়ক পরিবারের লোক এখান থেকে চলে যা আর নয়ত সমন্নয়করা আসলে পালানোর পথ পাবি না”।
আরো বেশ কিছু সাংবাদিক এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ধান্মন্ডি সাব রেজিস্টার আবুল হোসেনের বক্তব্য নিতে গেলে জানানো হয় আইন যা আছে সে অনুযায়ী তারা কার্য পরিচালনা করছেন এবং রানার ব্যাবহার ও দায়িত্বে থাকা অবস্থায় হুমকি দেওয়ার মত ব্যাবহারকে পাশ কাটিয়ে তিনি কথার মোড় ঘুরিয়ে তাঁর অধনস্ত ওমেদার রানাকে অপকর্মে আশ্বাস দিয়ে যান।
এদিকে ওমেদার রানা দলিল বা অন্য কার্য থেকে যা অবৈধ আয় করেন তাঁর একটা অংশ সাব রেজিস্টার আবুল হোসেন পেয়ে থাকেন বলে তথ্য বরাত জানা গেছে।
এ বিষয়ে আইজিআর(ইন্সপেক্ট্র জেনারেল অব রেজিস্টার) এ একটি অভিযোগ করা হয়, অভিযোগে স্পষ্ট ভাবে যুবলীগ কর্মীকে সমন্নায়ক পরিচয় দিয়ে ওমেদার রানা তাঁর প্রভাব বিস্তার করছে এবং ঘুষ ও অন্যান্ন অবৈধ লেনদেন এর পরিমান বাড়াচ্ছে।
ওমেদার রানার নামে এর আগেও ভিন্ন ভিন্ন পতৃকায় একাধিক অভিযোগ আসার পরেও এবং ব্যাপক অবৈধ আয়ের ব্যাপারে দুদকে একাধিক অভিযোগ থাকার পরেও এই ওমেদার রানা কিভাবে বহাল তবিয়তে কর্মরত থাকে তা প্রশ্নের বিষয়।