অব্যাবস্থাপনা

সরকারি অর্থায়নে অনিয়মে ইউপি চেয়ারম্যানের উঠান পাকা 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার বুড়িচং  উপজেলার ৫নং পীর যাত্রাপুর  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তাহেরের বিরুদ্ধে গ্রামীণ প্রকল্পের সাদকপুর অধ্যক্ষ আবুল হোসেনের বাড়ির রাস্তা আরসিসি ঢালাই করন প্রকল্পের অর্থে নিজ উঠান পাকাসহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে এই  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহেরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি তার বাড়ির উঠানে একটি সরকারি সড়ক নাম ফলক স্থাপন করেছেন।

 

মূলতঃ ইউনিয়ন পরিষদের নিজ তহবিল টাকা সুকৌশলে আপন ভাইয়ের  নামে সড়কের  বরাদ্দ নিয়ে সড়কের  কাজ না করে  তার বাড়ির  উঠানটি পাকা করা হয়েছে। প্রকল্পের টাকায় চেয়ারম্যান তার নিজের উঠান পাকা করার ক্ষমতা রাখেন কিনা এ বিষয়ে বুড়িচং এলজিইডির উপজেলা ইন্জিনিয়ারের কাছে জানতে মোবাইল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নি। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় এলজিইডির যোগসাজশে আবু তাহের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে অনিয়ম দূর্নীতি চালিয়েছে। 

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আবু তাহেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনি কে ভাই সাংবাদিক পরিচয় পেলে তিনি সাথে সাক্ষাত করতে চান প্রতিবেদক সাক্ষাৎ করতে রাজি না হলে কুমিল্লা জেলার অনেক সাংবাদিক পরিচয় দানকারী ব্যক্তিদের  দিয়ে ফোন করান এবং প্রতিবেদকের সাথে চা খাওয়ার জন্য ফোন ডাকেন । এ প্রকল্পের  বিষয় জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি বার বার এরিয়ে চলেন। 

বিষয়টি নিয়ে পত্র পত্রিকায় যাতে কোন সংবাদ প্রকাশিত না হয় এজন্য স্থানীয় প্রভাবশালী সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই প্রতিবেদক প্রথমে চাপ প্রয়োগ করেন। অবস্থা বেগতিক টের পেয়ে আবু তাহেরের ভাই ব্রাহ্মণ পাড়া শশীদল আবু তাহের কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসেন (স্বরন) কে দিয়ে ফোন করানো হয়। তিনি মুঠোফোনে  অনুরোধ করে বলেন, বিষয়টি আমার ভাই আবু তাহের চেয়ারম্যান আমার ঘরতুলার কথা চিন্তা করে এই সড়কটির আমার নামে বরাদ্দ আনলে ও কিন্তু এখন উঠান পাকা হয়েছে। তিনি আরো বলেন এই সংবাদটি প্রকাশ হলে আমাদের অনেক বড়  ক্ষতি হয়ে যাবে।

 বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ন হওয়ায় এই প্রতিবেদক তার পেশাদারিত্ব বজিয়ে রাখে।বুড়িচং উপজেলা আ. লীগের সি. সহ সভাপতি ছিলেন আবু তাহের। আবু তাহের আ. লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু জাহেরের সাথে ঘনিষ্ঠতা, আ. লীগের ও চেয়ারম্যান পদ-পদবী ব্যবহার করে নিজ ইউনিয়ন পরিষদের ও স্থানীয় ঠিকাদারী কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি চালিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। 

গত ৫ আগষ্টে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আবু তাহের বিপুল অংকের অর্থের বিনিময় স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলের কতিপয় প্রভাবশালী নেতা ও কিছু স্থানীয় সাংবাদিককে ম্যানেজ করে এলাকায়ই রয়েছেন। এ প্রতিবেদক তাকে নিয়ে অনুসন্ধান করছেন টের পেয়ে প্রথমে কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিক দিয়ে হুমকী-ধমকী দেন। এতে এই প্রতিবেদক পেশাগত দায়ীত্বে অটল থাকলে বিষয়টি ধামা-চাপা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ দিকে, গত ৫ আগষ্টের পর আবু তাহের ইউপিতে অনিয়মিত থাকার কারনে জনগুরুত্বপূর্ন কর্মকান্ড থেকে বন্চিত হচ্ছে স্থানীয় জনগন। সরেজমিনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়। তিনি তার বাড়ির উঠানে একটি সরকারি সড়ক শুভ উদ্বোধনী প্লেট বসিয়ে রেখেছেন।  তদন্ত শেষ করে আসার পর হইতে এক শ্রেণির অশাধু ব্যক্তিরা টাকা খেয়ে চেয়ারম্যান সাহেব তিনি সংবাদ দামা চাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। 

ওই ইউনিয়নের নাম না  প্রকাশক করতে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা বলেন  অভিযোগ করে বলেন, তার ভাই অধ্যাপক আবুল হোসেন (স্বরনের) নামে গ্রামীণ এই প্রকল্পের অর্থে নিজ উঠান পাকার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন ভাই যদিও সরকারি বরাদ্দ গ্রামীণ সড়ক তবে এইটার বিষয় যদি আপনি নিউজ করেন তা হলে আমাদের বিশাল ক্ষতি হবে তাই আপনার সাথে বসে একটা খাইতে চাই। এ বিষয়ে অপরাধ বিচিত্রা প্রতিবেদকে কুমিল্লার কিছু সাংবাদিক নেতারা বলেন অপরাধী প্রথম আলো পত্রিকা সাবেক জেলা প্রতিনিধির খালু হয়, শুধু তাই নয় তাহার ক্লাস মেইট হয়।স্থানীয় জনতা প্রতিবেদকে বলেন আপনারা সংবাদ প্রকাশ করবেনা কারণ আপনাদেরকে কিছু টাকা দিলে সংবাদ প্রকাশ করেনা। সাংবাদিক নেতা প্রতিবেদকের সাথে কথা বললে প্রতিবেদক বলেন আমি সংবাদ প্রকাশ করব তখন তিনি বলেন তোমার কত নিউজ লাগবে আমি দিব তুমি এই নিউজ কইরনা। জবাবে অপরাধ বিচিত্রা প্রতিবেদক বলেন তথ্য বহুল সংবাদ প্রকাশ করতে গেলে আপনারা অপরাধী বাচাতে দিশেহারা হয়ে যান কিন্তু কেন পাঠক আপনারাই বলুন তারা লুকিয়ে রাখতে চাচ্ছে। চেয়ারম্যানের ভয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ওয়ার্ড মেম্বারা ও মূখ খুলতে রাজিনন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button