কুমিল্লায় ফুট ওভার ব্রিজের সৃষ্টি হয়েছে মরণ ফাঁদ

রোকসানা আক্তার মজুমদারঃ কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ফুটওভার ব্রিজে সৃষ্টি হয়েছে মরণ*ফাঁদ। পদুয়ার বাজারের তৃষা প্লাটিনা ও ইসলামিয়া হোটেলের পাশ থেকে পায়ে হেঁটে ওঠার লোহার ফুটওভার ব্রিজের সিড়িগুলোতে দীর্ঘদিন মেরামত না করার কারণে লোহা ক্ষয় ও ঝংধরে সৃষ্ট হয়েছে বড় বড় গর্ত, ইসলামিয়া হোটেলের পাশের সিঁড়ি হয়ে ওঠা ও নামার লাকসাম রোডে যাওয়ার পথে আরো ২টি মাঝারি আকারের গর্ত দেখা যায়। লাকসাম রোডে নামা ও উঠার সিঁড়িতে দেখা যায় একটি বড় ধরনের একটি গর্ত।
লাকসাম রোডের ও ইসলামি হোটেলের পাশ হয়ে উঠা এই দুমুখী রাস্তার সিঁড়িগুলোতে সৃষ্ট গর্তগুলো এত বড় যে একজন পায়ে হাঁটা পথচারীর দু’টি পা একসাথে গর্তে ঢুকে যেতে পারে।
লাকসাম রোডের সিঁড়িতে না গিয়ে যদি কোটবাড়ি বিশ্ব রোডের কাউন্টারের দিকে যাওয়া হয় তাহলে এই সমতল পায়ে হাঁটার লোহার যে পাত/ প্লেইটগুলো, ওগুলোতে দেখা যায় কমপক্ষে আরও ৮ থেকে ৯টি বড় ধরনের গর্ত। তাছাড়া একটি প্লেইট/পাত এতটাই নড়নড়ে প্লেইট খসে যদি কোন মানুষ নিচে পড়ে, ব্যস্ত হাইরোডে মূহুর্তে পিষে যেতে পারে গাড়ির চাকায়। পথচারী ৩ থেকে ৪ জনের বক্তব্যের একেকজনের বক্তব্যে উঠে আসে একেক রকমের প্রতিক্রিয়া।
এক পথচারী জানান আমরা আজকে দুই বছর এই বড় বড় গর্তগুলি দেখছি কিন্তু এর কোন সমাধান আজও হয়নি। আমি বাচ্চা কোলে নিয়ে নামছি, যেকোনো মুহূর্তে আমার একটি বা দুটি পা গর্তে ঢুকে যেতে পারে এবং হতে পারে বড় ধরনের এক্সিডেন্ট।
আরেক পথচারী জানান, এত বড় বড় গর্ত মেরামত ছাড়া এভাবে এতদিন ফেলে রাখা মোটেও ঠিক হয়নি, আরো আগেই এগুলো মেরামতের দরকার ছিল।
কুমিল্লা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দঃ গোলাম মোস্তফা অপরাধ বিচিত্রা’র সাংবাদিক রোকসানা আক্তার মজুমদার’কে জানান, এই বিষয়টি আমি অবগত আছি, আমি নিজেও দেখেছি একটি প্লেইট নড়বড়ে আছে, এই ফুড ওভারব্রিজটির টেন্ডার হয়েছে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শুরু করার চেষ্টা করবো।