নির্যাতনের শিকার শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

মাগুরা শহরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অচেতন অবস্থায় সেই শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল রবিউল ইসলাম নয়ন।
অবস্থার অবনতি হলে গতকাল শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। এখনো শিশু”টি অচেতন অবস্থায় আছে। তাকে শিশুদের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) রাখা হয়েছে। গতকাল রাত নয়টার দিকে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
রবিউল ইসলাম নয়ন আরও জানান বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁদের বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায়। শিশুটি স্কুল ছুটি থাকাতে তার বড় বোনের (শ্বশুর) বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে আসেন।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করে দেখা গেছে, শিশুটির গলায় একটা দাগ আছে। মনে হচ্ছে, কিছু দিয়ে চেপে ধরা হয়েছিল। শরীরের বেশকিছু জায়গায় আঁচড় আছে। তার যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী গতকাল সকালে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার পরিবারের সবাই ঢাকায়। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। তিনি জানান, শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর দুলাভাই ও দুলাভাইয়ের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে গত শুক্রবার জুমার পর মাগুরা সদরে মহাসড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন ছাত্র–জনতা। এ সময় থানার মূল ফটক ঘেরাও করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি তোলেন। পরে সেনাবাহিনীসহ যৌথবাহিনী এসে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
উক্ত শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমান তিনি শিশুটির সব কিছু দেখবার করার জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল রবিউল ইসলাম নয়ন”কে দায়িত্ব দিয়েছেন। রবিউল রবিউল ইসলাম নয়ন গণমাধ্যমকে জানান যে তারেক রহমান শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছেন এবং আমি শিশুটির সব কিছু দেখছি চিৎকিসায় যাতে কোন ত্রুটি না হয় আমি সব সময় হাসপাতাল সহ ডাক্তারদের সাথে কথা বলছি। তিনি আরও জানান যে অনেকে মিডিয়াকে ব্যবহার করে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন এই সব থেকে সকলকে বিরত থাকার জন্যও সকলকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন শিশুটির অবস্থা খুবি আসংখ্যা জনক এখনো জ্ঞান ফিরেনি তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে এই কথা জানিয়ে তিনি দেশবাসী সকলের কাছে শিশুটির সুস্থতা কামনার দোয়া চাইছেন।