
ছোটবেলা থেকেই আমার একটা চিন্তা ছিলো, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে একজন নারী উদ্যেক্তা হিসেবে পরিচিতি করে তুলবো ৷ তারপর থেকে আমি ভিভিন্ন ফ্যাশন ডিজাইনারের সাথে কথা বলতে থাকি ।
এক পর্যায়ে দেশাল ফ্যাশন ডিজাইনের সাথে আমার কাজ করার সুযোগ হয়।
সেখানে আমি কুর্তী গাউন এবং লেডিস আইটেম নিয়ে কাজ করি।
লম্বা সময় দীর্ঘ চার বছর তাদের সাথে যুক্ত কাজ করি।
চার বছর দেশালের সাথে কাজ করার পরে আমি বিশ্বরং রাইসার ডিএক্সএল এ কাজ করেছি।
বর্তমানে আমার নিজেরই একটি ফ্যাশন হাউজ রয়েছে যা নিজের নামেই পূর্ণতা ফ্যাশন হাউজ এটা অনলাইন ও অফলাইনে পরিচালনা করছি।
এখন আমার এই ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত আছি নিজেই পরিচালনা করছি।
আমার আশা আমি সারা দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে পূর্ণতা ফ্যাশন হাউস খুলবো।
এবং আমার ইচ্ছা অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়াবো তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো আমার এই ফ্যাশন হাউজের মাধ্যমে।
আমি যদি সরকারের কোন পৃষ্ঠপোষকতা পাই তাহলে এটা আমার পক্ষে অতি দ্রুত সম্ভব হবে।
ফ্যাশন ডিজাইনাররা এমন পোশাক ডিজাইন করার চেষ্টা করেন যা কার্যকরী এবং নান্দনিকভাবেও মনোরম। তারা বিবেচনা করেন কে কোন পোশাক পরবে এবং কোন পরিস্থিতিতে এটি পরা হবে।
ফ্যাশন শিল্পে ডিজাইনারদের কাজের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। ফ্যাশন ডিজাইনাররা যারা ‘ইন-হাউস ডিজাইনার’ হিসেবে ফ্যাশন হাউসে পূর্ণকালীন কাজ করেন।
তারা ডিজাইনের মালিক হন এবং একা অথবা ডিজাইন টিমের অংশ হিসেবে কাজ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্স ডিজাইনাররা যারা নিজের জন্য কাজ করেন তারা তাদের ডিজাইন ফ্যাশন হাউসে, সরাসরি দোকানে বা পোশাক প্রস্তুতকারকদের কাছে বিক্রি করেন। বেশ কয়েকজন ফ্যাশন ডিজাইনার আছেন যারা তাদের লেবেল সেট আপ করতে পছন্দ করেন, যা তাদের ডিজাইনের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে। অন্যরা স্ব-কর্মসংস্থান করে এবং পৃথক ক্লায়েন্টদের জন্য ডিজাইন করেন।
বর্তমানে আমি এর বাইরে অন্য কিছু ভাবি না আমি আমার প্রতিষ্ঠান পূর্ণতা ফ্যাশন হাউজ কিভাবে বিস্তৃতি লাভ করবে সারা দেশে সেটা নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনায় ব্যস্ত আছি।
ফ্যাশন ডিজাইনাররা বিভিন্ন উপায়ে কাজ করেন, কেউ কেউ তাদের মাথায় একটি স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেন এবং পরে কাগজে বা কম্পিউটারে এটি আঁকতে শুরু করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পোশাকের আকারে কাপড় আঁকতে শুরু করেন, যাকে ম্যানেকুইনও বলা হয়। ডিজাইন প্রক্রিয়াটি ডিজাইনারের কাছে অনন্য এবং এই প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপগুলি দেখা বেশ আকর্ষণীয়।
আমি মনে করি পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্যাশান ডিজাইনার হয়ে, যে কোন নারী উদ্যেক্তা হয়ে প্রতিষ্টিত হওয়ার সুযোগ আছে।