পাঁচমিশালি

নারী লোভী মুফতি রফিকুন্নবী হক্কানীর বিরুদ্ধে বিবাহের প্রলোভন দিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

মুহা. মাসুদুন্নবী নূহু: নারী লোভী একাধিক বিবাহকারী মো: রফিকুন্নবী ভাট্টি ওরফে মুফতি রফিকুন্নবী হক্কানী বিবাহের প্রলোভন দিয়ে হারামাইন শরিফের হাজ্বী (হলি মক্কা আল- মিসফালা, ইব্রাহিম আল- খলিল, বেহিনড আরেজ, আল- ফালাহ) হোটেলে টানা ৪-চার দিন এক প্রবাসী নারী রেনু বেগমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়, হজ্ব ব্যবসার আড়ালে নারীর সাথে দেহ ব্যবসা বেশ জমজমাট। এলাকা ও ঢাকা সূত্রে পাওয়া যায় রফিকুন্নবী হক্কানী এপর্যন্ত বিবাহ করেছেন ৭-জন নারীকে। তার প্রথম স্ত্রী গোপালগঞ্জের মেয়ে মাসরুরাহ, সেখানে (তিন মেয়ে ও এক ছেলে) পাঁচ সন্তান আছেন, তবে বড় স্ত্রী এখনো তার সংসারে আছেন বলে জানা যায়। প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় গোপালগঞ্জের আর এক মেয়ে সেনাবাহিনীর স্ত্রী পারভীনের সাথে গভীর প্রেম, তাই সেনাবাহিনী হাসবেন্ডকে তালাক দিতে চাপ সৃষ্টি করেন হক্কানী। তালাক কমপ্লিট হলে, পরবর্তীতে পারভীনকে বিবাহ করেন, পরে ১২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে কয়েক মাস পরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেয়। এ বিষয় নিয়ে কয়েক দফায় স্থানীয়ভাবে সালিশও হয়েছিল, তাদের মধ্যে রনি ভাট্টি, মাসুদ কারীম, শাহীন বখতিয়ার ছিলেন জানা যায়।

পরবর্তীতে নবীর সুন্নাতের দোহাই দিয়ে হক্কানীর থেকে বয়সে ১৫ বছরের বড়ডা. সোহানা বখতিয়ারকে (৫০) বিবাহ করেন। তাকে এক বছর পর বিভিন্ন অজুহাতে ২০ লক্ষ টাকা আত্মসৎ করে তিন তালাক দেন তৃতীয় স্ত্রীকে। এর জের ধরে ডা. সোহানা ন্যায় বিচার-টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য হক্কানীর বিরুদ্ধে কোটে তিনটি মামলা দায়ের করেন এবং এখনো চলমান আছে। পরবর্তীতে আবারও ঢাকার সাভারে এক নারীকে বিবাহ করেন এবং চতুর্থ স্ত্রী থেকে ২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে ৮-আট মাস পর তালাকেও তালাক দেন রফিকুন্নবী হক্কানী।

শুধু এখানেই ক্ষান্ত নন, ঢাকার হাজারীবাগ আওয়ামী লীগ নেত্রীকে পঞ্চম স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করেন, তাকে নিয়ে ৬ মাস সংসার করে ৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে তালাক দেন। ছয় নাম্বার স্ত্রী হিসেবে প্রবাসী রেনু বেগমকে (৪৫) বিবাহ করেন। সে বিশাল ঘটনার জন্ম দিয়েছেন প্রেম সম্রাট রফিকুন্নবী হাক্কানী, তার সাথে রেনুর বড় ভাইর মাধ্যমে পরিচয় হয়। অপরাধ বিচিত্রার অফিসে আসা অভিযোগের সূত্র ধরে, ভুক্তভোগী প্রবাসী বিধবা নারী রেনুর কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি রফিকুন্নবীর কথা বলতেই হাউমাউ করে কেঁদে দেন। রেনু বলেন, রফিকুন্নবী আমার কাছে বলতেন, আমার কোন স্ত্রী নেই, আমি দুঃখে কষ্টে আছি, তোমাকে বিবাহ করে নবীর সুন্নত পালন করতে চাই। এভাবেই রফিকুন্নবী হক্কানী রেনুর সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন।

১৯ সাল শেষ- করোনার লকডাউন শেষে সরকারিভাবে হজ্বের কার্যক্রম শুরু হলে, রফিকুন্নবী ১৩ জন হজ্ব যাত্রী নিয়ে ওমরাহ পালন করার জন্য মক্কা সৌদি আরব যান। তখন বিবাহের প্রলোভন দিয়ে হাজ্বী হোটেল বিবাহ না করে ২১/০৯/২১ ইং সালে জোরপূর্বক টানা চারদিন স্ত্রীর পরিচয় ধর্ষণ করেন। হোটেলের নাম (হলি মক্কা আল- মিসফালা, ইব্রাহিম আল- খলিল, বেহিনড আরেজ, আল- ফালাহ হোটেল) হোটেল ভিজিটিং কার্ড হোল্ডারের নাম (দারাল-জাবরি) মোবাইল নাম্বার (০৫০১৩৪১২১৪)। পরে রেনু বেগমকে হোটেলে রেখে রফিকুন্নবী হক্কানী চলে গেলে, নিরুপায় হয় হোটেল বিল পরিশোধ করেন রেনু (১৫০০ রিয়াল-বাংলাদেশী হিসাবে ৪৭৩০০ টাকা)

দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, আবারো রেনুকে বিবাহ করার প্রতিশ্রুতির প্রলোভন দিয়ে প্রেমের অভিনয় করেন হক্কানী। এক বছর পরে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে রেনু বেগমকে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এনে রফিকুন্নবী হক্কানী বিবাহ করবেন মর্মে, ২৫ নভেম্বরে রাজধানীর কলাবাগান স্টাফ কোয়ার্টারে দুই মাসের জন্য আবারও রুম ভাড়া করেন। সেখানেও চার দিন রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। (দুই মাস ধরে খাওয়া দাওয়া এবং হোটেল বাড়াও আমাকে দিতে হয়েছে) এরকম একের পর এক ধোকা খেয়ে রেনু বেগম ওই সময়ই রফিকুন্নবীকে বিবাহ করতে চাপ দিলে, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বরে (২০ হাজার) মোহরানা ধার্য করে কাজি অফিসে গিয়ে বৈধভাবে বিবাহ করেন। তবে দুই শর্ত বেঁধে দিয়েছেন, সন্তান নিতে পারবে না এবং গার্ডিয়ান সহ কাহারো কাছে বিবাহের কথা প্রকাশ করতে পারবেনা।

রেনু বেগম হাউমাউ করে কান্না করে আর বলেন, অল্প বয়সে আমার গার্ডিয়ান আমাকে বিবাহ দেন, সেই হাজব্যান্ড নেশাখোর গানজুটি ও খারাপ স্বভাবের থাকায় বেশিদিন সেই সংসার টেকেনি, সেখানে আমার দুইটি সন্তান আছে। দুঃখ দুর্দশা বুকভরা কষ্ট নিয়ে ১৫ টি বছর স্বামী ছাড়া থেকেছি। জীবন যৌবন থাকা সত্ত্বেও মনের কষ্টে দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করিনি, দায়িত্ববান আত্মীয়স্বজন গার্ডিয়ান বলতে কেহই নেই, এমনকি জন্মদাতা বাবাও নেই। ঠিক সেই মুহূর্তে রফিকুন্নবী ভাট্টি ওরফে মুফতি রফিকুন্নবী হাক্কানী আমার সরলতা ব্যবহার করে বিবাহ করার প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে অবৈধভাবে বার বার মেলামেশা করেছেন। সমাজের একজন প্রখ্যাত আলেম, ইসলামী আলোচক-বক্তা এবং দাড়ি টুপি জুব্বার সিলেবাসে একটা নারীর সাথে হারামাইন শরীফের পবিত্র জায়গায় বসে অবৈধ মেলামেশা ধর্ষণের মতন এরকম কাজ করতে পারেন? প্রশ্ন থাকলো আলেম সমাজের কাছে।

তিনি আরো বলেন, এরকম একজন ফেরেশতার মতন আলেমকে আমি কিভাবে অবিশ্বাস করি, তার অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ধরে নিয়েছি হাক্কানী আমাকে বিবাহ করে সারা জীবন জীবনসঙ্গিনী হিসেবে সংসার করবেন। তার নামে ফেসবুকে সার্চ দিলে বিভিন্ন উপদেশমূলক অসংখ্য মাহফিলের বক্তব্য বয়ান পাওয়া যাবে, আমি একজন অশিক্ষিতা মেয়ে, তার বয়ান দেখেই তার প্রতি আমি আশ্বস্ত হয়েছি এবং তার সমস্ত কথা বিশ্বাস করেছি। কিন্তু তিনি যে আলেম নামের একজন কুলাঙ্গার, ভন্ড প্রতারক, টাকা লোভী, নারী লোভী দুশ্চরিত্রের অধিকারী একজন অমানুষ, তা আগে কখনো জানলে তার প্রতারণায় জড়াতাম না। যেখানে ১৫ ছবর স্বামী ছাড়া থাকতে পেরেছি, বয়স প্রায় ৪৫ এর কোঠায়, সেখানে বাকি জীবন থাকলে সমস্যা হতোনা, একজন হক্কানী আলেম ভেবে তার প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলাম।

আসলে মূলত আমি একজন প্রবাসী মেয়ে তাই এই প্রতারক আমার টাকা আত্মসাৎ করার জন্য এবং আমার শরীর ভোগ করার জন্যই আমার সাথে প্রতারণা করেছেন। আমার টাকা দিয়েই তিনি চলতো এবং হাজারীবাগ থানার বেরিবাদের পাশে তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা মারকাজুস শরিয়াহ, ২/২ পল্টনের অফিস ভাড়া দিত। বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ যাত্রীদের হারামাইন শরীফে থাকা খাওয়া হোটেল ভাড়াও আমার টাকায় চলত। রেনু বলেন, বিবাহের আগে অর্থাৎ প্রেম প্রেম চলাকালীন হক্কানীকে সৌদি থেকে চারটি ফোন কিনে দিয়েছি, দুইটি আইফোন (৭২,০০০ টাকা) অপরটি ৬৫,০০০ টাকা) একটি হাওয়াই (৪০,০০০ টাকা) আর একটা ফোনের নাম জানা যায়নি, তবে হক্কানী এখন যে ফোনটা ইউজ করেন-ঐটা-(৩২,০০০ টাকা)। বাংলাদেশে আসার সময় কয়েক দফায় ব্যবহারিক শাড়ি গয়না পোশাক ফুট আইটেম সহ অন্যান্য মালামাল ক্রয় করে দিয়েছেন, প্রায়ই ২ লক্ষ টাকার।

সৌদি আরব ও বাংলাদেশ বসে ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৭০০ সাতশত টাকা, ৯৯,০০০, ১ লক্ষ্য ২৬ হাজার টাকা, ৬২ হাজার, ৫০,০০০ হাজার, ২ লক্ষ ২০ হাজার, ১ লক্ষ ৫০ হাজার, ৩০,০০০ হাজার, সর্বশেষ তালাক দেওয়ার পূর্বে ওমরাহ পালন বাবদ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। ২০২৪ ইং সালের ১৪ মে, থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৮ মাসে ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। বাকি টাকাগুলি হাক্কানীকে দুইটি বিকাশ নাম্বারে দেওয়া হয়েছে (01725050245, 01615050245), ৫১৯- বিকাশ নাম্বারটি রেনু বেগমের (01618484519) এই নাম্বারটা ফোন সহ হক্কানী জব্দ করে রেখেছেন, কারন এই সিম থেকে রেনু হক্কানীর কাছে টাকা লেনদেনের অনেক ডকুমেন্টস আছে। রেনুকে বিবাহের পূর্বে প্রেমের অভিনয় ও বিবাহ এবং তালাক দেওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ১৬ লক্ষ টাকা হাক্কানী আত্মসাৎ করেন। স্ত্রীর জন্য ১ টাকাও খরচ করেননি, সমস্ত খরচ রেনু বেগমের টাকা দিয়েই হয়েছে বলে ৬ নাম্বার স্ত্রী জানান।

রেনু বেগম বলেন, বাবা হারা দুখিনী এতিম ডিভোর্স প্রাপ্তা প্রবাসী জীবনে মাস শেষে ৬০ হাজার ইনকাম করি, একজন আলেম নামের প্রতারক ভন্ডের প্রতারণায় পড়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি। মাঝেমধ্যে মনে হচ্ছে আমার জীবন শেষ হয়ে যাবে, কখনো কখনো সুইসাইড করতে মনে চায়, সুইসাইড যদি করতেই হয় হক্কানীকে সাথে নিয়েই করবো, কিন্তু এই গুনাহের কাজ করতে চাই না, শুধুই আল্লাহর উপর ধৈর্য ধারণ করে আছি। তিনি এত অসৎ চরিত্রের অধিকারী লুচ্চা টাইপের লোক ছিলেন সেটা তাকে দেখে কেউ বুঝতে পারবে না। আমাকে তার বিছানায় রেখে আমার সামনেই নারীদের সাথে চ্যাটিং করতেন এবং ভিডিও কলে জঘন্যতম ভন্ড ভাষায় কথা বলতো, আমি নিষেধ করলে আমার ওপরে চরাও হতেন।

সপ্তম নাম্বার স্ত্রী হল রায়হানা ইসলাম রোজা, তাকে বিবাহ করেন, ২০২৫ সালের ১২ অথবা ১৪ ডিসেম্বরে (মূলত এই স্ত্রীকে বিবাহ কারায় রেনু বেগমের সাথে হক্কানীর বাকবিতণ্ডতা হয়, তাই তাকে তালাক দিয়ে রোজাকে বিবাহ করেন) রোজা বর্তমান নতুন স্ত্রী হিসেবে তার সংসারে আছেন, এখন ছোট ওয়াইফকে তালাক দেওয়ার পালা, দেখা যাক পরবর্তীতে কি ঘটে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, বিবাহ এবং তালাক বাণিজ্যের মধ্যেও চলছে অন্যান্য নারীদের সাথে প্রেম। খুলনার মেয়ে জুলাইখার সাথে এক বছর গভীর প্রেম করেন, ২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বরে হক্কানী খুলনায় বিবাহ করতে গেলে মেয়ের গার্ডিয়ান এলাও করেননি।

অফিসের হজ্ব যাত্রীদের মেডিকেল চেকআপ ম্যান ফারজানা ও অন্য একটা মেয়ে সহ রফিকুন্নবী হক্কানী মালদ্বীপ, ইন্ডিয়া ও শ্রীলংকায় ৫ দিনের টুরিস্ট ভিসায় ভ্রমণে গিয়েছিলেন (তখন তার বিবাহিত স্ত্রী রেনু বেগমকে রায়ের বাজার স্কুল গলি শেরেবাংলা রোডে বাসায় রেখে যান) তাদের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পাওয়া যায় । ঢাকা মেডিকেল কলেজের একজন নার্সের সাথে চটিয়ে প্রেম করছেন, কল্পনা নামে একটি মেয়েকে রাত্রী যাপন করার জন্য কু- প্রস্তাব দেন হক্কানী, একই সাথে বিদেশ পাঠাবে বলে ২ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে কল্পনা এবং তার গার্ডিয়ানের সাথে মুঠোফোনে কথা হয়েছে।

একজন নারীর সাথে প্রেম করে দ্রুত বিবাহ করতে যেমন সময় লাগেনা, ঠিক তদ্রুপ তালাক দিতেও সময় লাগেনা। যে নারীর দিকে একবার চোখ যাবে, সেই নারীকেই তার বিছানায় একান্তে পেতে, এই লম্পট আলেম নামে কলঙ্ক নামধারী ইসলামিক বক্তা মুফতি রফিকুন্নবী হক্কানী ফিলিম স্টাইলে অভিনয় শুরু করেন। কুমারী নারী থেকে শুরু করে ৬০ বছরের নারীরাও তার থেকে রেহাই পায়নি, ডিভোর্সী নারীর সন্ধান পেলে তো আর কোন কথাই নেই! বিপদগ্রস্ত অসহায় মজলুম নারীর অসহায়ত্বের সুযোগ খুঁজে পটিয়ে অবৈধ প্রেম শুরু করেন, তার পর বিবাহের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেন, যতদিন মনে চায় অবৈধ মেলামেশা শারীরিক সম্পর্ক চলতে থাকে। তার সবচেয়ে বেশি টার্গেট থাকে টাকা ওয়ালা ডিভোর্সি নারীর দিকে, এভাবে যে কত নারীর সাথে অবৈধ মেলামেশা করেছেন তার কোন হিসাব নেই, নারীদের সাথে সম্পর্ক যখন গভীরে চলে ঠিক তখনই বিভিন্ন ইস্যু দেখিয়ে নারীদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।

মাইনকা চিপায় পড়লে, চাপে পড়ে ক্ষণিকের জন্য বিবাহ করেন, পরে উল্টো টাকা নিয়ে তালাক। হক্কানীর অফিসের ম্যানেজার ওসামার কাছে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি দাবি করেন আমি তার কাছে ৮ লক্ষ টাকা পাব। লাইসেন্স বা নামে ভিসা প্রসেসিং করা, ওমরাহ বা হজ্ব পালনের নামে অসংখ্য পার্টিদের কাছ থেকে টাকা এনে বিভিন্ন মেয়াদে হয়রানি করে আসছেন আর্সেন বলে জানা যায়। হক্কানীর “ভিসা প্রসেসিং বিডি” নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স আমাদের হাতে আছে, তবে কেউ কেউ বলছেন ওনার কোন ভিসা লাইসেন্স নেই, বিভিন্ন হজ লাইসেন্স সংস্থার সাথে ভায়ায় কাজ করেন। রফিকুন্নবী ভাট্টি ওরফে মুফতি রফিকুন্নবী হক্কানী, দেশের জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক ইসলামিক সংগঠনের, অরাজনৈতিক বৃহত্তর ওলামাদের সংগঠন “জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ” এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মাও. রেজাউল করিম আবরার সাহেবের সাথে কথা বললে, উনি বলেন আমি তো এ বিষয় কিছুই জানিনা, আপনি ওনার সাথে (মুফতি হক্কানী) কথা বলেন।

অপরাধ বিচিত্রার অফিস থেকে, রফিকুন্নবী ভাট্টি ওরফে মুফতি রফিকুন্নবী হক্কানীর সাথে মুঠোফোনে (+880 1725-050245) এই নাম্বারে সাবেক স্ত্রীদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে, তিনি প্রথমে স্বীকার করলেও পরবর্তীতে সাবেক স্ত্রী রেনু এবং সোহানা বেগমের উপরে সম্পূর্ণ দোষ চাপিয়ে দেন।
হক্কানী বলেন, রেনু আমার কাছে টাকা পাবে, তবে উনি যে টাকার পরিমাণ অভিযোগ তুলছেন অত টাকা আমার কাছে পাবে না! রেনু বেগম আপনার কাছে কত টাকা পাবে? প্রশ্ন করলে সঠিক উত্তর দিতে অপরগ ছিলেন। স্ত্রীদেরকে কেন তালাক দিলেন, প্রশ্নের তিনি বলেন তারা জঘন্য খারাপ বিধায় তালাক দিয়েছি। তার সাথে কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে আবার নিজেই বলেন, স্ত্রীরা আমার কাছে তালাক চেয়েছেন বিধায় তালাক দিয়েছি, স্ত্রীরা কেন তালাক চেয়েছেন প্রশ্ন করলে, তিনি বরাবর প্রশ্ন এড়িয়ে হার্ট লাইনে চলে যান।

এক পর্যায়ে সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার এবং মামলায় আসামি করার হুমকি দিয়ে বলেন, সাবেক স্ত্রীদের পক্ষে যেই কথা বলবে, তাকেই মামলায় আসামি বানাবো। আপনার পত্রিকার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার কত? আমাকে দিন, আমি এন্ট্রি করে রাখবো, আমার ব্যাপারে পত্রিকায় নিউজ আসলেই আমি ব্যবস্থা নেব, আমার সাথেও সাংবাদিকদের পরিচয় আছে, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে আমার পরিচয় আছে। সর্বশেষ রফিকুন্নবী ভাট্টি ওরফে হক্কানী বলেন, আমি নির্দোষ আমার কোন দোষ নেই, রেনু বেগম আমার কাছে কোন টাকা পাবে না, আমিই তাদের কাছে আরও উল্টো টাকা পাব! তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। অপরদিকে সোহানার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি তাকে কোর্টের মাধ্যমে টাকা দিতে চেয়েছি কিন্তু সে নেয়নি, আরো ম্যাজিস্ট্রেটকে অপমান করে কোর্ট থেকে চলে গেছেন। একই মুখে বিভিন্ন রকমের কথা বলে থাকেন এই অভিযুক্তকারী হক্কানী। (তার গ্রামের বাড়ি চাঁদত্রিশিরা, বাগধা ৮২৪২, আগৈলঝড়া, বরিশাল)।

আগামী পর্বে সাংবাদিককে হুমকি এবং রফিকুন্নবী হক্কানীর ৩ নাম্বার স্ত্রী সোহানাকে বিবাহ-তালাক পরবর্তী বিস্তারিত ঘটনা সহ অন্যান্য অপকর্মের ফিরিস্তি আসছে….. অপেক্ষায় থাকুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button