কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের আলু বুকিং বন্ধের অন্যায় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি

বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের আহ্বায়ক আহসানুল আরেফিন তিতু ও সাধারণ সম্পাদক অজিত দাস কোল্ডষ্টোরে আলুর বুকিং বন্ধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে আলুচাষীদের জন্য কোল্ডষ্টোর খুলতে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন- ‘২/৩ মাস আগেও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা ৭০/৮০ টাকায় জনগণকে আলু কিনে খেতে বাধ্য করেছে।
আলুচাষীরা এবারে পর্যাপ্ত আলু চাষ করেছে।যা দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে। যা দেশের মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে।সকলের জানা উচিৎ আলুচাষীরা ঋণ করে সার,বীজ,কীটনাশক কিনে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে আলু চাষ করেছে।প্রতিকেজি আলুর উৎপাদনে খরচ পড়েছে প্রায় ২০ টাকা। কিন্তু সেই আলু লাভজনক দামে বিক্রি ও সংরক্ষণের জন্য সরকারের তরফে কোন কার্যকরী উদ্যোগ আমরা দেখতে পাইনি।সরকারের এই অবহেলার সুযোগ নিয়ে কোল্ডষ্টোর মালিকরা রাতারাতি প্রতিকেজি আলুর ভাড়া দ্বিগুণ করে ৮ টাকা নির্ধারণ করেছে।
এর প্রতিবাদে আলুচাষীরা রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ করলেও সরকার আলুচাষীদের পক্ষে দাঁড়ায়নি।ফলে কোল্ডষ্টোর মালিক ও ব্যবসায়ীরা মিলে আলুচাষীদেরকে সর্বশান্ত করার পরিকল্পনা করেছে। বাজারে আলু এখন ১০ টাকা কেজি।লোকসান কমাতে স্বাভাবিকভাবেই আলুচাষীরা কোল্ডষ্টোরে আলু রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু মালিকরা কোল্ডষ্টোরে আলুর বুকিং বন্ধের ব্যানার টাঙ্গিয়েছে।এখন যে আলু উঠছে তার প্রায় পুরোটাই বীজ করার উপযোগী। দামও স্বাভাবিকভাবে বেশি হওয়ার কথা।কিন্তু কোল্ডষ্টোর মালিক আলুচাষীদের আলু না নিয়ে ব্যবসায়ীদের আলু গভীর রাতে কোল্ডষ্টোরে ঢুকাচ্ছে।’
নেতৃবৃন্দ আলুচাষীদের রক্ষায় অবিলম্বে কোল্ডষ্টোর খুলে আলুচাষীদের আলু অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাখার ব্যবস্থা করতে এবং নিম্নোক্ত দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
দাবিসমূহ:
১. বুকিং বন্ধের অন্যায় সিদ্ধান্ত বাতিল করে খোদ আলুচাষীদের কোল্ডস্টোরেজে আলু রাখার ব্যবস্থা কর।
২.অবিলম্বে প্রতি কেজি আলুর ষ্টোরভাড়া ১.৫০ টাকা করতে হবে।
৩.ধানের মত আলুরও সরকারি রেট ঘোষণা করে খোদ আলুচাষীদের কাছ থেকে আলু কিনে সংরক্ষণ এবং বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করতে হবে।
৪.ক্ষতিগ্রস্ত আলুচাষীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।