রাসুল সা. কি কিবলাহ মুখী হয়ে প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে নিষেধ করেছেন?

পশ্চিম দিকে পা দেয়া না দেয়া বিষয় না।মূল হল কিবলাহ।এটা ইসলামের নিদর্শন এটা মর্যাদার দাবি রাখে।রাসুল সা.কিবলাহ মুখী হয়ে প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে নিষেধ করেছেন।
ঘুমন্ত বা জাগ্রত অবস্থায় কিবলাহ/ কাবার দিকে ইচ্ছাকৃত পা লম্বা করা মাকরূহ। অনিচ্ছাকৃত হলে সমস্যা নেই। হিন্দিয়া ৫/৩১৯
কারণ, এতে করে আদবের পরিপন্থী কাজ করা হয়। আর পবিত্র কুরআনে আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করতে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছেঃ
وَمَن يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقْوَى الْقُلُوبِ [٢٢:٣٢
আল্লাহ তাআলা বিশেষ কিছু স্থান, কিছু কাজ এবং কিছু বস্তুকে সম্মানিত করেছেন এবং সেগুলোকে তাঁর কুদরত ও আযমতের চিহ্ন সাব্যস্ত করেছেন। সেগুলোকে ইসলাম ও মুসলমানদের নিদর্শন ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তাআলার আদেশের কারণে এগুলো বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে। শরিয়তের পরিভাষায় এগুলোকে বলা হয় শাআইরুল্লাহ। এগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা অপরিহার্য।
আমরা জানি পশ্চিম দিকে থুতু ফেলতে হাদিসে নিষেধ রয়েছে। কারও কারও বাসার বেসিন পশ্চিম দিকে করা। তখন পশ্চিম দিকে মুখ করে নিচের দিকে কুলির পানি বা থুথু ফেলা যাবে কি?
এই প্রশ্নের উত্তর হলো- আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী কারিম (সা.) কিবলার দিকে (দেয়ালে) ‘কফ’ দেখলেন। এটা তার কাছে কষ্টদায়ক মনে হল। এমনকি তার চেহারায় তা ফুটে উঠল। তিনি উঠে দিয়ে তা হাত দিয়ে পরিষ্কার করলেন। তারপর তিনি বললেন,
তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন সে তার রবের সাথে একান্তে কথা বলে। অথবা বলেছেন, তার ও কিবলার মাঝখানে তার রব আছেন। কাজেই, তোমাদের কেউ যখন কিবলার দিকে থুথু না ফেলে। বরং সে যেন তার বাম দিকে বা পায়ের নীচে তা ফেলে। তারপর চাদরের আঁচল দিয়ে— তিনি তাতে থুথু ফেললেন এবং তার এক অংশকে অন্য অংশের উপর ভাঁজ করলেন এবং বললেন, অথবা সে এরূপ করবে।
এখন কথা হলো- পশ্চিম দিকে থুথু ফেলা যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়— তাহলে তা জায়েজ। ইচ্ছাকৃত তবে অসম্মান প্রদর্শনের নিয়তে নয়, এমন হলে মাকরুহ।
মুফতী লোকমান হুসাইন