রূপগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রারের যোগসাজশে সহকারী ফয়সালের সহযোগিতায় অফিস খরচের নামে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাব – রেজিস্ট্রি অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের হয়রানী মুলক বক্তব্য ও তথ্য অনুসারে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার নিজেকে আড়ালে রেখে সাধু সন্ন্যাসী জাহির করে গোপন সমর্থন আর যোগসাজশে অফিস সহকারী ফয়সালের সহযোগিতায় অফিস খরচের নামে প্রতিটি দলিলে স্থানীয় দলিল লেখকদের মাধ্যমে সর্ব নিন্ম ৫/৬ হাজার টাকা থেকে শুরু করে লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ।
সরজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, এই অফিস সহকারি ফয়সাল রূপগঞ্জের স্হানীয় বাসিন্দা হওয়ায় সবার কাছে সু-পরিচিত মুখ এবং তার কথায় এই রূপগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসটিতে শেষ কথা। এই সাব রেজিস্ট্রি অফিসটিতে একের পর এক সাব রেজিস্ট্রার বদল হলেও ফয়সাল দেদারছে অনিয়ম করেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে জানা যায়। এর আগে অফিস সহকারি ফয়সাল রূপগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে অন্যত্রে বদলী হলেও মাস না যেতেই তদবীর করে পুনরায় যোগদান করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, রূপগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটিতে একের পর এক সাব রেজিস্ট্রাররা পরিবর্তন হয়ে এসেই তারা ফয়সালের ঘুষ বাণিজ্যের কারিশমেটিক পদ্ধতির কাছে নতজানু হয়ে গোপনে সহকারি ফয়সালকে সমর্থন দিয়ে নকল নবিস এবং দলিল লেখকদের মাধ্যমে অফিস খরচের নাম করে দলিল সেবা গ্রহীতাদের নানান হয়রানীর মাধ্যমে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার ঘুষ গ্রহন করে বলে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ফয়সাল যে রুমটিতে বসে তার পাশের প্রতিটি টেবিলে বসা লোকদের মাধ্যমে প্রতিটি দলিল হিসাব করে নকল নবীস এবং দলিল লেখকদের মাধ্যমে তালিকা করে প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে অফিস ছুটি হওয়ার আগ পর্যন্ত ঘুষের টাকা গ্রহণ করে সহকারি ফয়সাল।
জানা যায়, রূপগঞ্জ সাব- রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া যেমন কোনো সেবা মেলে না তেমনি ঘুষেই মিলছে অহরহ জাল দলিলের মতো জগন্য অপরাধ। এই অনৈতিক ঘুষের কারবারেরই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। এসব অপকর্মের হোতা হিসেবে অভিযোগের তীর স্বয়ং সাব-রেজিস্ট্রারের দিকে হলেও ঘুষ বাণিজ্যের সব কিছু সামলান অফিস সহকারি ফয়সাল। সহকারি ফয়সাল এর বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগে তার অন্যত্র বদলির আদেশ এলেও তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তদবির বাণিজ্য করে তিনি বছরের পর বছর রূপগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দাপটের সাথে অনিয়ম আর ঘুষ বাণিজ্যের মুল সহযোগি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই ফযসাল গত বেশ কয়েক বছরে রেজিস্ট্রি অফিসে চাকুরীর সুবাদে রূপগঞ্জ এলাকায় তার স্ত্রীর নামে বেনামে একাধিক জায়গা জমি সহ বাড়ি গড়ে তুলেছেন। নিজে চড়েন প্রাইভেটকারে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে জমি, প্লট রেজিস্ট্রি করে দিয়ে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন এই সহকারি ফয়সাল। স্হানীদের ভাষ্যমতে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একজন অফিস সহকারির মাসিক বেতন কত? সহকারি ফয়সাল কি করে প্রাইভেটকার কিনে চড়ে একটা প্রাইভেটকার এর মাসিক ম্যান্টেনেস খরচ সহকারি ফয়সাল কিভাবে সামলায়। এছাড়াও ফয়সালের সহযোগিতায় সাব রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে ভূমি কর্মকর্তাদের নাম, সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে ভুয়া কাগজ তৈরি করার পর জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে দলিল করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এতে কিছু অসাধু দলিল লেখকও তাকে সহযোগিতা করে থাকেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।
সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়,রূপগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারি ফয়সাল দলিল লেখকদের মাধ্যমে দলিল করতে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে অফিস খরচের নামে মাসে কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন এমনটাই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দলিল লেখক জানান। দলিল লেখকরা জানান, অফিস খরচ ছাড়া একটা ফাইলও সই করে না সাব রেজিস্ট্রার। দিনে কয়টা দলিল রেজিস্ট্রি হয় প্রতিদিন বিকালে প্রতিটা দলিল হিসাব করে সহকারি ফয়সালের নিকট অফিস খরচের নামে টাকা দিতে হয় দলিল লেখকদের বলে জানা যায়। দলিল লেখকরা জানান, এই সহকারি ফয়সাল এর ঘুষ বাণিজ্যের কাছে অসহায় তারা। ফয়সাল টাকা ছাড়া তিনি কিছুই বুঝেন না এবং রূপগঞ্জ সাব – রেজিস্ট্রি অফিসে সাব – রেজিস্ট্রার পর সহকারি ফয়সাল ই শেষ কথা বলে জানা যায়। রূপগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অনিয়ম আর ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে আরো বিস্তারিত পরের সংখ্যায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হবে।