ইসলাম ধর্ম

সূরা মুযাম্মিল, মক্কী আয়াত-২০, রুকু- ২

পরম করুনাময় অতিশয় দয়ালু আল্লাহর নামে

১। হে চাদর আবৃত রাসূল।

২। রাতে নামাযে দণ্ডায়মান থাকুন সামান্য পরিমাণে রাত বাদ দিয়ে;

৩। অর্ধ রাত্রি কিংবা তার চেয়ে কিছু কম,

৪। অথবা তার চেয়ে কিছু বৃদ্ধি করুন। আর কোরআন পাঠ করুন ধীরে ধীরে, খুব স্পষ্টভাবে।

৫। অবশ্যই আমি আপনার প্রতি অচিরেই এক গুরুভার বাণী অবতীর্ণ করছি।

৬। নিশ্চয় রাত্রি জাগরণ প্রবৃত্তি দলনে প্রবলতর এবং বক্তব্যের ব্যাপারে বিশেষ ক্রিয়াশীল।

৭। দিনের বেলায় তো রয়েছে আপনার বহু কাজ।

৮। সুতরাং আপনি আপনার রব্বের নাম স্মরণ করতে থাকুন এবং একাগ্রচিত্তে তাঁরই প্রতি রুজু হয়ে থাকুন।

৯। তিনিই মালিক উদয়াচল ও অস্তাচলের। তিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। অতএব, তাঁকেই গ্রহণ করুন কর্মবিধায়করূপে।

১০। তারা যা বলে, তাতে আপনি ধৈর্য ধারণ করুন এবং সৌজন্য সহকারে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।

১১। আর ছেড়ে দিন আমাকে এবং সুখ-সম্পদে নিমগ্ন সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদেরকে, আর তাদেরকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিন।

১২/ নিশ্চয় আমার কাছে আছে শিকল ও দোযখ,

১৩। আরও আছে গলায় আটকে পড়ার মত খাদ্য এবং যন্ত্রণাদায়ক আযাব।

১৪। সেদিন যখন যমীন ও পর্বতমালা প্রকম্পিত হতে থাকবে এবং পর্বতমালা হয়ে যাবে উড়ন্ত ধুলিরাশির মত।

১৫। আমি তো তোমাদের কাছে একজন রাসূল পাঠিয়েছিলাম তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ, যেমন আমি পাঠিয়েছিলাম ফেরাউনের কাছে একজন রসূল।
১৬
কিন্তু ফেরাউন সেই রাসূলের অবাধ্যতা করল, ফলে আমি তাকে পাকড়াও করলাম কঠোরভাবে।

১৭। অতএব, যদি তোমরা কুফরী কর, তবে সেদিনের বিপদ থেকে কেমন করে নিজেদের রক্ষা করবে, যেদিন বালকদেরকে বৃদ্ধ করে দেবে,

১৮। সেদিন আসমান বিদীর্ণ হবে। তাঁর ওয়াদা অবশ্যই পূর্ণ হবে।

১৯। এটা এক উপদেশ। অতএব, যার ইচ্ছা হয়। সে আপন রবেরে পথ অবলম্বন করুক।

২০ আপনার রব তো অবগত আছেন যে, আপনি এবং আপনার সঙ্গে যারা আছে তাদের কতিপয় লোক নামাজে দন্ডায়মান থাকেন কখনও রাত্রির প্রায় দুই তৃতীয়াংশ, কখনো অর্ধাংশ এবং কখনো রাএির এক তৃতীয়াংশ আর আল্লাহই নির্ধারণ করেন রাত্র ও দিবসের পরিমাণ। তিনি অবগত আছেন যে, তোমরা যথাযথ হিসাব রাখতে পার না। অতএব, তিনি তোমানদের প্রতি ক্ষমাপরায়ণ হয়েছেন। সুতরাং কোরআনের যতটুকু তোমাদের পক্ষে পাঠ করা সহজ, ততটুকু পাঠ করো। তিনি অবগত আছেন যে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়বে, কেউ কেউ আল্লাহ্ প্রদত্ত জীবিকার অন্বেষণের জন্য পৃথিবীতে ভ্রমন করবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। অতএব, কোরআনের যতটুকু তিালওয়াত করা সহজ, ততটুকু তোমরা তিলাওয়াত করো আর তোমরা নামায কায়েম করো এবং আল্লাহকে উত্তম কর্জ দাও। আর তোমরা নিজেদের মঙ্গলের জন্য যা কিছু নেক কাজ অগ্রে প্রেরন করবে আল্লাহর কাছে তা তোমরা পাবে তদপেক্ষা উত্তম ও শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার হিসেবে। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button