এক্সক্লুসিভ

আলোচিত  হত্যা মামলার আসামী সালাউদ্দিন চৌধুরী‌ প্রশাসনের নাকের ডগায়

হাবিব সরকার স্বাধীনঃ

বিগত সরকারের সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় মো: সালাউদ্দিন চৌধুরী এখন রং পাল্টে হয়ে যাচ্ছেন যেন বিএনপি নেতা। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হলেও তিনি দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

এখন তার উঠাবসা স্থানীয় বিএনপি নেতা থেকে শুরু করে র‌্যাব, পুলিশ, আর্মি সবার সঙ্গে। এলাকাবাসাীর কাছে রীতিমতো প্রতারক হিসেবে পরিচিত সালাউদ্দিন একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। নিজেকে জাহির করে করেন একজন সমজেসেবক হিসেবেও। তার এসব নীতিহীন কর্মকান্ডের কারণে মানুষ তাকে “হলুদ সালাউদ্দিন” বলে ডাকেন। গাজীপুরের ভোগড়া এলাকার মো: আজিজ চৌধুরীর ছেলে সালাউদ্দিনের বাড়ি গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বি-৩০৬/১১, ভোগড়া (চৌধুরী বাড়ি)।

বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে তদবির বাণিজ্য করে অর্থ বিত্তের মালিক সালাউদ্দিন গড়ে তুলেছেন নিজস্ব কিশোর গ্যাং বাহিনীও। তার কথার বাহিরে গেলে তিনি নিজস্ব ক্যাডার দিয়ে মামলা-হামলা করান। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীদের উপর হামলা ও মামলা দিতে সে অর্থের জোগান দিতেন। প্রতারক সালাউদ্দিন ও তার স্ত্রীকে অবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সহযোগিতা কামনা করছেন গাজীপুরবাসী।

প্রতারণার হাতিয়ার ভয়ভীতি দেখানোঃ

স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে সালাউদ্দিন চৌধুরী পারিবারিক টাকার বিনিময়ে নিউজ ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল “ডিবিসি টিভি” এর পরিচালক পদটি বাগিয়ে নেন নিজের নামে। পৈত্রিক ফান্ডের টাকা দিয়ে নিজের নামে স্বৈরাচারীভাবে পরিচালক পদটি নিজের করে নেন।

এই টিভির পরিচালক সাইনবোর্ডটি ব্যবহার করেই জাল বিস্তার করতে থাকেন নিজের অপকর্মের। নিজের অপকর্ম ঢাকতে একেক সময় একেক কৌশল অবলম্বন করছেন। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা দাবী করে অনেক অপকর্ম করেছেন। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীদের অকারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাভোগ, ব্যাংক ও একটি ঋণ সংস্থার কাছ থেকে প্রতারণা করে মোট ২১৭ কোটি টাকা উত্তোলন করে ঋণ খেলাপি হওয়াসহ অসংখ্য অপকর্ম করেছে।

কিন্তু কোথাও আটকে গেলেই ব্যবহার করতেন ডিবিসি চ্যানেলের পরিচালক পদটি। বিগত সরকারের আমলে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার কার্যালয়, বিভিন্ন মন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কিংবা পুলিশের আইজিপির কার্যালয় থেকে ফোন করে সব থামিয়ে দিতেন। ডিবিসি চ্যানেলের চেয়ারম্যান সাংবাদিক ইকবাল সোবাহান চৌধুরীর মাধ্যমে শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তার যোগাযোগ ছিল সকল পর্যায়ের শীর্ষ লোকদের সাথে।

বড় বড় ঠিকাদারীর কাজ, ব্যাংক লোন, নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য, বিভিন্ন পদ বাণিজ্য, চাকরি পাইয়ে দিতেন। বিভিন্ন শিল্পপতিদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে এই সিন্ডিকেটের সাথে মিলে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ডিবিসি চ্যানেল যেন এখনো তার প্রভাব বিস্তারের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে আছেন। এই ডিবিসির প্রভাব দেখিয়ে অন্যান্য টেলিভিশন ও পত্রিকার গাজীপুরের সাংবাদিকদের জনপ্রতি মাসে ২০/৪০ হাজার টাকা করে মাশোহারা দিয়ে যেন কর্মচারী বানিয়ে রেখেছেন। নিজে যেসব বিষয়ে সামাল দিতে ঝামেলা মনে করেন সেখানে তার পোষা সাংবাদিক টিম পাঠিয়ে দেন। তার মতো এইসব পোষা সাংবাদিকরাও তার হয়ে বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা ও নেতাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে কাজ হাসিল করেন।

গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা পলায়নের পর সালাউদ্দিন নিজেকে একজন সুধীজন হিসেবে জাহির করতে কখনো পুলিশের সাথে ছবি, কখনোবা সেনাবাহিনীর সাথে ছবি ও বিভিন্ন উপদেষ্টা এবং বিএনপির নেতাদের সাথে জোরালো লবিং করে যাচ্ছেন নিজেকে রক্ষা করতে ব্যস্ত। এসব ছবি সংযুক্ত করা হলো নিচে।

শেখ হাসিনাকেও আম্মু ডাকতোঃ

আওয়ামী লীগের শাসন আমালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে আম্মু বলে ডাকতেন এই প্রতারক সালাউদ্দিন চৌধুরী। তিনি তার সকল প্রতারণা ও অপকর্ম ঢাকতে শেখ হাসিনার কার্যালয়ের তৎকালীন বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে প্রতি মাসে টাকা দিতেন। তার গুণকীর্তণ গাওয়ার জন্য কয়েকজন এমপি ও মন্ত্রীকেও মোটা অংকের টাকা দিতেন। নানান কৌশল ও অভিনয় করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন তদবির বাণিজ্য ও ব্যাংক লোন করে। এখনো ধরাছোয়ার বাইরে থাকে কিভাবে এই প্রশ্নের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বিএনপির কিছু শীর্ষ নেতাকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে এখন পার পেয়ে যাচ্ছেন। 

আসামী হয়েও আর্মি ও পুলিশের সাথে এতো সখ্যতা কেনঃ

হত্যা মামলার আসামি হয়েও দিব্বি স্থানীয় বিএনপি নেতা থেকে শুরু করে গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার, গাজীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে সেনাবাহিনীর লোকদের সাথে এমনকি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এইসব ছবি-ভিডিও মিডিয়াতে প্রচার করে ও ফেসবুকে দিয়ে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে জাহির করছেন। এই নিয়ে গাজীপুরের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পর্কে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। অভিযোগ আছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগকে পরামর্শ দিয়ে এবং অর্থ সহযোগিতা দিয়েছিলেন। একাধিক হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে তার সহযোগিতায়। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। সবচেয়ে অবাক হওয়ার বিষয় হলো হত্যা মামলার আসামী হয়েও তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পত্রিকার সাংবাদিকদের ডেকে এনে টাকার বিনিময়ে গাজীপুরের শিল্প কারখানার বিভিন্ন নিউজ করান নিজের কুকর্ম আড়াল করে নিজেকে একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে জাহির করে গ্রেফতার মুক্ত হতে।

২১৭ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারীঃ

সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, তিনি প্রতারণার মাধ্যমে এনআরবি ব্যাংক থেকে ১৮৭ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠান স্টাইলিশ গার্মেন্টস এর নামে ১৮৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে কসোভোতে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতিষ্ঠানটি ১০০% রফতানীমুলক হলেও এনআরবি ব্যাংক উত্তরা শাখার মাধ্যমে ব্যাংক টু ব্যাংক এলসি করে টাকা কসোভোতে পাচার করেন। সেই টাকা পরিশোধ না করায় এখন তিনি ঋণ খেলাপি। এছাড়াও তিনি মেরেডিয়ান এন্ড ফাইনান্স কোম্পানি থেকে ২০১৪ সালে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা থেকে নেওয়া সেই টাকাও পরিশোধ করেননি এখনও। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ অনেকেই টাকা বিদেশে পাচার করতেন এই সালাউদ্দিনের মাধ্যমে।

পুলিশ নিয়ে ঘুরেন ঢাকায়ঃ

হত্যা মামলার আসামী এই প্রতারক ঢাকার উত্তরা ও গুলশান এলাকায় যখন আসেন তখন ট্রাফিক পুলিশের প্রটোকল নিয়ে ঘুরতেন। নিজেকে ভিআইপি পার্সন হিসেবে জাহির করতে। আওয়ামী লীগের পদধারী একজন নেতা হয়ে কিভাবে এসব করেন, তা নিয়েও এখন প্রশ্ন সকলের।

তার রয়েছে ক্যাডার বাহিনীঃ

সালাউদ্দিনের রয়েছে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। তার সাথে কোন বিষয় নিয়ে কারোর বিরোধ দেখা দিলেই নিজস্ব বাহিনী দিয়ে ওই ব্যক্তির উপর হামলা করান। আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগের ক্যাডার ও কিশোর গ্যাংদের ব্যবহার করেছে। বর্তমানে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম রনি ও বিএনপি নেতা হালিম মোল্লার সহযোগিতায় নতুন করে একটি ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলেছে। মানুষকে মেরে ফেলা ও গুম করার হুমকি দেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

হাসিনা থেকে সবার সাথেই ছবিঃ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের আইজিপি, র‌্যাবের মহাপরিচালক থেকে শুরু করে দেশের কয়েকশ রাজনীতিবিদ, সরকারি আমলা ও আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতার সাথে তার ছবি রয়েছে। হাসিনার পতনের পর এসব ছবি ফেসবুক থেকে ডিলিট করে ফেলেছেন। তবে আমাদের হাতে এসব ছবির মধ্যে শতাধিক ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণে রয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই ছিলেন প্রচারের কাঙ্গাল।

মাদক ও নারীর নেশায়ঃ

প্রতারণা ছাড়াও নারী ও মাদকের নেশায় বুঁদ ছিলেন প্রতারক সালাউদ্দিন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন গুলশান ক্লাব, রেডিসন হোটেল, রেনেস্যান্স হোটেলসহ গুলশানে মাদকসেবন ও বিভিন্ন নারীদের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকতেন বলে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। শুধু সালাউদ্দিনই মাদক সেবনকারী নয়, তার শাশুড়ী কণা সরকারের বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগ আছে। তার মাদক সেবনের একটি ভিডিও ও একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েক বছর আছে বেশ ভাইরাল হয়েছে।

এমপির নামে গাড়ি চালাতেনঃ

সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, বিগত আওয়ামী সরকারের এক এমপির নামে ট্যাক্স ফ্রি গাড়ী কিনে চালাতেন তিনি। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই গাড়িটি আর দেখা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটি তিনি লুকিয়ে রেখেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গাড়ি কেলেঙ্কারী, ২১৭ কোটি টাকা বিদেশে পাচার, আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রীদের সাথে মিলে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সকল তথ্য বেরিয়ে আসবে।

সকল অপকর্মের সহযোগি স্ত্রী ও শাশুড়ীঃ

স্থানীয়রা জানান, স্টাইলিশ গার্মেন্টস এর চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের এসব অপকর্মের অন্যতম সহযোগী তার স্ত্রী মিশা চৌধুরী ও শাশুড়ী কণা সরকার। মিশা চৌধুরী গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত স্টাইলিশ গার্মেন্টেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই তিনি এলাকার নিজেকে একজন সমাজসেবক ও দানবীর হিসেবে পরিচিত করে তোলেন। টাকা দিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুই জন গাজীপুরের বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরে অনুদান, অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া এবং বিভিন্ন সংগঠনের অনুষ্ঠানে অতিথির আসন অলংকৃত করে নিজেদের বড় মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন। এরমধ্য দিয়ে স্থানীয়দের কাছে সালাউদ্দিন ও তার স্ত্রী সমাজসেবক, দানবীর ও গুণীজন হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন। এসব অনুষ্ঠান ও দান দক্ষিণার ছবি, ভিডিও, টিভিতে প্রচারিত সংবাদ নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে মানুষের বাহবা নেওয়ার চেষ্টা করেন এই দম্পতি। তবে সালাউদ্দিন চৌধুরী, তার স্ত্রী মিশা চৌধুরী ও তার শাশুড়ী কণা সরকারের বহুরূপী প্রতারণা ও অনিয়ম দুর্ণীতির কারণে তাদের নিকটাত্মীয়রা চরম ঘৃণা করেন।

কিশোর গ্যাং সক্রিয়ঃ

সালাউদ্দিনের নিজ এলাকা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোগড়া এলাকায় রয়েছে একটি শক্তিশালী কিশোর গ্যাং বাহিনী। যাদেরকে তিনি পিছন থেকে প্রত্যক্ষ মদদ দিতেন। এদেরকে দিয়ে তিনি বিভিন্ন অপকর্ম করান। তার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হলো-নবু, নুরু নাহিদ, রুবেল, বশির, মান্না, তানবির। এই বাহিনীর ভয়ে ভোগড়া ও আশেপাশের এলাকার মানুষ আতঙ্কে থাকে। এই বাহিনী এলাকার সবার কাছে যেন এক মুর্তিমান আতঙ্ক। তাদেরকে দিয়ে বাড়ি দখল, জমি দখল, চাঁদাবাজি, শিল্প কারখানা দখল, ছিনতাই সহ নানা অপকর্ম করাতেন সালাউদ্দিন। এদের কেউ পুলিশের হাতে আটক হলে তাদেরকে ছাড়িয়ে আনতেন সালাউদ্দিন এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

টাকার গরমে দুর্ব্যবহারঃ

অতিরিক্ত টাকার অহংকারে আত্মীয়স্বজন, নিজের কারখানার শ্রমিক ও পরিচিতজনদের অকারণেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন তিনি। গালমন্দ করা সালাউদ্দিন ও তার স্ত্রী মিশা চৌধুরীর যেন অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। এসব আপত্তিকর আচরণের কারনে তার সাথে নিকট আত্মীয় ও বংশের লোকজনদেরও নিরব দ্বন্ধ রয়েছে। তার এবং তার স্ত্রীর আচরণে ক্ষুদ্ধ তার পরিবার পরিজন ও এলাকার লোকজন।

ওসির বক্তব্যঃ

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পল্টন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মোঃ নাসিরুল আমীন বলেন, “ছাত্র আন্দোলনে যারা হত্যা করেছে বা গুলি করেছে এমন কাউকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। অচিরেই আমরা পর্যায়ক্রমে সকল খুনীদেরকে গ্রেফতার করবো।”

এদিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, “মূলত ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার পরবর্তী সময়ে আমাদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বেশ কিছু মামলা হয়েছে। মামলার তালিকা না দেখে আসামী সম্পর্কে বলা যাবে না। অন্য সময় আসেন বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবো।”

সালাউদ্দিনের বক্তব্যঃ

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গাজীপুরের বিতর্কিত পল্টিবাজ নেতা ও প্রতারক সালাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে এতোসব অভিযোগ থাকলেও তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button