কৃষিবার্তাবিবিধ

সাদা চিনি সাদা বিষ-নাখেলেবিশ্বমুক্ত ক্যান্সার-বিশ্বমুক্ত ডায়াবেটিস

কাজী মোঃ তফাজ্জল হোসেনঃ

১। ক্যান্সার কঠিন রোগ নহে। চিনি ও দুধ না পেলে, ক্যান্সার জীবানু এমনিতেই মারা যায়। মস্কো রাশিয়ার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গুপ্ত প্রসাদ রেড্ডি (বিপি) বলেছেন, ক্যান্সার কোন মরন ব্যাধি রোগ নহে।

কিন্তু মানুষ ক্যান্সার রোগে মারা যায় শুধুমাত্র ভয়-ভীতি এবং উদাসীনতার কারণে। ডাক্তার গুপ্ত প্রদাস রেড্ডির মতে, দুটি উপায় অনুসরন করলেই উধাও হবে ক্যান্সার। উপায় গুলি হলো

(১) প্রথম সব ধরনের সুগার (চিনি) না পেলে ক্যান্সার সেল গুলো এমনিতেই বা প্রাকৃতিক ভাবে বিনাশ হয়ে যাবে। ক্যান্সার চিনি ও দুধ পান করালে রোগী মারা যায়। চিনি ও দুধ ক্যান্সার জীবানুর প্রধান খাদ্য। চিনি ও দুধ ক্যান্সার রোগীকে খাওয়ানো বা পান করানো যাবে না।


২। এক গ্লাস গরম পানিতে একটি লেবু চিপে মিশিয়ে দিন। টানা তিন মাস প্রতি সকালে খাবারের আগে খালি পেটে লেবু মিশ্রিত গরম পানি পান করুন। উধাও হয়ে যাবে ক্যান্সার।


৩। ক্যান্সার জীবানু ও ডায়াবেটিস জীবানু রোগ এর প্রকৃতি একই ধরণ।


৪। আলসার তিন প্রকারঃ-


(১) পাকস্থলীতে ঘা তৈরী হলে তা গ্যাস্ট্রিক আলসার।


(২) পাকস্থলীর পরবর্তী অংশে ঘা তৈরী হলে তা ডিওডেনাল আলসার


(৩) এই দুই আলসার মিলে তৈরী হয় পেপটিক আলসার।


হাইপার এসিডিটি (ভারতীয় ভাষায় অম্বল) হলে বুক জ্বলে, অস্বস্তি বোধ হয় পেটের উপরি ভাগে। বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকলে হাইপার এসিডিটি (ভারতীয় ভাষায় অম্বল) হতে পারে। ধুমপান করলে বা চা, কপি খেলে জর্দা, পান পরাক, খইনি খেলে, সবটাতেই পাকস্থলী থেকে অম্ল ক্ষরন বেড়ে শুরু হতে পারে এসিডিটি অম্বল, বিশেষ করে খালি পেটে খেলে।


৫। টেনশন, ধূমপান, তামাকজাত নেশায় এ্যালকোহল বাড়ে। খালি পেটে এ্যাসপিরিন বা অন্য কয়েকটি ব্যাথার ঔষধ খেলে বিশেষ করে খালি পেটে।


৬। উপরের পেটে অস্বস্তি, গলায় ক্ষরন, বুকে জ্বালা, বা চিন চিনে ব্যাথা, পেটের উপর দিকে ভারবোধ, মোটামুটি ভাবে অম্লক্ষরন ( ) বাড়ানোর উপসর্গ। এগুলোর কারণে হাইপার (উচ্ছাঙ্গের) এসিডিটি বা অম্বল হলে পাকস্থলীর মধ্যে ঘা হতে পারে।


৭। যে সকল চিনি যুক্ত খাবার ও ফ্যাট পরিহার করা উচিতঃ
মাখন, পাম অয়েল, ফ্রেন্স ফ্রাই, মিহি করা খাবার, পটোটো চিপস, চর্বিতে ভাজা কেক, পেস্ট্রি, ব্রেক ফাস্ট, পেস্ট্রি, কেক ও কুকিজ, প্রক্রিয়াজাত ভাজা খাবার, পিজ্জা, সস ও আচার, টেবল সুগার, মাইক্রোওয়েভে রান্না করা খাবার, অ্যাগেভ মধু, ফলের সাস যুক্ত দই, সোডা, মিষ্টি বরফ চা, লেমোনেটেড স্বাদযুক্ত কপি, চকোলেট, ড্রিক্স, বিয়ার, এ্যালকোহল মিশানো ফলের রস।


৮। গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বলতে পাকস্থলী সমস্যা বুঝায়। যাহাকে বলে হাইপার এসিডিটি বা উচ্চাঙ্গের এসিডিটি সমস্যা।


৯। পাকস্থলীর পরবর্তী অংশে হলে তা ডিওডেনাল আলসার। এই দুই আলসার মিলে সৃজন হয় পেপটিক আলসার।


৯। গ্যাস আর গ্যাস্ট্রিক এক নহে। পেটে জমার সঙ্গে সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই গ্যাস্ট্রিক আলসারের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button