জনাব, তারেক রহমান সাহেব এদের মুখে লাগাম টেনে ধরেন

বিগত আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময়ে জনাব কিরন কে মাঠে ময়দানে এমন কি জঙ্গলে খোঁজে পাওয়া যায়নি। তবে শরীয়তপুর এর দুর্নীতির বরপুত্র সাবেক এমপি এ কে এম এনামুল হক শামীমের সাথে জোছনার আলোর মত ফক ফকে ও ঝকঝকে সম্পর্ক ছিল।
কিন্তু ফ্যাসিবাদী সরকারের এই ১৭ বছর তাকে শরীয়তপুর জেলে যেতে হয় নাই। তিনি তার ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। জেলা বিএনপির সভাপতি অথচ এক দিনের জন্য তাকে হাজত খানা কি ? জিনিস সেটা উপলব্ধি করতে হতে হয়নি। হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা এবং হাজতবাস আমি শরীয়তপুর জেলখানায় থেকে দেখেছি।
বিএনপি অঙ্গ সংগঠন এর অনেক -কর্মী কে বিভিন্ন মামলায় জেল হাজতে যেতে হয়েছে । তখন জামাতের কোন লোককে পেলে যে কোন মামলায় যেকোনো বিষয়ে অকারনে মিথ্যা ল্যাপন লাগিয়ে দিত এইভাবে যে জামাত-বিএনপি সম্পৃক্ত।
ঠিক এখন বিএনপি-র যারা মাঠ পর্যায়ে ত্যাগী নেতা কর্মী কিরণের ফালতু কথায় কান দিচ্ছেন না। তখনই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তারা আওয়ামী লীগের পান্ডা। আদম ব্যবসা করতে করতে সেই কিরন আদম ব্যবসা কে রাজনীতির ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত করতে চাচ্ছেন। তবে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে গত জাতীয় নির্বাচনে তিনি এনামুল হক শামীম কে গাড়ি উপহার দিয়েছেন ।
আর এখন তিনি কর্মীদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ভিডিও বার্তা আপলোড করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে। তাতে বলেছেন আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান/ মেম্বার কিভাবে হয় তা দেখিয়ে দিব । এই ধরনের দেখিয়ে দেওয়ার বা হুমকি দেওয়ার উনি কে এটাই এখন কর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন।
জনগণের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচন হবে আর ওনার কথাবার্তায় মনে হয় তিনি দলের রীতি নির্ধারক। তাই জনাব তারেক রহমান সাহেব কে অনুরোধ করবো এই ধরনের লোকজনের বক্তব্য এবং গতিধারার বিষয়টি নজরে আনা। কারণ এদের মত অতি বিপ্লবী কিরণদের কারণে বিএনপির মত বিশাল রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন সময় জনগণের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় ।