এক্সক্লুসিভ

নীলফামারী ডোমার থানা ওসি আরিফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি: ওসি মোঃ-আরিফুল ইসলাম আরিফ”অফিসার্স ইনচার্জ নীলফামারী, ডোমর থানা, BP.NO.8411151134 গত ৫ আগষ্ট সরকার পরির্তনের এলাকায় মাদক ও চুরি, ছিনতাই অপহরণ সহ নানান ঘটনা ঘটেই চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, স্থানীয় চিন্হিত একজন মাদক ব্যাবসায়ী বলেন, ওসি আরিফ স্যার অনেক ভালো মানুষ। তার সাথে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক। আমরা মাসে একটা টাকা দিয়ে দেই তাকে। আরিফ স্যার থানায় আসার পর আমাদের সাথে মিটিং করে বলেন তোমরা প্রতিদিন টাকা দিলে পুনিশ তোমাদের ধররেনা। আমরা

১৫ জন ব্যাবসায়ী মিলে প্রতিদিন এক লক্ষ টাকা দেই।

এদিকে এলাকার আইন শৃঙ্খলা ও মাদক পরিস্তিতি ব্যাপারে ডোমার উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ওসি চরিত্র ভালো না, তিনি আসার পর এলাকায় মাদক কারবারী, চুরি ডাকাতি, চোরাচালান,মারামারি, রাহাজানি অতীতের চেয়ে কয়েক গুন বেড়ে গেছে বলে মন্তর করেন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, ওসি আরিফ ডোমর থানায় আসার পর এলাকার আইন শৃঙ্খলা, চোরাকারবারি মাদক সেবির সংখ্যা আগের চেয়ে কয়েক গুন বেড়ে গেছে এবং তার বিরুদ্ধে সাধারন জনগণের সাথে খারাপ আচরণে অভিযোগ রয়েছে।

ডোমর গোমনাতী ইউনিয়নের এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, ওসি আরিফ আসার পর আমার নিকট হইতে চার ধাপে মোটামুটি ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এস আই শাকিল মাহমুদ তিন বছরে আমার নিকট হইতে আনুমানিক এক কোটির বেশী টাকা নিয়েছেন।

ডোমর উপজেলার জামাতের এক নেতা অভিযোগ বলেন, ওসি আরিফ দিনের বেলায় ও রাতে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ এর সাথে গোপনে চলাফেরা করেন। কিন্তু তোফায়েল আহমেদ এর বিরুদ্ধে ৪টি মামনা রয়েছে তারপরেও তাকে গ্ৰেফতার করেছে না। তার নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়েছে আরিফ।

গত ৫ মার্চ নীলফামারী – কোর্ট প্রাঙ্গনে সাইফুল ইসলাম ভুট্ট নামের ব্যক্তি কান্নাকাটি করে বলেন, আমি একজন ব্যাবসায়ী,ওসি আরিফ আমাকে প্রথমে বাসা হইতে গ্ৰেফতার করে এনে এক লক্ষ্য টাকা দিতে বলেন, নাহলে বিএনপির মামলায় চামান দিবে, কিন্তূ টাকা দিতে না পাড়ায় আমাকে বিএনপির মামলায় চালান করে দেয়।

একই মামলায় আরো ২জন অভিয়োগ করে বলেন, ওসি আরিফ আমাদের নিকট ২ লক্ষ টাকা দিতে বলেন, আমি দিতে না পাড়লে তিনি আমাকে কোর্ট ফরওয়ার্ডিং এ থানা হইতে আসামী কোটে চালানে ভুল ধারা দিয়ে চানান করেন। এতে করে মামলার জামিন নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়।

এদিকে ডোমার থানা এলাকার শান্তি প্রিয় সর্বসাধারণ এই দুর্নীতিবাজ ওসি আরিফ সহ অন্যান্য দুর্নীতিবাজ অফিসারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান।

এ ব্যাপারে ডোমার থানা ওসি আরিফকে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button