অন্যান্য

বিশ্ব পথ শিশু দিবস উপলক্ষে নবজাতকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে ডা. মজিব নিউবর্ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন

এজাজ রহমান : ডা. মজিব নিউবর্ন ফাউন্ডেশনের  উদ্যোগে ‘বিশ্ব পথশিশু দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে নবজাতক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তন, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকায় দিবসটি পালন করে ডা. মজিব নিউবর্ণ ফাউন্ডেশন। 

উক্ত বিষয়টি প্রসঙ্গে আলোচকরা বলেন, সদ্য ভূমিষ্ঠ হলো যে শিশু, গগণ বিদারি সুতীব্র চিৎকারে খর্বদেহ নিঃসহায়, তবু মুষ্ঠিবদ্ধ হাত তার

চায় আদর-ভালোবাসা, চায় বাঁচার অধিকার’।

“নবজাতক” শব্দটি পৃথিবীর সুন্দরতম, আনন্দময় এবং পবিত্র শব্দগুলোর একটি। যেকোনো নবজাতকের জন্ম

হলে তার বাবা-মা, পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজন খুবই উৎফুল্ল এবং আনন্দিত হন। সেটা গরিবের সন্তান হোক কিংবা ধনীর।

জন্মের পর একটি নবজাতক তার মমতাময়ী মায়ের কোলে থাকবে এটাই চিরন্তন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, কিছু নবজাতক আছে যাদের মায়ের কোলে আশ্রয় মেলেনা। নিরাপদ মায়ের কোলে লাখো শিশুর চিরন্তনে এ চাওয়া সহজেই পূরণ

হলেও নিগৃহীত অনেকেরই ঠাঁই মেলে নালা-নর্দমা কিংবা অলি-গলির ডাস্টবিন, রাস্তাঘাটের পাশে, নদী নালার তীরে অথবা কোন ব্রিজের নিচে, ফুটপাতে কিংবা কোন ঝোপ-ঝাড়ে, অথবা ধান ক্ষেতের কোন আইলে। আমাদের পারিপার্শ্বিকতা, সামাজিক পরিচয়, আর্থিক অসচ্ছলতা এবং সোশ্যাল স্ট্যাটাস কে গুরুত্ব দিতে গিয়ে এ ধরণের অপরাধে জড়িয়ে পরছে অনেকে। এটা নির্মম বাস্তবতা। আমরা কতটা নৃশংস ও পাশবিক হলে একটা ফুটফুটে নবজাতককে, একটা পবিত্র নবজাতককে এভাবে ফেলে দিতে পারি।

ডা. মজিব উল্লেখ করেন- আল্লাহ বলেছেন, “আমি যাকে জীবন দিব তাকে কেউ মারতে পারবে না, আমি যাকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইবো, তাকে কেউ পৃথিবী থেকে সরাতে পারবে

না।” সে ধারণাকে সামনে নিয়েই গত ১০ বছর যাবত আমি ডা. মোঃ মজিবুর রহমান, বিভিন্ন জায়গা থেকে কুড়িয়ে আনা ৪১ জন নবজাতকের চিকিৎসা দিতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, নবজাতক যেহেতু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ তাই ‘পথ নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্র’ তৈরি করা বিশেষ প্রয়োজন।

 ‘নিউবর্ন হাব’ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেখানে বাবা-মা চাইলে পরিচয় গোপন করে শিশুকে সুরক্ষিতভাবে রেখে যেতে পারে এ ধরনের ‘হাব’ হতে পারে।

এসব নবজাতকদের জন্য হিউম্যান ব্যাংক জরুরি।

পথ নবজাতকদের জন্য একটি স্বচ্ছ, দ্রুত ও মানবিক প্রক্রিয়া করতে হবে। যাতে খুব সহজেই এসব অসহায়, সুবিধা-বঞ্চিত শিশুরা একটি নিরাপদ পরিবার পায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button