জুলাইয়ের ইন্টারনেট শাটডাউনের নির্দেশদাতা: মাহরীন আহসান

স্টাফ রিপোর্টারঃ
“Assalamualaikum everyone, as per the instruction I am directed to inform you all to shut down the internet from your IIG end completely and send me a SMS ‘done’ after completion. Regards.”
এই মেসেজটি ছিল ১৮ জুলাই রাতে দেয়া একটি সুপরিকল্পিত অপরাধের সূচনা।
মাহরীন আহসান -, যিনি শুধুমাত্র প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নন, বরং ডিজিটাল বধ্যভূমির এক পরিচালকের ভূমিকায় ছিলেন।

তিনি নিজ হাতে একটি গ্রুপ তৈরি করেন, যেখানে BTRC এবং দেশের অন্যান্য বড় ইন্টারনেট গেটওয়েগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয় — দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে হবে।
কিন্তু নির্দেশ পালন দ্রুত না হওয়ায় তিনি একের পর এক মেসেজ পাঠাতে থাকেন।
চাপ বাড়াতে থাকেন — “ম্যাডাম (হাসিনা) রেগে যাচ্ছেন”, “এখনো পুরোপুরি ইন্টারনেট বন্ধ হয়নি” — এইসব বার্তায় স্পষ্ট হয়, কী রকম মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি জনগণকে তথ্যহীন করার জন্য।
এই শাটডাউনের মাধ্যমে তিনি সরকারের বর্বরতার সাক্ষী ও আলামত সব মুছে দিতে চেয়েছিলেন। সেদিন রাতের রক্ত, আর্তনাদ, প্রতিরোধ — সবকিছু ঢেকে ফেলতে চেয়েছিলেন ডিজিটাল অন্ধকারে।
এই পুরো ইন্টারনেট শাটডাউনের অন্যতম একজন পরিকল্পনাকারী ছিলেন মাহরীন আহসান। সরকারের নৃশংস কর্মকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দেশকে ডিজিটাল অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার এই অপরাধে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারের অনুমতি দিলেও, একজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের আপত্তির কারণে তা কার্যকর হয়নি।
একটি প্রশ্ন থেকেই যায়:
যারা গণহত্যা সংঘটনে সহযোগিতা করেছে, যারা জনগণের তথ্যপ্রবাহ বন্ধ করে হত্যার আলামত মুছে ফেলতে সাহায্য করেছে — তাদের কি বিচার হবে না?
গণহত্যার এই দোসরদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুন। বিচার নিশ্চিত করুন। ইতিহাস যেন ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে পারে।
Reference :
July Revolutionary Alliance JRA