খিলক্ষেত প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভেচ্ছা বিনিময়

হাবিব সরকার স্বাধীন: মানুষ কর্ম গুনে বেঁচে থাকবে মানুষের হৃদয়ে, সবার উপরে মানূষ সত্য তাহার উপরে নাই। মানূষ যদি ভালো কিছু করতে চায় মানুষের দারা সবই সম্ভব, পৃথিবীতে অসম্ভবের কিছুই নাই। আমরা যারা রয়েছি যার যার দায়িত্ব থেকে মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারি এটাই পৃথিবীর বুকে উত্তম কাজ। মানুষের মাঝেই সৃষ্টিকর্তা তিনি বলেছেন, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। ছোট্টো জীবনে যেটুকু সম্ভব দেশ ও জাতীর স্বার্থে শ্রম মেধা দিয়ে কাজ করে যাবো। কথাটি বলেন ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি)।

খিলক্ষেত প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ সাথে ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভেচ্ছাও মতবিনিময়। উপস্থিত প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাবিব সরকার (স্বাধীন) সাধারণ সম্পাদক আরমান চৌধুরী, সহ সভাপতি মহিউদ্দিন মহিন, দপ্তর সম্পাদক সোহেল রানা, প্রচার সম্পাদ,অন্তর।ও সদস্যগণ। ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল সহকারী ভূমি কমিশনার মোঃ শোয়েব শাত-ঈল (ইভান) ইতিমধ্যেই খারিজ হওয়া কার্যক্রম দ্রুততার সাথে এগিয়ে নিয়ে গ্রাহকদের মন জয় করেছেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল, ঢাকা, মোঃ শোয়েব শাত-ঈল ইভান ভূমি অফিসে সেবার মান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
এক চায়ের দোকানে বসে এক গ্রাহক মন্তব্য করেন, “ইভান স্যারের ছোঁয়ায় ভূমি সেবা বদলে যাচ্ছে। জমির নামজারি, খারিজসহ অন্যান্য সেবাগুলো দ্রুততার সাথে সমাধান পাচ্ছে। গ্রাহকরা এখন নিজের সমস্যাগুলি সরাসরি ভূমি অফিসে এসে প্রকাশ করতে পারছেন, যা আগে কখনও সম্ভব ছিল না।”
এছাড়াও, ভূমি অফিসে সেবাগ্রহণকারীরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। খিলক্ষেতের বাসিন্দা আলী মিয়া বলেন, “আগে চার দিন খুঁজেও খারিজ কাগজ পাইনি। তবে এখন ইভান স্যারের সহায়তায় সমস্যা সমাধান হয়েছে। এখন আমরা নিশ্চিন্তে ভূমি সেবা পাচ্ছি।”
একইভাবে, সাদ্দাম ও আলী নামের অন্যান্য গ্রাহক বলেন, “ইভান স্যারের আগমনের পর থেকে আমাদের ভূমি সেবা একেবারে পরিবর্তিত হয়েছে। কোনো দালাল বা তৃতীয় পক্ষের সহায়তা ছাড়াই আমরা সেবা পাচ্ছি।”
তাদের মতে, ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের আচরণ এবং কার্যক্রম অনেক উন্নত হয়েছে। এখন, সাধারণ মানুষ সরাসরি এসিল্যান্ড স্যারের সাথে দেখা করে তাদের সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন।
এছাড়া, ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল ভূমি অফিসের পরিবেশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজও চলছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শোয়েব শাত-ঈল ইভান বলেন, “আমরা সবসময় সেবাপ্রার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছি। ডিসি স্যারের এবং ইউএনও স্যারের সহযোগিতায় ভূমি সংক্রান্ত সব সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে।”
ভূমি অফিসের এসব সেবার মধ্যে গ্রাহকদের কাগজপত্র দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ, এসএমএস বা ফোনের মাধ্যমে সময় জানানো এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা অন্তর্ভুক্ত।
তিনি আরও বলেন, “যে সেবা অফিস থেকে দেওয়া সম্ভব, তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করা হচ্ছে। আর যে সেবা এখান থেকে পাওয়া সম্ভব নয়, সে বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি, শোয়েব শাত-ঈল ইভান সাবেক সাংবাদিক হিসেবে তার সাহসিকতার জন্যও পরিচিত। তিনি দৈনিক সমকাল ও ডেইলি স্টারে কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন। তিনি তাঁর দায়িত্বে থাকাকালীন গ্রাহকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি আরও জানান, “আমার লক্ষ্য হচ্ছে, ভূমি সংক্রান্ত সেবা প্রদানকারীদের কাছে যেন কোনো হয়রানি না থাকে এবং তারা যেন সঠিক সেবা পায়।”
ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মোঃ শোয়েব শাত-ঈল ইভান যোগদানের পর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, আবাদি জমির মাটি কাটাসহ অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতও চালিয়ে চলেছেন। সরকারি খাস জমি উদ্ধার এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজেও তিনি তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।