এক্সক্লুসিভ

“৩০০ বছরের জুলুমের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়ার সময় এসেছে”— এনসিপি নেতা আরিফ সোহেল

ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, কর্মসূচি এবং সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ ঘিরে উত্তপ্ত সময়ের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক সাহসী ও আগুনঝরা বার্তা ছুড়ে দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফ সোহেল
তার ফেসবুক পোস্টে উঠে এসেছে প্রশাসনের প্রতি গভীর অনাস্থা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সীমাবদ্ধতা এবং বিপ্লবের সম্ভাব্য ইঙ্গিত।

তিনি লিখেছেন:

“ব্রিটিশ শাসন শোষণের উত্তরাধিকার সচিবালয় তার স্বরূপে হাজির হয়েছে।”

পোস্টে তিনি বর্তমান সচিবালয়কে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলের শোষণ যন্ত্রের আধুনিক রূপ বলে আখ্যায়িত করেন। তার মতে, প্রশাসনিক কাঠামো এবং আমলাতন্ত্র এখনো জনগণের শত্রু হিসেবেই অবস্থান করছে।


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা নিয়েও ক্ষোভ

আরিফ সোহেল বলেন—

“অতি দ্রুতই দুর্বল ও ব্যর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নইলে বিপ্লবীরা একে সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে নেবে।”

এ বক্তব্যে পরোক্ষভাবে একটি সাম্ভাব্য গণবিপ্লব বা রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠনের হুঁশিয়ারি প্রকাশ পেয়েছে, যা বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।


🧨 “৩০০ বছরের জুলুমের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ লোভনীয়”

তার ভাষায়,

“৩০০ বছরের জুলুমের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ যেকোনো বিপ্লবীর জন্যেই খুবই লোভনীয়।”

এই মন্তব্যে স্পষ্টভাবে উঠে আসে ঐতিহাসিক ক্ষোভ ও বিপ্লবী আবেগ। তিনি বোঝাতে চান, এ দেশ এখনো প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হয়নি। এই অব্যবস্থা, শোষণ ও কেন্দ্রিক ক্ষমতা কাঠামো ভেঙে ‘নতুন গণতান্ত্রিক চুক্তি’র প্রয়োজনীয়তা সামনে চলে এসেছে।


⚖️ “বল কার কোর্টে?”— জনতার হাতে নাকি সরকারের?

আরিফ সোহেল তার পোস্টের একেবারে শেষাংশে লিখেছেন—

“অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে— বল নিজের কোর্টে রেখে খেলবে নাকি জনতার কোর্টে দিয়ে দেবে। আমাদের আপত্তি নাই। আমরা রেডি!”

এই বার্তা একদিকে যেমন সরকারকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা, অন্যদিকে জনগণকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতির আহ্বান বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


🔍 বিশ্লেষকদের মত

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান বলেন—

“এই বক্তব্য হঠাৎ নয়। এটি সরকারের প্রতি চাপ তৈরির অংশ, আবার এটিকে গণ-অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি বলেও ব্যাখ্যা করা যায়। সবচেয়ে বড় কথা, এ ধরণের বক্তব্য প্রশাসনিক দুর্বলতা ও রাজনৈতিক ভ্যাকুয়ামকে নগ্ন করে দিচ্ছে।”


📌 সচিবালয় এখন নজরে:

সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ জারি হওয়ার আগে থেকেই সচিবালয়ে অসন্তোষ, পেশাগত নিরাপত্তাহীনতা এবং আমলাদের মধ্যকার তীব্র ক্ষোভ জমছিল।
এখন সেই ক্ষোভ, সামাজিক আন্দোলন, এবং বিপ্লবের হুমকি— একসঙ্গে এক সংকটজনক মোড়ের দিকে দেশকে ঠেলে দিচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button