এক্সক্লুসিভ

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের গতি বদলাবে: ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের আগাম চিত্র

ডেস্ক রিপোর্টঃ মধ্যপ্রাচ্যে আর ক’দিন যুদ্ধ চললেই ইজরায়েল হয়তো আর আগের মতো থাকবে না — এমন ভাবনাই এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। চুক্তিভঙ্গের ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ইজরায়েলের আগাম পদক্ষেপ কেমন হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

চুক্তিভঙ্গ হলে ইজরায়েল কেমন প্রতিক্রিয়া জানাবে আর তৎপর হলে ওয়াশিংটন তাদের পাশে থাকবে কিনা — তা সময়ই বলে দেবে। আর তেহরান আরেকবার আগের মতো প্রতিক্রিয়া জানাবে কিনা, সেটাই আগাম ভাবনায় রাখা হয়েছে।

রিজবীর মতে, বিশ্বজুড়ে অজেয় ভাবমূর্তির যে ইজরায়েল সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখন চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে ইজরায়েলের মানুষের আত্মমর্যাদা আর আত্মবিশ্বাসে, যা পুনরুদ্ধারে সময় লাগতে পারে বহু বছর।

যদি যুক্তরাষ্ট্র আর ইজরায়েলের কৌশল কার্যকর হতো, তারা আগেভাগেই তেহরানকে অচল করে ফেলত। কিন্তু এইবার নেতানিয়াহুর কৌশল পুরোপুরি ভেস্তে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র-ইজরায়েল কার্যত সুবিধা করতে না পারায় সিসফায়ারের দিকে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে মনে করছেন রিজবী।

তার ভাষায়, তেহরান কেবল আকাশ প্রতিরক্ষা ভেদই নয়, বিশ্বমঞ্চে অজেয় ভাবমূর্তির খোলস থেকেও ইজরায়েলকে খসিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। আর ক্ষতির হিসাব কষতে গেলে ইজরায়েলের চেয়ে তেহরান অনেক ভালোভাবে আগলে রাখতে পারবে তার ক্ষত।

রিজবীর আশাবাদ, ইরান আগের চেয়েও বেশি তেজ আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে — কারণ এটি তাদের ইতিহাস আর রক্তের অংশ। ১৯৮০ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের মতোই তারা আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী আর ধৈর্যশীল হয়ে উঠতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যে এই সংঘাত তেহরানকে কেবল প্রতিরক্ষা নয়, কৌশলগতভাবে আগের চেয়েও অনেক বেশি অগ্রসর করবে — এমনটাই মনে করছেন এই বিশ্লেষক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button