পাঁচমিশালিরাজনীতি

রাজনৈতিক ঐক্য না থাকলে ফ্যাসিস্ট দ্বারা যে কেউ ক্ষতির শিকার হতে পারে: এ্যানি

এস এম আওলাদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, প্রতিটা রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি, আমার কথা বলার সময়, আমার কর্মসূচি দেওয়ার সময়, আমাকে খুব হিসাব নিকাশ করে এগোতে হবে। হিসাব-নিকাশ করেই আমাকে কথা বলতে হবে। হিসাব-নিকাশ করেই আমাকে কর্মসূচি দিতে হবে। আপনারা সজাগ এবং সতর্ক থাকবেন।

তিনি বলেন, গতকালকের (বুধবার) গোপালগঞ্জের কথা আমরা ভুলি নাই। আমাদেরকে খুব সতর্ক এবং সজাগ থাকতে হবে। রাজনৈতিক ঐক্য না থাকলে ফ্যাসিস্ট এবং লুটেরা দ্বারা যে কেউ ক্ষতির শিকার হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা মিলনায়তনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের (বাজুস) ৬০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, কারো ভুলের কারণে, কোন রাজনৈতিক দলের ভুলের কারণে, কোন ব্যক্তির কারণে আমার স্বাভাবিক জীবন, স্বাভাবিক চলাফেরা, স্বাভাবিক বসবাস, স্বাভাবিক দেশ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা খুব সতর্ক যদি না থাকি, যেভাবে ফ্যাসিস্ট দেশবাসীকে জিম্মি করেছিলো, ঘায়েল করেছিলো, আমরা সেই ঘায়েলের শিকার, ফ্যাসিস্টের শিকার, জিম্মি হওয়া, গুম-খুনের মুখোমুখি হওয়া, ওই ধরনের পরিস্থিতি থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতেই হবে এবং সে পরিস্থিতি থেকে যদি বের হয়ে আসতে হয়, স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে হয়, স্বাভাবিক ব্যবসা করতে হয়, তাহলে ঐক্যটা হলো সবচেয়ে বড় জিনিস। সেখানে সর্বপ্রথম হলো রাজনৈতিক ঐক। যদি রাজনৈতিক ঐক্য না থাকে এবং সে যদি সুদৃঢ় না হয়, ইস্পাত কঠিন দৃঢ় ঐক্য না হয়, তাহলে গোপালগঞ্জে গতকালকে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিলো ফ্যাসিস্ট দ্বারা, খুনি দ্বারা, যারা গুম করেছে, খুন করেছে, লুটেরা দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন অন্য কেউও হতে পারে। সকল রাজনৈতিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নাই।

তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীসহ সমাজে যারা আমরা বিভিন্ন পেশায় আছি, বিভিন্নভাবে বসবাস করি, সবার দায়িত্ব হলো এই মুহূর্তে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। এ সরকার কোন ব্যক্তির সরকার নয়, এ সরকার কোন দলের সরকার নয়। এ সরকার আমাদের দেশের আন্দোলনের ফসল। এ সরকার জনগণের সরকার। আমাদের সবার সরকার। প্রত্যাশা থাকবে, দাবিও বেশি থাকবে।

এ্যানি বলেন, যেহেতু এক বছর পার হয়েছে, সুতরাং দাবির পরিমাণ এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা জানি আপনারা সবকিছুই একসাথে করতে পারবেন না। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা অবনতি যেন না হয়, আইনশৃঙ্খলা আমার কাছে প্রায়োরিটি। আমি স্বাভাবিক জীবন চাই। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে চাই, স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে চাই, স্বাভাবিক রাজনীতি করতে চাই।

জেলা বাজুসের সভাপতি সমীর কর্মকারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, লক্ষ্মীপুর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি শংকর মজুমদার, চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর স্বপন দেবনাথ, বাজুসের আইন উপদেষ্টা মিলন মন্ডল, প্রহলাদ সাহা রবি, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শিমুল সাহা, বাজুসের জেলা সাধারণ সম্পাদক পরেশ কর্মকার প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button