
এক রুপালি কান্ডে চরম অসুস্থিতে রয়েছে দেশের সাংবাদিক সহ সাধারণ মানুষ।
রুপালি এমনি একজন মহিলা যিনি কিনা তার নিজের নামটাও সঠিক ভাবে লিখতে পারেন না। এমনকি ইংরেজি তো দূরের কথা, বাংলা রিডিংটাও পড়তে পারেন না।
অথচ তিনি কিছু অসাধু, নামধারী,নাম সর্বস্ব পত্রিকার অসাধু সম্পাদকের বদৌলতে হয়ে উঠেছেন মস্তবড় সাংবাদিক। তিনি করতে পারেন না এমন কোন কাজ নেই।
রয়েছে তার রুপের বাহার ,যা দিয়ে তিনি সবাইকে বশ করেন।
আরো রয়েছে তার বহু বিবাহ প্রচলন, রয়েছে একাধিক স্বামী সংসার। তার চোখে যাকে ভালো লাগে, তাকেই তিনি তার রূপের জালে ফাঁসিয়ে ,তার সর্বস্ব লুটে নেন। এভাবে একাধিক পুরুষকে তিনি সর্বস্বান্ত করেছেন।
বর্তমানে তার মিন্টু নামে স্বামী রয়েছে, যিনি আদম ব্যবসার সাথে জরিত ।আদম ব্যবসায়ী মিন্টু সর্বস্ব দিয়ে যখন বুঝতে পারেন রুপালি একটা দুশ্চরিত্রা , লম্পট, প্রতারক, তখন এ বিষয়ে রুপালির সাথে কথা বলেন ,তখনই রূপালী তার স্বামীর সাথে দুর্ব্যবহার শুরু করেন ,তার আসল রূপ দেখিয়ে দেন, ঠিক তখনই তার স্বামী মিন্টু ষ্টক করে প্যারালাইজড হয়ে যান। রুপালি যখন বুঝতে পারেন একে দিয়ে আর কোন কাজ হবে না তখনই জোর করে তার স্বামীকে গাড়িতে তুলে দেন স্বামীর নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে।
এর পূর্বে রুপালির লিটন ও ফারুক নাম আরো দুজন স্বামী রয়েছে, তাদের ঘরে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।কারো সাথেই আইনি ভাবে ডিভোর্স হয়নাই।
পূর্বের এ সকল স্বামী থাকতেও রুপালি কিছুদিন যাবত রাকিব নামে এক ট্রাক ড্রাইভারকে বিয়ে না করে স্বামী সাজিয়ে এক সাথে বসবাস শুরু করে। বিষয়টি ট্রাক ড্রাইভার এর স্ত্রী এসে সবার সামনে উন্মোচন করলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন দেশের বিবেক সাংবাদিক মহল।
স্বরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তাদের সাথে কোন বিয়ে হয় নাই, বিয়ে ছাড়াই তারা অবৈধ মেলামেশা করেন। দীর্ঘদিন রূপালী তার বাসায় সেই ট্রাক ড্রাইভারকে নিয়ে রাত যাপন করেন।
এদিকে রূপালী ট্রাক ড্রাইভারকে সাংবাদিক বানানোর ঠিকাদারি নিয়ে বসেন, দুজনে মিলে একত্রিত হয়ে সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে কলংকৃত করে চাঁদাবাজি ও মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ এর ফন্দি আঁটেন।
রুপালীর সাথে যোগাযোগ হয় কথিত মুক্ত বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের, তার মাধ্যমেই ট্রাক ড্রাইভারকে সাংবাদিকতার মত মহান পেশার লাইসেন্স হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়, খোঁজ নিয়ে জানা যায় ট্রাক ড্রাইভার এসএসসি পাস করার মত সাফল্য অর্জন করতে পারেন নাই।
এই বিষয়টি নিয়ে মুক্ত বাংলার সম্পাদক এসএম মহসিন আলম এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন একটি বাটপার চক্র আমার জাতীয় সাপ্তাহিক মুক্ত বাংলা পত্রিকাটি চুরি করে পাবলিশ করছে যেটা আমি জানিনা আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার জাতীয় সাপ্তাহিক মুক্ত বাংলা পত্রিকাটি প্রিন্ট হচ্ছে আমি কাউকে আমার মুক্ত বাংলা পত্রিকা প্রিন্ট করার অনুমতি দেই নাই।
তিনি আরো বলেন আমি অতি শীঘ্রই এই মুক্ত বাংলা পত্রিকা যে আমার অগোচরে প্রিন্ট করছে, হকার ,ট্রাক ড্রাইভার, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, এদেরকে কার্ড দিয়ে আমার পত্রিকার স্বনাম ক্ষুন্ন করছে আমি অতি শীঘ্র এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এই রুপালি জাতীয় সাপ্তাহিক মুক্ত বাংলার পরিচয় দিয়ে ধরা কে সড়া ঙ্গ্যান করছেন। এই রূপালী এমনই একজন দুশ্চরিত্র মহিলা যার দ্বারা যে কোন কাজ করা সম্ভব, তিনি মাঝেমধ্যেই ঢাকার বাইরে কাজে চলে যান, দুইদিন তিনদিন পর তিনি আসেন তিনি কি কাজ করেন যেটা করে তিনি মাঝেমধ্যে ঢাকার বাইরে চলে যান।
এই রুপালির নামে বিভিন্ন জনের কাছে রয়েছে হাজারো প্রতারণার অভিযোগ বেশ কিছুদিন আগে রূপালী টঙ্গী আরিজপুর বউবাজার এলাকাতে এক এনজিওতে অন্য একজনকে স্বামী বানিয়ে আশি হাজার টাকা লোন তোলেন যে টাকা আজ পর্যন্ত ফেরত দেননি ।যেখানে তারা স্বামী-স্ত্রী না এভাবেই তারা প্রতারণা করে আসছে সাধারণ মানুষসহ সবার সাথে।
আরো হাজারো অভিযোগ রয়েছে রুপালির নামে যিনি কিনা আবাসিক হোটেলেও যেতে দ্বিধা করেন না।
একজন নারীর আবাসিক হোটেলে কি কাজ থাকতে পারে এটা প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
এই রুপালি গং দের অত্যাচারে আতঙ্কে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ।
রুপালি দের এমন আচরণে বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিক সমাজ। গাজীপুর ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশের সাংবাদিক আজ বিব্রতকর অবস্থায় ওদের মত নষ্টা চরিত্রের মহিলারা সাংবাদিক নাম ব্যবহার করায়, আজকের সত্যিকারের সাংবাদিক যারা তারা কোন ঠাসা হয়ে পড়েছেন রুপালি গং দের কারণে । রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতেও বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।
এই রুপালি গং দের অভাব নেই, তারা যেখানে যাবে সেখানেই মানুষকে জিম্মি করে মামলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের থেকে অর্থ হাতিয়ে নেবে এটাই হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে রূপালীদের কাজ।
রূপালীদের মত জঘন্যতম সাংবাদিক নামের সাংঘাতিক দের হাত থেকে জাতি রেহাই পেতে চায় সুশীল সমাজের কাছে জাতি আজ প্রশ্ন রাখে এভাবে যদি অক্ষরজ্ঞানহীন সাংবাদিকেরা সমাজে বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করে তাহলে এ জাতির ভবিষ্যৎ কি?
তাই যেকোন মূল্যে এই রূপ ও চামড়ার ব্যবসায়ীদের সাংবাদিকতার মত মহান পেশা থেকে দূরীভূত করার জোর দাবি জানায়।
এদেরকে যারা সম্পাদক নামের কুলাঙ্গারেরা পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন তাদের কেউ আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। পরবর্তী সংখ্যায় আরো বেশ কিছু চাঞ্চল ও তথ্য নিয়ে আসে ধারাবাহিক প্রতিবেদন।



