
এজাজ রহমান: বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় এর ফ্যাসিবাদের দালাল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসৌজন্যমূলক ও স্বেচ্ছাচারী ফ্যাসিবাদি আচরণ ও বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নের বাধা এবং নতুন স্বাধীনতায় বাধাগ্রস্থ সরকার পট পরিবর্তনের পর বর্তমান সরকারের জ্বালানী উপদেষ্টা এই দপ্তর সংস্কারের বিষয়ে বদ্ধপরিকর। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় এর ফ্যাসিবাদের দালাল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসৌজন্যমূলক ও স্বেচ্ছাচারী ফ্যাসিবাদি আচরণ ও বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নের বাধা এবং নতুন স্বাধীনতার আমাদের সংবাদ দাতাকে জানান মিশন এশিয়া পাওয়ার লিঃ মহামায়া লেকে ৫০ কি:ও: পানি বিদ্যুৎ ও ২০ মে:ও: ভাসমান সোলার পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণে ২০১৭ সাল হতে কাজ করে আসছি কিন্তু ফ্যাসিস্ট, দূনীতিবাজ পতিত স্বৈরাচার ও তাদের দোসর বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ও কর্মকর্তা দ্বারা প্রতিবন্ধকতা প্রাপ্ত হই ও ক্ষতিগ্রস্থ হই। যাহার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপঃ- মিশন এশিয়া পাওয়ার লিঃ কর্তৃক ১১/০৯/২০১৭ইং বিদ্যুৎ বিভাগ এর টেকসই ও নবায়ন যোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর পত্র স্মারক নং- গঅচ/৩জঊউঅ-০১/০৩/২০১৭, ১১/০৯/২০১৭ইং এর বিষয়ে মিশন এশিয়া পাওয়ার লিঃ কর্তৃক মহামায়া লেক মিরসরাই সীতাকুন্ড এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ঝসধষষ ঝপধষব ঐুফৎড় এবং ঋষড়ধঃরহম ঝড়ষধৎ চড়বিৎ চষধহঃ স্থাপনের সম্ভাবতা যাচাইয়ের জন্য সহযোগিতা চাই (কপি সংযুক্ত)।
এই প্রেক্ষিতে স্রেডা পত্র স্মারক নং-২৭.০২.০০০০.০৩০.৯৯.০০২.১৭.১০৩৭ এর তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৭খ্রিঃ স্রেডার চেয়ারম্যান কর্তৃক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করা হয় সাথে মহা-পরিচালক পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও (কপি সংযুক্ত)। যাতে মিশন এশিয়া পাওয়ার লিঃ কে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করার জন্য বলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মিশন এশিয়া পাওয়ার লিঃ কর্তৃক বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনুরোধ পত্রের আলোকে গত ০৩/০৬/২০১৮ ইং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এর মতামত বিষয়ক পত্র স্মারক নং- ডিসি-৪/এফ-৭/২/১০১৪ইং সম্ভাব্যতা যাচাই করা যেতে পারে বলে মতামত ব্যক্ত করা হয় (কপি সংযুক্ত)। ঐ পত্রে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী চট্টগ্রাম এর দেয়া ভুল তথ্য কচও ভূক্ত এরিয়া বলে উল্লেখ করা হয়। যাহা ভুল তথ্য বলে তিনি পরবর্তীতে মৌখিকভাবে স্বীকার করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড মহামায়া প্রকল্প এরিয়া মিশন এশিয়া পাওয়া লিঃ কে সম্ভাবতা যাচাই এর জন্য দেয়া যাইতে পারে মমে মতামত দেন।
এর ধারাবাহিকতায় ২৩/০২/২০২০ইং স্মারক নং-০২.০০০০.০৬৩.৭৯.০১৭.১৯.১৯৮ এ পরিবেশ অধিদপ্তর এর মহা-পরিচালক কর্তৃক চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে জাপান সরকারের অনুদান ঔড়রহঃ ঈড়ষষধনড়ৎধঃরড়হ গবপযধহরংস- ঔঈগ এর আওতায় খঙও ও চচঅ ইস্যুর অনুরোধ জানানো হয় (কপি সংযুক্ত)। এখানে উল্লেখ্য যে, ঔঈগ এর আওতায় মিশন এশিয়া পাওয়ার লিঃ কর্তৃক মহামায়া লেকে ঋষড়ধঃরহম ঝড়ষধৎ চড়বিৎ চষধহঃ নির্মাণের জন্য ৫০%-৬০% টাকা অনুদান প্রদানের বিষয় যুক্ত রয়েছে। অর্থাৎ মোট প্রকল্প ব্যয়ের খরচ কম হবে এবং উক্ত অনুদান বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়ে প্রভাব ফেলবে। প্রকল্পের বাকী অর্থ ইওঋঋখ কর্তৃক বিনিয়োগ যাহার সার্ভিস চার্জ ৩%-৪% হিসেবে প্রদানের আশ্বাস পত্র স্মারক নং- ইওঋঋখ/ওহা.-৩.৫.৬/২০১৯.২৩৫ যাহার তারিখ ০৪ মার্চ ২০১৯ইং অর্থাৎ প্রকল্পের বাস্তবায়নের অর্থায়ন নিশ্চয়তা রয়েছে (কপি সংযুক্ত)।
এমন একটি গুছানো প্রকল্পের বিষয়ে তৎকালীন ফ্যাস্টিট সরকারের মদদপুষ্ট নেতৃত্ব ও কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক অন্যায় ভাবে বাস্তবায়নে অসহযোগিতা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে মিশন এশিয়া পাওয়ার লিঃ কর্তৃক ২০১৭ইং হতে ২০২৪ইং পর্যন্ত ৭ বছরের বিনিয়োগ, শ্রম ব্যর্থ করার হীন স্বার্থ চরিতার্থ করেছে। ৫ আগষ্ট গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ ও দূর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশে আমরা “মিশন এশিয়া পাওয়ার লিঃ” নতুন বাংলাদেশে নতুন স্বপ্ন নিয়ে গত ২৩ এপ্রিল ২০২৫ইং মিশন এশিয়া পাওয়ার লিঃ কর্তৃক সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগকে “২০ মে: ও: ভাসমান সোলার পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ প্রক্রিয়া চলমান করণ প্রসঙ্গে” আবেদন করি এবং আবেদনটি অফিসিয়াল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিনিয়র সহকারী সচিব মাজহারুল ইসলাম এর দপ্তরে আসে ঐ পর্যায়ে আমি মোঃ নাজিমুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মিশন এশিয়া পাওয়ার লিঃ এবং আমাদের একজন কর্মকর্তা মোঃ শহীদুর রহমান আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে। উনি আমার প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং আমি তখন উনাকে বলি আপনি এভাবে আচরণ করছেন কেন? আপনি আমার কাজকে অবহেলা করছেন কেন? এই কাজ আমার রুটি রুজির সংস্থান ও আমার জীবিকা।
আপনি আমার জীবিকাকে অবহেলা করতে পারেন না। আপনি মাস শেষে চাকুরী করে বেতন পান। আর আমি এই কাজ করে এখান থেকে আয় করব এতে আমার সংসার চলবে সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সংসার চলবে এবং এই প্রকল্প অনুদান প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি রয়েছে যা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে ইত্যাদি বলায়। উনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে দারোয়ান ডেকে অফিস থেকে বের করে দেয়ার হুমকি প্রদান করে এবং দারোয়ান ডাকেন আমাকে অপমান করেন। এরপর তিনি আরো উদ্ধত্তপূর্ণ আচরণ ও স্বেচ্ছাচারী ফ্যাসিবাদি আচরণ প্রদর্শন করেন এবং চিঠির মাধ্যমে আমাদের প্রকল্পের শেষ আশাটুকু নির্মূল করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালান আর তা হল তিনি গত ১৮/০৬/২০২৫ইং এর পত্র স্মারক নং- ২৭.০০.০০০০.০৯৩.৯৯.০১৩.২৪.২২৮ এতে তিনি ফ্যাসিবাদী সরকার কর্তৃক আমাদের প্রতি যে কূট-কৌশল দূভৃত্তায়ন আচরণ প্রদর্শন তথা ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর আন্তমন্ত্রণালয় সভার ফ্যাসিবাদ সরকারের নীল নকশার ছক এর সূত্র উল্লেখ করে জনাব মাজহারুল ইসলাম নতুন ফ্যাসিবাদ প্রদর্শন করেন (কপি সংযুক্ত)।
তিনি আরো উল্লেখ করেন প্রকল্পটি কচও ভূক্ত অঞ্চল। এটিও তার একটি বানোয়াট তথ্য অর্থাৎ তিনি কি উদ্দেশ্যে এসব ফ্যাসিবাদি ও স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছেন তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। এরপর আমরা ঐ পত্রের সূত্র ধরে প্রকল্পের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে পুনরায় গত ৩০ জুন ২০২৫ইং তারিখে সচিব, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, ও দৃষ্টি আকর্ষণ: সিনিয়র সহকারী সচিব কে আবেদন জমা দেই (কপি সংযুক্ত)। যাহার বিষয় হল : মহামায়া লেকে ৫০ কি:ও: পানি বিদ্যুৎ ও ২০ মে: ও: ভাসমান সোলার পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ সংক্রান্ত। এইপত্রে আমরা প্রকল্পের সাথে দীর্ঘ ৭/৮ বছরের শ্রম, অর্থ বিনিয়োগের কথা ও প্রকল্পটি অনুদান প্রাপ্তি, বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির বিষয়গুলো উল্লেখ করি। তথাপি এতসব বিদ্যুৎ খাত উন্নয়ন, দেশীয় অর্থনীতিতে প্রভাব ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির তথ্য উপেক্ষা করে ফ্যাসিবাদ এর দালালরা আমাদের আবেদনের সংবেদনশীলতা উপেক্ষা করে দম্ভ প্রদর্শন করে পূর্বের চিঠির মতো একই কায়দায় আমাদের সমূহ ক্ষতির নীল নকশা প্রদর্শন করে গত ৯ জুলাই ২০২৫ইং তারিখে পত্র স্মারক নং-২৭.০০.০০০০.০৯৩.৯৯.০০১.২১.২৬৩ এ প্রকল্পটি বিবেচনার সুযোগ নেই বলে দেন (কপি সংযুক্ত)।
উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে “বিদ্যুৎ খাত সংস্কার কমিশন” এর প্রতি দৃষ্টি আকর্শন করছি যে, বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের মন্ত্রণালয় এর দূর্নীতি ও অন্যায় এর বিরুদ্ধাচরণ করায় আমাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের প্রকল্পের বিষয়ে নীতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং যাতে আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন না করতে পারি গত ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর আন্ত মন্ত্রণালয় সব পথ বদ্ধ করার নীল নকশা মনগড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ৫ই আগষ্ট ২০২৪ইং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ এর মূলশক্তি পলায়ন করে। আমরা স্বস্তির নিশ্বাস নিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য নতুন স্বপ্ন নিয়ে নতুন উদ্যোমে আবেদন করি। কিন্তু আবার আমাদের নতুন স্বপ্নে নতুন পথ চলায় কেন আমরা বাধা প্রাপ্ত হচ্ছি। আবার ফ্যাসিবাদের দোসরা সক্রিয় হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তাই আমি ফ্যাসিবাদের দোসর ও স্বেচ্ছাচারী আচরণ ও আমাদের শ্রম, মেধা, বিনিয়োগ ইত্যাদি ক্ষতির অপচেষ্টার জন্য উপরে উল্লেখিত ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছি। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি এক ভাষণে সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থতার অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন।
\তাই বিদ্যুৎখাত রক্ষা ও উন্নয়নে “বিদ্যুৎ খাত সংস্কার কমিশন” বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি। বিদ্যুৎ খাত সংস্কার কমিশন এর মাধ্যমে আমাদের প্রকল্পটি কে পতিত ফ্যাসিবাদ এর থাবা হতে মুক্ত করে নতুন মাত্রা যুক্ত করতে এবং আমাদের শ্রম, মেধা, বিনিয়োগ, সময় ইত্যাদি ও দেশের বিদ্যুৎ খাতে এই প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব সর্বোপরি নবায়নযোগ্য প্রকল্প ও অর্থনীতিতে অনুদান ও বিনিয়োগ প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ দান করবেন এবং নতুন করে ফ্যাসিবাদ মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি। বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এর উপদেষ্টার সকল পর্যায়ে ফ্যাসিবাদ এর দোসর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের বহিস্কার সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। সাথে সাথে নতুন বাংলাদেশে নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করে নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানে ভূমিকা রাখবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। সর্বোপরি, মহামায়া লেকে ৫০ কি:ও: পানি বিদ্যুৎ ও ২০ মে:ও: ভাসমান সোলার পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্পটির সাথে আমাদের ৭/৮ বছরের শ্রম, মেধা ও অর্থ বিনিয়োগকে স্বার্থক করে তুলবেন বলে আমরা আশাবাদী। উক্ত বিষয়টি বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এর উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।



