রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে জেলা বিএনপি নেতার তদবির

এম এ আরিফ, রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ১নং নওপাড়া ইউনিয়নের মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়ন যুবলীগ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,দুর্গাপুর উপজেলা যুবলীগ কে ২৯ শে জুলাই গ্রেফতার করে দুর্গাপুর থানা পুলিশ।
তাকে থানা পুলিশের কাছ থেকে ছাড়াতে নানা ভাবে তদবির করেন রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সোহেল রান হিটলার। সূত্র বলে,১ নং নওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খুনি হাসিনার শাসন আমলে এলাকায় ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করে সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সহযোগীতায়।
তার চাঁদাবাজি,দখলবাজি,মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ছিল নিজেস্ব ক্যাডার বাহিনী। এই শরিফুল অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতেন তার নিজ ইউনিয়নে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সূত্র আরও জানাই,শফিকুল জুলাই ছাত্র বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। সে ৪ জুলাই রাসিক মেয়রের গোপন বৈঠক উপস্থিত ছিল। ৫ ই আগষ্টে শফিকুল ছাত্রজনতার আন্দোলনে হামলা চালিয়ে ছাত্র সহ সাধারণ মানুষকে আহত করে।
এই সন্ত্রাসী শফিকুল কে এর আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সময়ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এই হিটলার সহ অনেকের সহযোগিতায় তাকে শুক্রবারে স্পেশাল কোর্ট বসিয়ে জামিন করা হয়।
এতে সে আবারো নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠে। জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই শফিকুল আবারো নাশকতা তৈরির উদ্দেশ্যে তার নিজ বাড়িতে গোপন বৈঠকে বসে গত ২৯শে জুলাই। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে। গ্রেফতার হয় শফিকুল।
সাধারণ জনগণের ক্ষোভ সন্ত্রাসীর জন্য সুপারিশ কেনো। দুর্গাপুরের সাধারণ মানুষের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে চলে যায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিটলার। সাধারণ জনগণের দাবি এই হিটলারকে অনতিবিলম্বে দল থেকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হোক।
এই বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হয় স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক মোঃ মাসুদুর রহমান লিটনের সাথে তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যে কোন ব্যক্তি যদি সাংগঠনিক পদ ব্যবহার করে সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজদের অথবা আওয়ামী লীগের কারো জন্য তদবির করে তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের কোন দল নাই এই কথা আমাদের দেশ নেতা জনাব মোঃ তারেক রহমান বলেছেন।দুর্গাপুর থানা পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রমে পুলিশের উপরে আস্থা ফিরেছে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের। প্রশংসায় ভাসালেন থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ দুরুল হোদা।
শফিকুল গ্রেফতার প্রসঙ্গে জনাব দুরুল হোদা বলেন, দুর্গাপুর থানা নাশকতা মামলা নং ০২/২৪ এ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামি শফিকুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।



