অপরাধচট্টগ্রামবাংলাদেশ

চকবাজার থানায় সাতকানিয়া আওয়ামী লীগ নেতা বাবরের গ্রেপ্তার নিয়ে ধোঁয়াশা

নাসির হাওলাদার

গত ১৬ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার সেকেন্ড অফিসার মফিজ ও এসআই গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত এক অভিযানে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা বাবরকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জিসির মোড় এলাকার টিএমটি বিল্ডিং-এ অভিযান চালিয়ে বাবরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কী কারণে তাকে আটক করা হয়েছে, তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে থানার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

চকবাজার থানার কর্মকর্তারা বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, “ঊর্ধ্বতন দিকনির্দেশনার ভিত্তিতেই এই গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালিত হয়েছে।” তবে এই বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে, বাবরের ঘনিষ্ঠ মহল দাবি করেছে, এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক গ্রেপ্তার। তারা বলছেন, বাবর সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন এবং কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ে অবস্থান নেওয়ায় তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারেন।

এদিকে, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে রাজি না হলেও, অনেকেই বিষয়টিকে “উদ্বেগজনক” বলে অভিহিত করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ঘটনাটি নিয়ে নানা গুজব ও বিশ্লেষণ ছড়িয়ে পড়েছে। বাবরের মুক্তি ও প্রকৃত ঘটনার ব্যাখ্যার দাবিতে অনেকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

এই ঘটনার প্রকৃত কারণ ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনো কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রকাশ না পাওয়ায় জনমনে উদ্বেগ বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, জিসির মোড়ের টিএমটি বিল্ডিংটি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। পাঠকের দৃষ্টি এখন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দিকেই—তারা কী ব্যাখ্যা দেন, সেটাই পরবর্তী পরিস্থিতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button