
হাবিব সরকার স্বাধীন
রাজধানীসহ সারাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হামলা, দমন-পীড়ন, হত্যা ও গুমের ঘটনা চলমান রয়েছে। তবুও দেশের স্বার্থে ও জনগণের পক্ষে কিছু সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শিরিন সুলতানার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাংবাদিক আনিছ মাহমুদ লিমনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আনিছ মাহমুদ লিমন জানান, সংবাদ প্রকাশের কিছুক্ষণ পরই কল্লোল আলী বাবু নামে এক ব্যক্তি (মোবাইল নং – ০১৬২২-৭৯০৭৬৯) তাকে ফোন করে দেখা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। লিমন তার সঙ্গে দেখা করার কারণ জানতে চাইলে কল্লোল আলী বাবু অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন, “তুই কেন আমার ভাবির নামে নিউজ করেছিস? আমার ভাবি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শিরিন সুলতানা। এখনই নিউজ ডিলিট করবি, না হলে তোকে ধরে নিয়ে হাত-পা ভেঙে মেরে ফেলব। তুই যেখানেই থাকিস, মাথা গরম হলে তোর সাংবাদিকতা আমি ছুটিয়ে দেবো লিমন। ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে আমার অনেক ছোট ভাই-ব্রাদার আছে। একটা ফোন দিলেই তোকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে আসবে।”
শুধু তাই নয়, হুমকিদাতা কল্লোল আলী বাবু সাংবাদিক আনিছ মাহমুদ লিমনের ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে তার সামাজিক মর্যাদা ও সম্মানহানি করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক আনিছ মাহমুদ লিমন বলেন, “পেশাগত দায়িত্ব পালন করাই আমার অপরাধ। দুর্নীতির খবর প্রকাশ করলেই যদি সাংবাদিকদের এভাবে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়, তাহলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
এরই মধ্যে হুমকিদাতা কল্লোল আলী বাবুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। সাংবাদিক মহল এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক সমাজে সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হুমকি মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য একটি গুরুতর অশনি সংকেত।



