Uncategorizedদেশনোয়াখালীপ্রশাসনবাংলাদেশ

প্রশাসনে নোয়াখালীর জয়জয়কার: একই দিনে সচিব হলেন তিন কৃতি সন্তান

শিক্ষা, সমাজকল্যাণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্ব পেলেন নোয়াখালীর তিনজন দক্ষ কর্মকর্তা। রেহানা পারভীন দেশের প্রথম নারী শিক্ষা সচিব হয়ে গড়লেন নতুন ইতিহাস।

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের জনপ্রশাসনে এক বিরল ও গৌরবময় দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো। ঐতিহ্যবাহী নোয়াখালী জেলার তিনজন কৃতি সন্তান একই দিনে সরকারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এই অভূতপূর্ব ঘটনায় তাঁদের নিজ জেলা নোয়াখালীসহ সারাদেশে প্রশংসার বন্যা বইছে।

পদোন্নতিপ্রাপ্ত এই তিন কর্মকর্তা হলেন—রেহানা পারভীন, ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ এবং মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

ইতিহাস গড়লেন প্রথম নারী শিক্ষা সচিব
এই নিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। বিসিএস ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা রেহানা পারভীন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন, যা তাঁকে দেশের প্রথম নারী শিক্ষা সচিবের সম্মানে ভূষিত করেছে। শিক্ষাখাতে একজন নারীর এই শীর্ষ পদে আসীন হওয়াকে দেশের নারী অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আরও দুই মন্ত্রণালয়ে নোয়াখালীর দুই সন্তান
অন্যদিকে, বিসিএস ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা ও জনকল্যাণমূলক কাজে তাঁর অভিজ্ঞতা মন্ত্রণালয়কে আরও গতিশীল করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

একই ব্যাচের (বিসিএস ১৫তম) আরেক মেধাবী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রায় তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অঞ্চলজুড়ে আনন্দের বন্যা
একই দিনে নিজ জেলার তিনজন কৃতি সন্তানের এমন সাফল্যে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে আনন্দের ঢেউ বইছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন এবং তাদের এই অর্জনকে নোয়াখালীর জন্য বিশাল গর্বের বিষয় হিসেবে অভিহিত করছেন।

স্থানীয় সুধীজনরা আশা প্রকাশ করে বলেন, এই তিনজন সচিব সততা ও দক্ষতার সাথে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কেবল নোয়াখালীর নয়, সমগ্র দেশের মুখ উজ্জ্বল করবেন। একইসাথে, নিজ অঞ্চলের প্রতিও তাঁরা বিশেষ দৃষ্টি রাখবেন বলে এলাকাবাসী প্রত্যাশা করে। এই অর্জন তরুণ প্রজন্মকে দেশ সেবায় উদ্বুদ্ধ করবে বলেও মনে করছেন তারা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button