অধ্যাপক কার্জনের মুক্তি দাবি: ‘মুক্তচিন্তার কণ্ঠরোধ করা যাবে না’, হুঁশিয়ারি গণমুক্তি পার্টির

ডেস্ক রিপোর্ট
শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৫, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির সভাপতি এম. এ. আলীম সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, দেশের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও সমাজচিন্তক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন অযৌক্তিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “অধ্যাপক কার্জন একজন নির্লোভ, নিরপেক্ষ ও চিন্তাশীল ব্যক্তিত্ব, যিনি দীর্ঘদিন ধরে সমাজ, রাষ্ট্র ও ন্যায়বিচার নিয়ে লেখালেখি এবং গবেষণা করে আসছেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্তচিন্তার চর্চার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত। অথচ আজ তাঁকেই মত প্রকাশের অপরাধে বন্দি করা হয়েছে—এটি গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, আইনের শাসন এবং সাংস্কৃতিক অধিকার ও মুক্তচিন্তার পরিপন্থী।”
বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি মনে করে, এই গ্রেপ্তার কেবল ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, বরং এটি দেশের পুরো প্রগতিশীল চিন্তাধারার ওপর একটি বড় হুমকি। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মুক্তচিন্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার দমনযোগ্য হতে পারে না।
দলটির পক্ষ থেকে জোরালোভাবে দাবি করা হয়:
- অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তাঁকে নিঃশর্ত ও দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।
- দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
- রাষ্ট্রযন্ত্রকে সকল প্রকার দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি এই “অন্যায় গ্রেপ্তারের” বিরুদ্ধে দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সচেতন এবং সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে শেষে বলা হয়, “অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনকে জেলে রেখে মুক্তচিন্তার কণ্ঠরোধ করা যাবে না। অধ্যাপক কার্জনের মুক্তি অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে!”



