যৌথবাহিনীর অভিযানে কুখ্যাত চাঁদাবাজ ‘হাতকাটা টিপু’ ও তার ২ সহযোগী গ্রেপ্তার

মাহবুব আলম মানিক: আশুলিয়ার একটি বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, মোবাইলসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।
রবিবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল হান্নান। এর আগে আজ দুপুর ২টায় আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার নিহালপুর গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. নূর মোহাম্মদ ওরফে হাতকাটা টিপু (৪৫), মানিকগঞ্জ জেলা সদরের মাধবপুর গ্রামের মো. তাইজুল ইসলামের ছেলে আমির হোসেন (৩৫) ও গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর মিয়ারচর মানিকদা গ্রামের জামিল আহম্মেদের ছেলে মো. রহমতুল্লাহ শেখ (৩৮)। তারা দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
যৌথবাহিনী জানায়, বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের নিয়মিত টহল দল গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের নেতা নূর মোহাম্মদ ওরফে হাতকাটা টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যৌথবাহিনী আরও জানায়, ‘হাতকাটা টিপু’ একজন কুখ্যাত চাঁদাবাজ। তিনি আশুলিয়ার বাইপাইল, ডেন্ডাবর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিগত কয়েক বছর ধরে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ জনসাধারণ বেশ কয়েকবার মানববন্ধন ও জনসমাবেশ করে। ‘হাতকাটা টিপু’র বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। বাইপাইল এলাকার প্রতিটি দোকান থেকে তিনি ও তার দল নিয়মিত চাঁদা তুলতেন। এছাড়া বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডের দূরপাল্লার বাস এবং অন্যান্য গাড়ি থেকেও তার দল নিয়মিত চাঁদা তুলতেন বলে জানা গেছে। চাঁদা দিতে না চাইলে ভুক্তভোগীকে মারধর করা হতো। বাসস্ট্যান্ড এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করে। অবশেষে আজ যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করে। তাদের গ্রেপ্তারের পর বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের সময় তল্লাশি করে বিপুলসংখ্যক দেশীয় অস্ত্র, চাঁদাবাজি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত দ্রব্যাদিসহ মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন অপরাধের আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।



