
প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডাক্তার (ডা.)’ পদবি ব্যবহার না করার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনতিবিলম্বে বাতিলসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে ‘হোমিওপ্যাথিক স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটি’।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির পক্ষ থেকে এসব দাবি উপস্থাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির আহ্বায়ক ডা. মো. আরিফুর রহমান মোল্লা। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে পাস হওয়া “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২৩” অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের পূর্বে ‘ডাক্তার (ডা.)’ পদবি ব্যবহারের আইনগত অনুমোদন রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে হাইকোর্টের রায়ের যে উল্লেখ রয়েছে, সেটিও বিভ্রান্তিকর। কারণ, হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ‘লিভ টু আপিল’ মঞ্জুর হওয়ায় বিষয়টি এখন বিচারাধীন। অন্যদিকে, “মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮”-এর ১২ ধারাতেও “চিকিৎসক অর্থ এমবিবিএস ও বিডিএস, নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এবং ভেটেরিনারি চিকিৎসক” হিসেবে গণ্য হবেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, গত ১০ আগস্ট স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব স্বাক্ষরিত একটি পত্রে “বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ ও হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারী ব্যতীত অন্যান্য পেশাজীবীদের (হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী) নামের পূর্বে ‘ডাক্তার (ডা.)’ পদবি ব্যবহার না করার জন্য” নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। এই নির্দেশনাকে পরস্পরবিরোধী, অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করে এটি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের সংকট সমাধানে আরও কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে:
- হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২৩ যথাযথভাবে কার্যকর এবং দ্রুত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল গঠন করা।
- হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসমূহে কর্মরতদের শতভাগ বেতন-ভাতা ‘জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫’ অনুযায়ী প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
- সুচিকিৎসা নিশ্চিতে বিদেশ থেকে মানসম্মত ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করা।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কমিটির সদস্য সচিব ডা. শফিকুল আলম নাদিম, উপদেষ্টা ডা. নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. আশরাফুর রহমান, ডা. হাছান আহমেদ মেহেদী এবং ডা. নাসির উদ্দিন শেখ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন শেখ, ডা. বজলুল হাসান, ডা. মাহবুব হাফিজ, ডা. মসিউজ্জামান পান্নু, ডা. এ.কে.এম. জাকির হোসেন, মুখ্য সমন্বয়কারী ডা. মো. মজিবুল্যাহ মজিব, সমন্বয়কারী ডা. খলিলুর রহমান, ডা. শাহজালাল আহমেদ, ডা. নাইমুল হক, ডা. কাসেমুর রহমান, ডা. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ডা. আব্দুল আলীম, ডা. বনি আমীন শরীফ, ডা. মামুন হাসিব ভূঁইয়া, ফয়সাল মেহবুব মিজু প্রমুখ।



