খিলগাঁওয়ে ট্রাফিক পুলিশের ২সদস্যকে মারধর, আটক-১সিগন্যাল ছাড়তে দেরি

বিশেষ প্রতিবেদক: রাজধানীর খিলগাঁও রেলক্রসিং এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্যকে মারধরের অভিযোগে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন নামের এক চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। তিনি মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত।
পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার বিকেলে যানজটের কারণে ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়তে দেরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন ওই চিকিৎসক। পরে দলবল নিয়ে এসে তিনি দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন– এএসআই রবিউল হাসান ও কনস্টেবল রবিউল ইসলাম। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পলাতক আবুল হাসনাত অনু
খিলগাঁও থানার ওসি দাউদ হোসেন বলেন, খিলগাঁও রেলক্রসিং এলাকায় যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ থাকে। এতে ওই চিকিৎসকের গাড়ি সিগন্যালে আটকে থাকায় তিনি ক্ষিপ্ত হন। মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৩টার দিকে খিলগাঁও রেলক্রসিংয়ে যানবাহনের অনেক চাপ ছিল। তখন চিকিৎসক আনোয়ার হোসেনের গাড়ি সিগন্যালে আটকে পড়ে। তিনি সিগন্যাল ছাড়ার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিলেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী যথাসময়ে সিগন্যাল ছাড়া হয়। কিন্তু গাড়ির চাপ বেশি থাকায় বেশ কিছু যান যাওয়ার পর আবার সিগন্যাল বন্ধ করা হয়। তখন সামনেই ছিল ওই চিকিৎসকের গাড়ি। তিনি ওই সিগন্যালে যেতে না পারায় ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডা হয়। তিনি রাগারাগি করেন এবং ‘দেখে নেবেন’ বলে হুমকি দেন। পরে সিগন্যাল ছাড়লে তিনি চলে যান। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তিনি চার–পাঁচটি মোটরসাইকেলে লোকজন নিয়ে ফিরে আসেন। তারা প্রথমে কনস্টেবল রবিউলকে বেধড়ক পেটায়। তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে এএসআই রবিউলকেও মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেইসঙ্গে ওই চিকিৎসককে আটক করে পুলিশ। মারধরে জড়িত বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।



