হসপিটাল মালিকদের সঙ্গে ভবন মালিকদের দ্বন্দ্ব খেসারত দিচ্ছে কর্মচারীরা
স্টাফ রিপোর্টার: ভবন মালিকদের পক্ষ নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তৎকালীন ৪১ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগদলীয় কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ঢালীর নির্দেশে ভাটারা জেনারেল হাসপাতালে তালা দেওয়া হয়। এই সুযোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেড় বছরেও কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করেনি।

ডিএমপির ভাটারা থানাধীন উত্তর সোলমাইদের মমতাজ উদ্দিন কাঁচাবাজার এলাকায় অবস্থিত ভাটারা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কর্মচারীদের বকেয়া ও চলতি মাসের বেতন পরিশোধ না করে ২০২৪ সালের ১২ জুলাই হঠাৎ হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়। কর্মচারীদের মোট পাওনা বেতনের পরিমাণ ছিল ২,৯৬,৮৬৮ টাকা।
ভাটারা জেনারেল হাসপাতালের অধিকাংশ পরিচালক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের মধ্যে বাপ্পি হাজারী ও রেহানা আক্তার রিংকু উল্লেখযোগ্য।
বাপ্পি হাজারী ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান দমনে আন্দোলনকারী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৬ নম্বর আসামি (ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার হত্যা মামলা নং ২১, তারিখ: ০৮/০১/২০২৫, ধারা: ৩০২/৩৪ পেনাল কোড)। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাপ্পি হাজারী বহু অবৈধ সম্পদের মালিক হন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তদবিরবাজ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এলাকাবাসী তার কুকীর্তি তুলে ধরে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পোস্টারিং করেছিল।


রেহানা আক্তার রিংকু মহিলা আওয়ামী লীগের একটি ইউনিটের কোন পদে ছিলেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি বিভিন্ন নেতার সঙ্গে নিজের ছবি দেখিয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভাটারা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদে (বোর্ড অব ডিরেক্টরস) রয়েছেন: চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ কাউসার উদ্দিন এবং পরিচালক হিসেবে রেহানা আক্তার, বাপ্পি হাজারী, উৎপল সরকার, আবুল বাশার, মো. তাজুল ইসলাম, মো. সাজ্জাদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, শেফালী আক্তার, মো. রুহুল আমিন, আবুল হোসেন, ড. মো. মাহবুবুল আলম, আবু কাওসার সরকার, জয়ন্ত কুমার সাহা, বিউটি রহমান, মো. বাবর রহমান, এ কে এম মুশফিকুন নবী, মাহবুবা খানম, মো. রিমন ইসলাম, কাকলি আক্তার, শাহজাহান, সালেহা আক্তার লিমা ও নাসরিন আক্তার।



