
মোঃ রাসেল ফকির: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ শহরে কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চলের উদ্যোগে এবং আলোকিত শিশু প্রকল্পের আওতায় ত্রৈমাসিক স্টেকহোল্ডার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় শিশুদের কল্যাণ, বিশেষ করে পথশিশুদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের সামাজিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিবাড়ি ড্রপ-ইন-সেন্টারের শিশু সুরক্ষা কমিটির সহসভাপতি মিলনচন্দ্র দেবনাথ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজনীন সুলতানা।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন –
প্রকল্পের মাঠকর্মকর্তা বিপাশা মানখিন
কোতোয়ালি মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর অন্তিরানী রায়
রেলওয়ে থানার সাব-ইন্সপেক্টর পলাশ ব্যানার্জি
দৈনিক জাহান পত্রিকার সাংবাদিক রাশেদ আহমেদ
রূপান্তর এনজিওর জেলা সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান রানা
অগ্রদূত প্রতিবন্ধী সংগঠনের ডিপিও হোসনে আরা
কমিউনিটি ভিজিলেন্স কমিটির সক্রিয় সদস্যবৃন্দ।
এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ মোট ২৫ জন অংশগ্রহণকারী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার মূল বিষয়বস্তু
সভায় বক্তারা পথশিশুদের জীবনমান উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেন। তারা বলেন—
সমাজে পথশিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে হবে।
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের যৌথ উদ্যোগে রেফারেল সার্ভিস নিশ্চিত করা জরুরি।
পথশিশুদের মধ্যে মাদকের বিস্তার রোধে সম্মিলিতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
পরিবার, সমাজ ও প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় পথশিশুদের সঠিকভাবে পুনর্বাসন সম্ভব।
বক্তাদের মতামত
প্রধান অতিথি নাজনীন সুলতানা তার বক্তব্যে বলেন, “পথশিশুরা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের প্রতি সমাজের ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা এবং মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব।”
সভাপতি মিলনচন্দ্র দেবনাথ জানান, কারিতাস ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো ইতিমধ্যেই শিশুদের কল্যাণে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তবে এই উদ্যোগকে আরও গতিশীল ও বিস্তৃত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
অংশগ্রহণকারীরা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেন যে—
পথশিশুদের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং শিশুদের কল্যাণে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।
উপসংহার
সভায় সর্বশেষে পথশিশুদের সুরক্ষা ও কল্যাণে সকলে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। উপস্থিত প্রতিনিধিরা প্রত্যাশা করেন, এই ধরনের সমন্বয় সভা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে এবং এর মাধ্যমে একটি মানবিক ও সহানুভূতিশীল সমাজ গঠনে বড় ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।



