চাঁদপুরে ছোট ভাইয়ের হাতুড়ির আঘাতে বড় ভাই নিহত
মোঃ রাজন পাটওয়ারী, চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুরে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতুড়ির আঘাতে বড় ভাই নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের খাসের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম খাজা আহমেদ (৫৭)। আর অভিযুক্তের নাম শাহজালাল খান (৩৮)। নিহত খাজা আহমেদ দুবাই প্রবাসী ছিলেন এবং বর্তমানে বাড়িতে কৃষিকাজ করে জীবনযাপন করতেন। তিনি দুই ছেলে ও এক কন্যার জনক। অভিযুক্ত ছোট ভাই শাহজালাল বর্তমানে অটোরিকশাচালক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাত ১১টার দিকে গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের খাসের বাড়িতে খাজা আহমেদ এবং শাহজালালের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে তর্ক শুরু হয়। সেই সময় শাহজালাল হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে খাজা আহমেদের মাথায় আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন। রাত ১২টার দিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে নিহতের তৃতীয় ভাই অলি উল্লাহ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে শাহজালাল আমাকে আর নিহত ভাইকে বারবার হুমকি দিত। বিষয়টি শালিস বৈঠকেও গিয়েছিল, কিন্তু শাহজালাল কোনো সিদ্ধান্ত মানেনি। বুধবার রাত ১১টার দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে খাজা আহমেদকে মারধর করে শাহজালাল। এরপর হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় আমরা হাসপাতালে নিতে চাইলে বড় ভাই নুর মোহাম্মদ এবং শাহজালাল বাঁধা দেয়। পরে প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারি। কিন্তু রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুবি আক্তার ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম জানান, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারি হয়। এক পর্যায়ে হাতুড়ি আঘাতে খাজা আহমেদের মৃত্যু হয়। মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং অভিযুক্ত শাহজালাল, নুর মোহাম্মদসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফরিদ আহমেদ চৌধুরী জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসা দেয়া হলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে খাজা আহমেদের মৃত্যু হয়।



