অপরাধপরিবেশবাংলাদেশ

সংবাদ প্রকাশের পর আরও বেপরোয়া ধামরাইয়ের ভূমি অফিসের নাজির

আমির হামজা: দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের খবর জাতীয় দৈনিকে প্রকাশের পর সংশোধনের পরিবর্তে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ঢাকার ধামরাই উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির মঞ্জু আহাম্মেদ। অভিযোগ উঠেছে, তিনি এখন জেলা প্রশাসকের (ডিসি) আত্মীয় পরিচয় দিয়ে দাপট দেখাচ্ছেন এবং সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করতে বিভিন্ন মাধ্যমে সাংবাদিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ধামরাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের ভিপি (অর্পিত) শাখার সার্টিফিকেট পেশকার ও নাজির হিসেবে কর্মরত মঞ্জু আহাম্মেদ দীর্ঘদিন ধরেই একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। সম্প্রতি তিনি ১৫৩/৭৯ নম্বর ভিপি কেইসে জমির প্রকৃত ভোগদখলকারী কৃষক হোসেন আলীকে বাদ দিয়ে ৩ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে আবু সাঈদ নামের এক ব্যক্তিকে লিজ পাইয়ে দেন। এই খবর প্রকাশিত হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নাজির মঞ্জু আহাম্মেদ এই প্রতিবেদককে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে লিখে কোনো লাভ হবে না। আমি ডিসি সাহেবের আত্মীয়। এখানকার ইউএনও (মামনুন আহাম্মেদ অনিক) বা এসিল্যান্ড (রিদওয়ান আহমেদ রাফি) কেউই আমার কিছু করতে পারবে না।”

এদিকে, তার দুর্নীতির ফিরিস্তি এখানেই শেষ নয়। ২৫/৮২ নম্বর ভিপি কেইসের একটি ফাইল নবায়নের জন্য গত ১৬ এপ্রিল আবেদন করেন নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু ঘুষের দাবি পূরণ না করায় ভিপি শাখা থেকে সেই ফাইলটিই এখন রহস্যজনকভাবে গায়েব করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরো এসিল্যান্ড অফিসই এখন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। প্রায়ই রাত ৯টা পর্যন্ত অফিস খোলা রেখে বিভিন্ন সেক্টরে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্য চালানো হয়। অভিযুক্ত নাজির মঞ্জু তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ধামাচাপা দিতে এবং সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করতে প্রভাবশালী নেতা ও কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা ছড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ ভূমি অফিসে গিয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন, কিন্তু প্রতিকার পাচ্ছেন না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button