গাজায় শান্তিরক্ষী পাঠাতে প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়া
অনলাইন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনে ২০ হাজার সেনা পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। সম্প্রতি দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো এই ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এই সেনা মোতায়েন নির্ভর করছে বিবদমান পক্ষগুলোর সম্মতি এবং জাতিসংঘের ম্যান্ডেটের ওপর।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘শাংরি-লা ডায়ালগ’ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ফোরামে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রাবোও সুবিয়ান্তো এই প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যদি জাতিসংঘ থেকে অনুরোধ জানানো হয়, তবে ইন্দোনেশিয়া গাজায় একটি উল্লেখযোগ্য শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত। এই বাহিনীর মূল লক্ষ্য হবে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করা এবং সংঘাত কবলিত অঞ্চলের সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদান করা।
প্রাবোও সুবিয়ান্তো আরও উল্লেখ করেন যে, ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনী ইতোমধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার রোগীকে আকাশপথে সরিয়ে এনে চিকিৎসা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। এছাড়া গাজায় ফিল্ড হাসপাতাল পরিচালনার জন্য মেডিকেল ইউনিট পাঠানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা ইসরায়েল এবং হামাস উভয় পক্ষের সম্মতিতে একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে চাই।”
ইন্দোনেশিয়ার এই প্রস্তাবকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের দীর্ঘদিনের সমর্থনের একটি জোরালো প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া বরাবরই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে সোচ্চার।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের পথটি বেশ জটিল। প্রথমত, গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন হবে, যেখানে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী দেশগুলোর সম্মতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয়ত, ইসরায়েল এবং হামাস উভয়কেই এই প্রস্তাবে সম্মত হতে হবে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ কঠিন।
তা সত্ত্বেও, ইন্দোনেশিয়ার এই উদ্যোগকে গাজা সংকটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।



