অপরাধঅব্যাবস্থাপনাঅর্থনীতিএক্সক্লুসিভজাতীয়দুর্নীতিপ্রতারনাপ্রযুক্তিপ্রশাসনবাংলাদেশব্যাংক ও বীমা

বরগুনায় বিকাশের মাধ্যমে অনলাইন লোন স্কামিং, ক্যাসিনো পেমেন্ট, টাকা পাচার, পর্ব – ০২

নূর হোসেন ইমাম ( অনলাইন এডমিন ):

ভূয়া ওয়েব সাইট তৈরি করে অনলাইনে ঋণ দেওয়ার কথা বলে করা হচ্ছে লোনস্ক্যাম প্রতারণা। ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা ,শুধু এখানে থেমে থাকে নি এই চক্রটি! জড়িয়েছে অনলাইন ক্যাসিনো পেমেন্ট সিস্টেমের সাথে এবং হ্যাকারদের কাছে এজেন্টদের তথ্য পৌছে দেওয়া সহ হুন্ডি ব্যাবসার মাধ্যমে টাকা পাচার সহ নানান ধরনের সাইবার অপরাধের সাথে। হাতিয়ে নেওয়া এই টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ক্যাশ টাকায় রুপান্তর করে তা আবার সংরক্ষিত রাখা হতো ব্যাংকে। মোবাইল ব্যাংকিং থেকে টাকা সংগ্রহ করা এবং এই চক্রকে ফুল ম্যানেজমেন্ট করতেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা। তবে বরগুনায় সাব মেনেজমেন্ট অফিস থাকলে ও দেশের বাহিরে ছিলো ফুল ম্যানেজমেন্ট অফিস। 

 বিকাশকর্মী এবং স্থানীয় সাংবাদিক এর সহায়তায় অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চক্রটির ভয়াবহ প্রতারণার তথ্য।

এশিয়া মহাদেশের অনুন্নত ও উন্নায়নশীল দেশগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ব্যাংক জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ( এডিবি )। প্রতারক চক্রটি মহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি ব্যাংকের নাম ও লোগো ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্লাটফর্ম গুলোতে সহজ শর্তে লোন সুবিধা দেওয়ার নামে ” স্বপ্নের গ্যাজেট কেনা, কিংবা বিয়ে, চিকিৎসা, প্রয়োজন যা-ই হোক না কেন, জাইকা ব্যাংক পারসোনাল লোন সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকার লোন সুবিধা নিয়ে রয়েছে আপনার পাশে। যেকোনো প্রয়োজন পূরণে পারসোনাল লোন; ১৫ হাজার টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয়” এরকম বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দিয়ে তাদের প্রতারণা চালিয়ে আসছিলো। চক্রটির এমন প্রতারণার বিষয়ে আচ করতে পেরে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারী প্রায় আট মাস আগে দেশের সাধারণ মানুষ যাতে প্রতারিত না হয়, সে লক্ষ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের নিজস্ব পেইজে সতর্কতা মূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপরেও চক্রটি খুব কৌশলে তাদের প্রতারণার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো।

অপরাধ বিচিত্রার’র অনুসন্ধানে জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার ৮ নম্বর বরগুনা সদর ইউনিয়নের বাশবুনিয়া এলাকার হানিফ মিয়ার মেঝ ছেলে আলাউদ্দিন ওরফে অমি কম্বোডিয়া প্রবাসী। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে আলাউদ্দিন কম্বোডিয়ায় মামুন নামের এক লোনস্ক্যামারের কোম্পানিতে চাকুরী করেন। বেশি লাভ ও কমিশনের লোভে বড়ভাই আল-আমিনকেও স্ক্যামিং চক্রের সাথে যুক্ত করেন। আল-আমিন সদর উপজেলার ৮ নম্বর ইউনিয়ন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি। জেলার সাবেক প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের আদনান অনিক সহ অনেক প্রভাবশালী নেতাদের সাথে সক্ষতা রয়েছে তার (আল-আমিনের)।

প্রায় বছরখানেক আগে বিকাশ লিমিটেড বরগুনা ডিস্ট্রিবিউশন হাউজে চাকুরী নেন পৌর শহরের চরকলোনী এলাকার আমিনুল ইসলাম রাকিব। চাকুরির ছয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পর এক লোভনীয় কমিশনের অফার আসে রাকিবের কাছে৷ আর সেখান থেকেই ধীরে ধীরে বেড়িয়ে আসতে শুরু করে লুকিয়ে থাকা অনলাইন ক্যাসিনো পেমেন্ট, লোনস্ক্যামিং চক্রের থলের বেড়াল।

বিকাশ কর্মী আমিনুল ইসলাম রাকিব অপরাধ বিচিত্রাকে জানান, প্রায় ছয় মাস আগে তার কাছে প্রতারক চক্রের লোকজন লোভনীয় কমিশনে তাদের সাথে কাজ করার অফার আসে। এসময় রাকিব ওই চক্রের এই অফার ফেরত দিলেও লোভ সামলাতে পারেননি অপর দুই ডিএসও মেহেদী ও পান্থ। জড়িয়ে পড়েন লোনস্ক্যাম প্রতারক নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বরগুনা সদর উপজেলার ৮ নম্বর ইউনিয়নের সভাপতি আল-আমিনের অপরাধ কার্যক্রমের সাথে।

আমিনুল ইসলাম রাকিব, ডিএসও , বরগুনা বিকাশ পয়েন্ট

রাকিব আরো জানান, প্রতারক আল-আমিন বরগুনা পৌর শহরের পশু হাসপাতাল রোডে শেফা ক্লিনিকের ৬ষ্ঠতলায় সাতক্ষীরা থেকে আসা একটি ঔষধ কোম্পানির ম্যানেজারের ভাড়াকৃত ফ্লাট বাসায় বসে শুভ নামের এক ফ্রিল্যান্সের মাধ্যমে জাইকা ডট কম ( jicaib.com ) যার আইপি 192.64.119.92 ও এডিবি এশিয়ান ডট কম ( adbasian.com ) যার আইপি 198.187.31.45 নামের দুটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লোনস্ক্যামিং প্রতারণা করে আসছিলো যার তৎকালীন সময় আইপিভি4 বা IP Address: 199.188.200.88 এবং Hostname: server241-2.web-hosting.com এবং199.188.200.88 এই আইপি এড্রেস এর রেকর্ড খুলে দেখা যায় অন্তত চার শত ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করা হয়েছে এই আইপির আন্ডারে যার মধ্যে সকল সাইট ই স্ক্যামিং এবং অনলাইন ক্যাসিনর বা কোন প্রলোভন বা টেক রিলেটেড।

স্ক্যামিং এ ব্যাবহারিত দুটি ওয়েব সাইটের আইপি

স্ক্যামিংয়ের মাধ্যমে আনা সকল প্রতারণার অর্থ বেশ কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের এজেন্ট সিমের মাধ্যমে উত্তোলন করে নিত আল-আমিন এই সকল কাজকে সহজ করে দিতেন বরগুনা বিকাশ অফিসের এক ঝাক তরুন। আলামিনের ব্যাবহারিত কিছু সিমের বিকাশ লেনদেনের তথ্য ও এসেছে আমাদের হাতে। ফ্রিল্যান্সার শুভ সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরিচন্না ইউনিয়নের ধূপিত গ্রামের জনৈক বাচ্চু মিয়ার ছেলে।

ফ্রিল্যান্সার দাবী করা শুভ/ মিরাজ

অপরাধ বিচিত্রার পক্ষ থেকে মুঠো ফোনে শুভর সাথে যোগাযোগ করা হলে কথার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের আরেক নেতা ফোন টেনে নিয়ে কথা বলেন এবং জানান সরাসরি কথা বলবেন এই ব্যাপারে। জাইকা ডট কম এবং এডিবি এশিয়ান ডট কম দুটো ওয়েব সাইট সম্পর্কে শুভর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এই সাইট তাদের না এবং তিনি এত বড় ওয়েব ডেভলপার না বলে দাবি করেন। শুভর কাছে ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে চাওয়ার পরবর্তী দিন থেকে ই ওয়েব সাইট দুটো মেইন্টেনেন্স মুড করে রাখা হয়। বর্তমানে এই দুটো ওয়েবসাইট এবং সি প্যানেল বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

শেফা ক্লিনিকের আসে পাশের অনেক বাক্তির সাথে কথা বলে জানা যায় আল আমিন এবং শুভ ৬ষ্ট তলায় বসে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতেন তবে তারা টাকার হিসেব করতেন না, তারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার এর হিসাব করতেন বলে আমাদের কে জানান হাসান নামের এক ব্যাক্তি । প্রতিদিন বসতো মাদক সেবন এর আসর। যাদের কে সন্দেহের চোখে দেখতেন আল আমিন তাদের গোপনে মাদক সেবনের ভিডিও ধারন করে রাখতেন আল আমিন এবং শুভ। তেমন কিছু ভিডিও এসেছে আমাদের হাতে। আরও জানা যায় সৈকত নামের ঐ ঔষধ কোম্পানির ম্যানেজারের ভাড়াকৃত ফ্লাট বাসায় আড্ডা বসতো এবং সৈকতের সামান্য একটি বিষয় নিয়ে তাকে উলঙ্গ করে অমানুষিক নির্যাতন এবং মাদক সেবন করিয়ে ভিডিও ধারন করে রেখেছেন আল আমিন এবং শুভ গ্যাং। একই বিল্ডিং এর পঞ্চম তলায় ভাড়া থাকেন আল আমিন এর বোন। বিশেষ সুত্রে জানা যায় আল আমিন এর বোনের সাথে বরগুনা জর্জ কোর্টের অনেক কর্মকর্তার সাথে ই সক্ষতা আছে বলে এমন তথ্য ও আমাদের হাতে এসেছে।

লোন স্ক্যামিং এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে বিকাশ লিমিটেড বরগুনা ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের ডিএসও আমিনুল ইসলাম রাকিব, মেহেদী হাসান ও আসিফ রায়হান পান্থকে সতর্ক করে কারন দর্শানোর নোটিশ দেন হাউজের ম্যানেজার মিঠুন চন্দ্র রায়। এঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন ও ফ্রিল্যান্সার শুভ।

বিকাশ লিমিটেড এর বরগুনা ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের অপর এক ডিএসও আসিফ রায়হান পান্থ অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, শুধু লোন স্ক্যাম নয়, এখান থেকে অনলাইন ক্যাসিনোর পেমেন্ট লেনদেনও হয়ে থাকে। এসব কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন ওই এজেন্ট পয়েন্টের বর্তমান ম্যানেজার মিঠুন চন্দ্র রায়। পান্থের দাবি, ম্যানেজারের কাছে এখনও তিনটি এজেন্ট সিম রয়েছে, এর মধ্যে একটি ‘মিঠুন ফ্যাশন’ নামে সক্রিয় আছে অন্য দুটো সিম সম্পর্কে কোন ধারনা নেই পান্থের তবে সিম দুটো আমতলী উপজেলাতে পাঠিয়েছেন বর্তমান ম্যানেজার মিঠুন।

তিনি আরও জানান, একবার আল-আমীনের ১ লাখ ১০ হাজার টাকা আটকে দেন ডিএসও পান্থ ও মেহেদী। এ বিষয়ে ম্যানেজারকে অবগত করা হলেও পরে সিমটি পুনরায় সক্রিয় করেন দেন ম্যানেজার মিঠুন চন্দ্র রায়। তবে সে নিজেকে নিরপরাধ দাবি করলে ও সব থেকে বড় লেনদেন গুলো সে নিজে ই করতো। পান্থর নিজের ফ্যামিলির সদস্যদের নামে ও বিকাশ এজেন্ট সিম তৈরি করে তা দিয়ে চালাতেন অবৈধ লেনদেন।

পান্থ , ডিএসও, বরগুনা বিকাশ পয়েন্ট

এই সকল অভিযোগের বিষয় গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায় ডিএসও মেহেদী হাসান এবং নিজেকে বর্তমানে আড়াল করে রেখেছেন।

মেহেদী হাসান, ডিএসও ,বরগুনা বিকাশ পয়েন্ট

বিকাশ লিমিটেড বরগুনা ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের ডিএসও আমিনুল ইসলাম রাকিব ও আসিফ মাহমুদ পান্থের দেওয়া তথ্যমতে, নিছা টেলিকম, রবিউল টেলিকম, হাসিনা, তানজিলা এন্টারপ্রাইজ, রাফিন ভ্যারাইটিজ ষ্টোর, মোল্লা টেলিকমসহ আরো বেশ কয়েকটি বিকাশ এজেন্ট একাউন্টে লোনস্ক্যামের প্রায় ২ কোটি বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এছাড়াও সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরিচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ মনসাতলী এলাকার মেমার্স লিখন ষ্টোরের নামে থাকা এজেন্ট একাউন্টেও স্ক্যামের টাকা লেনদেন করেছে চক্রটি। লিখন ষ্টোরের স্বত্বাধিকারী বিকাশ চন্র শীলের সাথে কথা হলে তিনি অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য ভারতে থাকার সুবাদে বিকাশ অফিসের লোক এসে দোকান থেকে এজেন্ট সিমটি নিয়ে যায়। পরে তারা কি করেছে তা আমি জানি না। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসার কিছুদিন পরে আমার দোকানের নামে এজেন্ট একাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে মর্মে একটি চিঠি ইস্যু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

অর্নব নামের এক জনৈক ব্যাক্তি বিকাশ লিমিটেড এর বরগুনা ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের টিএম জাহিদ হাসান এবং ম্যানেজার মিঠু চন্দ্র রায় অনলাইন জুয়ার এজেন্ট মোটা অংকের টাকা উৎকোচের বিনিময়ে খুলে দেন মর্মে প্রতিবেদকের মুঠোফোনে খুদে বার্তা দিয়ে অভিযোগ করে বলে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী এজেন্ট দেওয়ার আগে আগ্রহী ব্যক্তির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভিজিট করতে হবে এবং আগ্রহী ব্যক্তিকে ডিস্ট্রিবিউশন হাউজে নিয়ে এসে ট্রেনিং করাতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভূয়া এজেন্ট খুলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা (টিএম ও ম্যানেজার)।

বিকাশ লিমিটেড বরগুনা ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের ম্যানেজার মিঠু চন্দ্র রায় বলেন, লোনক্স্যামিং কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে বরগুনা ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের তিন ডিএসও আমিনুল ইসলাম রাকিব, আসিফ রায়হান পান্থ ও মেহেদী হাসানকে সতর্ক করে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। এঘটনায় তার জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকেও অপরাধী দাবি করেন তিনি। পরবর্তীতে এই বিষয় তথ্য সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন করার আগে বিরক্ত হয়ে বলেন আমি এই সম্পর্কে কিছু জানি না। তবে আমরা জানতে পারি বরগুনা বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টের কম্পিউটার অপারেটর সুজন বিকাশের লেনদেন বিষয়ক টেকনিক্যাল যাবতীয় সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট করতেন। এর বাহিরে ও বিকাশে কর্মরত একটি গ্রুপ হ্যাকার দের কাছে এজেন্টদের তথ্য দিতেন।

মিঠূন, ম্যানেজার, বরগুনা বিকাশ পয়েন্ট

বিকাশ লিমিটেড বরগুনা ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের পরিচালক সিবা’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। এমনি তাকে ক্যামেরার সামনে না আনতে অনুরোধ করেন তিনি। তিনি জানান বিকাশ হেড অফিস থেকে তাকে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে এবং রুক্সানা আক্তার মিলা নামের এক বিকাশ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত আল-আমিনের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার পরিবারের লোকজন এবিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবী করেন। 

এই সকল বিষয় বিকাশে কর্মকর্তা রুক্সানা আক্তার মিলা (General Manager, PR & Media Relations, Corporate Communications, & PR, Communications) তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক কে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনার কোন কিছু জানার ইচ্ছে থাকলে আমাদের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করতে হবে।

তার কথা বলার ভঙ্গিমায় ফুটে উঠে সাংবাদিকদের তিনি পকেটে রাখেন। পৃথিবীতে টাকা ই যখন সকল শান্তির ধারক ও বাহক হিসেবে ধরা হয় তখন এমনটা মনে করা ই স্বাভাবিক। তবে কালো কে কালো এবং সাদা কে সাদা হিসেবে চিনতে পারাটা ও এক ধরনের ঈমানের শিক্ষা।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মুহাম্মাদ শফিউল আলম  বলেন, লোনস্ক্যামিং প্রতারণার বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্যের বিষয় ক্লিয়ার হলে, তাদের ( লোনস্ক্যামিং চক্র) বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অনুসন্ধান চলমান আছে ( ভয়াবহ তথ্য )……………।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button