অপরাধএক্সক্লুসিভগাজীপুরদেশবাংলাদেশবিশ্লেষণমিডিয়াসংগৃহীত সংবাদ

গাসিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ

অফিসে অনিয়মিত, সেবাবঞ্চিত নাগরিকরা

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (গাসিক) অঞ্চল-৩-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা শাহরীন মাধবীর বিরুদ্ধে অফিসে অনিয়মিত উপস্থিতি, সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং দায়িত্বে অবহেলার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নাগরিকরা জানান, সরকারি সেবা নিতে এসে তারা প্রায়ই এই কর্মকর্তার দুর্ব্যবহার ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন, যা নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাহমুদা শাহরীন মাধবী নিয়মিত অফিস করেন না, ফলে জরুরি নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। অফিসে এলেও তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে অমর্যাদাকর আচরণ করেন। একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন আচরণে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে সেবাবঞ্চিত সাধারণ মানুষ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সম্প্রতি এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এক সাংবাদিকের সঙ্গেও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। অনিয়মিত অফিসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি নিয়মিত অফিস করি কিনা, সেটা দেখার দায়িত্ব আপনার না। সেটা দেখবে সিটি কর্পোরেশনের সিইও এবং সচিব।” তিনি সাংবাদিকের পেশাগত পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এবং তার সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমার পার্সোনাল রাইট আছে আমি কার সাথে কথা বলব আর কার সাথে বলব না। যান এখন যা পারেন করেন।”

শুধু আচরণগত সমস্যাই নয়, তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক দায়িত্বে অবহেলারও অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীর মতে, অঞ্চল-৩-এর অধীন মহাসড়ক ও শাখা সড়কগুলোতে ময়লার স্তূপ জমে থাকলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেন না। এ ছাড়া, এলাকার খালগুলো বেদখল হয়ে গেলেও তা উদ্ধারে তার কোনো উদ্যোগ নেই। ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানেও তিনি কালক্ষেপণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, তার অফিসের পরিবেশও বিশৃঙ্খল। প্রায়ই বিভিন্ন কর্মকর্তার চেয়ার খালি থাকে এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ বাদ দিয়ে গল্পে মশগুল থাকেন, যা দেখার কেউ নেই।

এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি এবং তিনি মুঠোফোনেও সাড়া দেননি। সিটি কর্পোরেশনের এই কর্মকর্তার এমন আচরণে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে এবং কর্মকর্তার জবাবদিহিতা আদায়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সমাজের সচেতন মহল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button