মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ, গ্রেফতার ৩ — আহত ৫

চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে বারেক গংয়ের নৌ চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পাশের মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডে চাঁদাবাজি আটকাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় তিনজন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার এবং তিন পুলিশসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে মেঘনার চালিভাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা নিয়মিত টহলের সময় নদীতে চাঁদাবাজির খবর পেয়ে অভিযানে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বারেক গংয়ের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ নৌ চাঁদাবাজ দল বালুবাহী বাল্কহেড থেকে চাঁদা আদায় করছিল। খবর পেয়ে নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চাঁদাবাজরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের তিন সদস্য ও বাল্কহেডের দুইজন স্টাফসহ পাঁচজন আহত হন আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে চালিভাজ্ঞা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে রানা প্রধান (২৪) পিতা বারেক প্রধান, সাজ্জাদ (২০) (পিতা রুপ মিয়া সরকার) ও আরিফ ২৮ (পিতা হানিফা)—এই তিনজনকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয়রা জানান, মেঘনা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে বারেক প্রধানের নেতৃত্বে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি চলে আসছে। বিশেষ করে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে এই চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বিএনপি নামধারী বারেক গংয়ের নেতৃত্বে যুবলীগের পরিচয়ে থাকা , টিটু সরকার, জুয়েল সরকার,
আমজাদ ৪০/পিতা সোনা মিয়া, রাজু মিয়া ২৮/পিতা মজনু মিয়া
রুবেল ৩০/পিতা আতশ মিয়া,পারভেজ ২৫/পিতা সোবহান সরকার,ওয়াসিম ৩৫/পিতা মোতালেব প্রধান, সানি সরকার২৩/পিতা সোবহান সরকার,খাজা মিয়া ৩০/পিতা জুলহাস মিয়াসহ
একদল সন্ত্রাসী মিলে একটি নৌ চাঁদাবাজ বাহিনী গড়ে তোলে।
প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা চাঁদা তোলা ছাড়াও এরা রাতের বেলায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এর আগে কিছুদিন আগে সেনাবাহিনীর একটি টিম রাতের বেলায় অভিযান চালিয়ে কয়েকজন নৌ চাঁদাবাজকে আটক করলেও, বারেক গংয়ের সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গ্রেফতারকৃতদের ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
চালিভাজ্ঞা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজম হোসেন জানান, “ঘটনার বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”



