রাজধানীতে বেপরোয়া চালকের তাণ্ডব: প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে হেনস্তা

কাওলায় ভোরের নিস্তব্ধতা ভেঙে অকারণে হর্ণ, হতবাক এলাকাবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কাওলার গোয়ালবাড়ি মাদ্রাসা রোড এলাকায় এক প্রাইভেটকার চালকের বেপরোয়া আচরণ ও ঔদ্ধত্যে ভোরের শান্ত পরিবেশ মুহূর্তেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ওঠে। অকারণে উচ্চস্বরে হর্ণ বাজানোর প্রতিবাদ করায় এক সাংবাদিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার মতো গুরুতর ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা যখন নিরিবিলি রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে একটি দ্রুতগতির প্রাইভেটকার পেছন থেকে এসে ক্রমাগত হর্ণ বাজাতে শুরু করে। আকস্মিক এই কর্ণভেদী শব্দে মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ভয় পেয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হন।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সাংবাদিক গাড়িচালকের এমন আচরণের প্রতিবাদ করে বলেন, “ভাই, এভাবে হর্ণ না বাজালেও চলত, দেখুন একজন মুরুব্বি ভয় পেয়েছেন।” কিন্তু কথা শেষ না হতেই চালক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং ওই সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি সাংবাদিকের গলা চেপে ধরে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন।
আহত অবস্থায় ওই সাংবাদিক বলেন, “আমি আমার সাংবাদিক পরিচয় দিইনি, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে প্রতিবাদ করেছিলাম। শুধুমাত্র শান্তভাবে কথা বলার জন্য আমাকে এমন ভয়ঙ্কর আক্রমণের শিকার হতে হলো, যা সম্পূর্ণ অমানবিক।”
ভোরবেলার এই আকস্মিক ও উশৃঙ্খল ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক বাসিন্দা বলেন, “সকালের এমন শান্ত পরিবেশে এ ধরনের হট্টগোলে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই। মনে হচ্ছিল পুরো এলাকাতেই ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।”
ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত সাংবাদিককে প্রাথমিক সেবা দিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেন। তারা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আমরা চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং দোষী চালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ঔদ্ধত্য দেখানোর সাহস না পায়।”



