ছাত্রদল নেতা মোসাদ্দেক হাসান ফালুর স্বরণ সভায় ডা. শাহাদাত হোসেন

এম এ মান্নান : ডাকসু-জাকসুর নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ডাকসু ও জাকসুর নির্বাচন শেষ হয়েছে, চাকসুর নির্বাচন সামনে।
এই নির্বাচনগুলো জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না, ইনশাল্লাহ। বিএনপি সবসময় মানুষের জন্য কাজ করেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সবসময় মানুষের অধিকার, স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রের কথা বলেছেন। তারেক রহমান ৩১ দফাতে বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের কথা বলেছেন। তিনি প্রত্যেক সেক্টরকে স্পর্শ করেছেন। আমাদের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম ও সততার কথা মানুষ মনে রেখেছে। এজন্য এখনো দেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।
তিনি শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর লালদিঘীর পাড় চসিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোসাদ্দেক হাসান ফালুর ৬ষ্ট মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ সাবেক ছাত্রদল ফোরামের উদ্যোগে স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি তাঁর বক্তব্যে মরহুম মোসাদ্দেক হাসান ফালুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। অনুষ্ঠানে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
তিনি বলেন, যারা হাজার হাজার ছাত্রজনতাকে হত্যা করেছে, তাদের শিকড় এখনও রয়ে গেছে। এজন্যই আজও মিছিল হচ্ছে। শিকড় যদি না থাকতো, এই মিছিল কখনো হতো না, কারণ এদের কোনো বড় নেতা নেই। কিন্তু তারা এখনো সাহস করছে। নিশ্চয়ই কোনো অদৃশ্য শক্তি তাদের পেছনে কাজ করছে। আমরা জানতে চাই, এই অদৃশ্য শক্তি কারা। প্রশাসনকে অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করার জন্য বলছি।
মেয়র বলেন, দুঃখের বিষয়, এখনও বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। কিন্তু যারা অস্ত্র লুট করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়নি।
তবে কিছু বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমরা জানি, কারা চাঁদাবাজি করছে। যারা এখনো দেশে আছে, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের তারা বিভিন্ন মানুষের আশ্রয় নেয়ার পাশাপাশি চাঁদাবাজি করছে।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আবু বক্কর সিকদার ও মহসিন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ইয়াকুব আলী সিফাতের পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আহবায়ক কমিটির সদস্য খোরশেদুল আলম, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, আজম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন ঢেপটী, ইসমাইল বালি, জাফর আহমেদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম হোসাইনী, কেন্দ্রীয় মহিলাদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি,
কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন। বক্তব্য রাখেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপি নেতা আবু মুছা, জসিম উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, মহসিন কবির আপেল, আলিফ উদ্দিন রুবেল, নজরুল ইসলাম, বশিরুল ইসলাম পলাশ, আবদুল্লাহ আল সোনামানিক, এড. জসিম উদ্দিন হিমেল, রাশেদুল আলম, রেজাউল করিম, দিদারুল আলম, কামরুল কুতুবী, নুরুল কবির, সালাউদ্দীন কাদের আসাদ, জহির উদ্দিন বাবর, মো. আনাস, মাহমুদুর রহমান বাবু, মো. ইউনুস, গিয়াস উদ্দিন সারজিল, জুনাইদ রাসেল, মামুন এলাহী, শরিফুল ইসলাম আবির, জহুর আলম প্রমূখ।



