
আরিফুজ্জামান হেলাল, স্টাফ রিপোর্টার: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পুলিশের ভাল কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে পুলিশ সদস্যদের কাজে ফিরিয়ে আনা, পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার জন্য সংস্কার কমিশন গঠন করা, এবং পুলিশি কর্মকাণ্ডে জবাবদিহিতা, পেশাদারিত্ব ও মানবিকতা বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করা। এই কাজগুলো পুলিশকে জনবান্ধব করে তুলতে এবং জনগণের আস্থা অর্জনে সহায়তা করার লক্ষ্যে করা হয়েছে।
পুলিশ সদস্যদের কাজে ফিরিয়ে আনা
গণঅভ্যুত্থানের পর হতাশাগ্রস্ত পুলিশ সদস্যদের কাজে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যা একটি বড় সফলতা বলে বিবেচিত হচ্ছে।
পুলিশ সংস্কার
পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত এবং পেশাদার করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
এই কমিশন বল প্রয়োগ, আটক, তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের মতো বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ করেছে।
পুলিশের প্রশিক্ষণ আধুনিক ও যুগোপযোগী করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। জবাবদিহিমূলক বাহিনী গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা এবং অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আলাদা কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
জনবান্ধব ও মানবিক পুলিশি ব্যবস্থা
পুলিশকে আরও জনবান্ধব ও মানবিক হিসেবে গড়ে তোলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ আরও দক্ষ, দায়িত্বশীল এবং জনবান্ধব হয়ে উঠবে এমন প্রত্যাশা করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের তাদের কর্তব্য পালনে আরও বেশি মানবিক এবং জনগণের প্রতি নিবেদিত হতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাজ
থানায় জিডি রেকর্ড, মামলা রুজু, তদন্ত এবং ভেরিফিকেশনের মতো কাজগুলো আরও সহজ ও কার্যকর করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
র্যাবে সামরিক কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করার সুপারিশ করা হয়েছে। পুলিশকে আরও বেশি মানবিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পদক্ষেপগুলো পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনসেবায় শতভাগ সফলতা আনতে, পুলিশকে বিশেষ বিবেচনায় কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি সফ্টকর্ণারনা রেখে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, শতভাগ জনকল্যাণমুখী অবস্থানে থেকে, জনগণের প্রকৃত সেবকের দায়িত্বপালন করে যেতে হবে।



