
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের খাদিমপাড়া ২ নম্বর রোডের ভেতরে ৯ নম্বর উপজাতি কুলি বস্তি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় একটি চক্র সরকারি খাস জমি দখল, টিলা কাটা ও অবৈধভাবে বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, চক্রটির সঙ্গে সাবেক বাগান কর্তৃপক্ষের ম্যানেজার শামীম কোরেশী, তার চৌকিদার ছাত্তার মিয়া গং, সাবেক মৃত চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ, তার ভাই সাবেক মৃত সেলিম আহমদ, সাবেক মেম্বার মলন মিয়া, এবং সাবেক যুবলীগ নেতা ও ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম—সহ একাধিক ব্যক্তি জড়িত আছেন।
এ ছাড়া, সাদিকুর রহমান নামে এক ঠিকাদার, সৈয়দপুর এলাকার বাসিন্দা, টিলা কাটার কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে এই অবৈধ কার্যক্রমে লিটন মিয়া, প্রদীপ, নীখিল মোড়া, বীরবল মোড়া, শুকুর আলী, আজাদ মিয়া, মিন্টু মোড়া, চিটু মোড়া, কুরেশ মোড়া, সাবেক জনপ্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন আনু মেম্বার, চামেলীবাগ, মোহাম্মদপুর ও খাদিমপাড়া এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন।
এদের সহযোগিতায় সিরাজ মিয়া, খোকন মিয়া, রুকন মিয়া, ইয়াবা ও সুদের ব্যবসায়ী পারভেজ ও উমর আলী গং সহ আরও অনেকেই সক্রিয় বলে জানা গেছে।
অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, এই চক্রটি বিভিন্ন সময়ে সরকারি খাস জমি ও খাদিম চা-বাগানের জায়গা জবরদখল করে ‘বস্তি এলাকা’ হিসেবে পরিচিত করে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে অনুমোদনবিহীন বিক্রি-বাট্টা চালাচ্ছে। মামলার ভয় দেখিয়ে তারা নিজেদের ফায়দা হাসিল করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন ও অপরাধ বিচিত্রা সিলেট জেলা শাখা থেকে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।



