১৯৭৭ সালের ২২ ডিসেম্বর সরকার জাতীয় প্রেসক্লাবের অনুকূলে এ জায়গাটি বরাদ্দ দেন। ১৯৭৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং এর সমুদয় ব্যয়ভার সরকার বহন করে। জাতীয় প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের একটি প্রফেশনাল ক্লাব হলেও বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় এবং স্বৈরশাসনের দুঃসহ দিনগুলিতে প্রেসক্লাবই হয়ে উঠেছিল আন্দোলন ও সংগ্রামের কেন্দ্রস্থল। ঠিক তেমনি ২০২৪ সালের ১৬ জুন থেকে স্বৈরাচারি সরকারে বিরুদ্ধেও আন্দোলন সংগ্রামের মুল কেন্দ্রস্থল ছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব ।
মোঃ হুমায়ুন কবির: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি ) ১৯৭৭ সাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব নিয়ন্ত্রন করা শুরু করে । ভবন নির্মান ও লোগা এবং প্রতিক নির্বাচন ১৯৯৫ সালে বিএনপির সমার্থকদের ইচ্ছায় হয়। এই ১৯৭৭ সাল থেকে বিএনপির দলের সমর্থীত সাংবাদিকদের হাতে জাতীয় প্রেস ক্লাব ৯০ % নিয়ন্ত্রন থাকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত । অথচ সদস্য পদ দিতে তারা প্রতি বছরই গরিমসি করেছেন। অপরদিকে নানান ধরনের অযুহাত নিয়মনীতির ভিতরে সিমাবদ্ধ করে সদস্য পদ দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। যার ফলে সদস্যর সংখ্যা বিএনপির ও অন্য দল সমুহের কম হয়েছে। আর অন্য দল বলতে আওয়ামী-লীগ সাংবাদিকগন কমিটিতে কম থাকায় বা না থাকায় তেমন প্রতিবাদ করতে পারে নাই তারা মুখ বুঝে এরা যা বলছে তা সহ্য করছে। হয়তো বিএনপির নেতারা নিজেদের আদর্শ ও গুনাবলীকে এতই সুক্ষ্য মনে করতেন যে তারা যা করেন তা অন্যরা কেহ কিছু বুঝে না। অথচ তারা সব বুঝেও নিরব ভুমিকা পালন করতেন। ক্ষমতাধর সাংবাদিকদের কর্মকান্ডের ফলে বিএনপির ও আওয়ামীলীগের কিছু সাংবাদিকদের মাঝে প্রতিহিংসা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হতে থাকে। যাহা তারা নিজেরা পরিমাপ করতে পারে নাই। এর ফলে নিজেদের মাঝে দ্বিখন্ডীত হয়ে যায়। বিএনপির একাংশ আওয়ামীলীগের সাথে যোগ দিয়ে সদস্যপদ নেন। কারন ক্ষমতাধর বিএনপির নেতারা তখনও তাদের চামচা বা তেলমালিশ ব্যক্তি ছাড়া দুই একজন ব্যতিত সদস্য পদ দিতেন না, বিধায় তারা ক্ষোভ ঝাড়েন। এই বিএনপির নিয়ন্ত্রনে থাকায় আওয়ামী-লীগ পন্থীরাও কেহ সদস্য পদ পায় নাই সবার ভিতরে ভিতরে ক্ষোভ জন্ম নেয়।আওয়ামী-লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় ২০১৭-১৮মেয়াদে আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্যানেল ১৭ টি পদের মধ্যে সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন সহ ১৪টিতেই জয় লাভ করেন। ক্লাবের মাতুব্বারি বিএনপির হাত থেকে ছাড়া হয়ে যায় । এবার তারা পুর্বের ক্ষোভে গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে তাদের দীর্ঘদিনের বঞ্চিত সাংবাদিকদের সদস্য পদ দিতে থকেন। আর বিএনপির মাঝে দলাদলিতে ও চামচা আর তেলমালিশদের কারনে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে যায়।এর ফলে বেশ কিছু হিম্মতওয়ালা বা সাংবাদিগতার বর্ষীয়ান নেতা কর্মীদের ক্লাবের সদস্য পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। এতে বিএনপির সদস্যর পদ আরও কমে যায়্। বিএনপির একত্রীত শক্তি নরবরে হয়ে যায়। আওয়ামীলীগের সদস্য পদ যা দিয়ে গেছে তা থেকে ২০২৪ এর রাজনৈতিক ও সরকারে পরিবর্তনের কারনে কিছু সদস্য বহিস্কার করেন তবুও বিএনপির চেয়ে তাদের বেশি সদস্য রয়েছে বলে জানা যায়।এরই ফাকে জামায়াত সুযোগ বুঝে তাদের টার্গেট তারা নিরবে গুছিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। তারা তাদের সদস্য পদ দিতে যত প্রকার সাহায্যর দরকার তা করছে । যেমন কম্বলে উকুন হয়েছে ,,ঐ উকুনটাই তারা বেঁচে ফেলছে” কম্বল ফেলে নাই। আর বিএনপি উকুনের জন্য কম্বলটাই ফেলে দিচ্ছে ও চামচাদের অগ্রঅধিকার দিচ্ছে।এর ফলে বিএনপির সদস্য সংখ্যা দিন দিন কমছে আর জামায়াতের সদস্য বাড়ছে।বিএনপি এখনই এমন একটা বিপদের মুখে পরছে জামায়াতের সিদ্ধান্তের বাহিরে তারা কথা বলতে বা কোন কাজের সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না। অপর দিকেতো আওয়ামীলীগ সজাগ আছেই।বিএনপির কিছু নেতাদের সাময়ীক লাভবানের ফলে ও দলাদলিতে আর চামচাদের কানপরামর্শের কারনে প্রেসক্লাবের আগামি দিনের নেতৃত্বের পদ শুন্যের কোঠায় পোছার পালা হয়েছে। সামান্য কয়েকজন নেতা পুরো বিএনপির সমর্থীত সাংবাদিকদের কোলঠাসা করে নিজেরা নিজেদের বড় হিম্মতওয়ালা শক্তিশালী মনে করছেন।আজ ২০/২৫ বছর ইউনিয়নে আছিতো বিএনপি সমর্থীত সাংবাদিক নেতারা নিজস্ব কর্মীদের ভালো সুযোগ সুবিদা দেন না। তারা অন্য দলের কর্মী নেতাদের বেশি মুল্যায়ন করেন । কারন তারা তাকে পকেটেও দেন আবার গন গন সালাম দেন তার কারনে ।আবার বিএনপির সাংবাদিকগন মুখে যা বলেন কাজে তা করেন না, ক্ষতি করেন বেশি। যে পরিস্থিতি সামনে অপেক্ষয় মান দেখতে পারবে সবাই যে , নেতারাই কোলঠাসা হয়ে পরেছেন।যারা বর্তমানে নেতৃত্বে আছেন, পদে আছেন তারা তাদের নিজের কাছে বড় নেতা মনে করেন কিন্তু ক্লাবে যে অন্য দুই দল আছে তাদের কাছে তারা বিড়াল “মামা “!



