ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ফটিকছড়ির সেই শিক্ষা কর্মকর্তা আজিমেল কদর বহাল তবিয়তে
অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: ২০১৯ সালের আলোচিত ঘুষ কেলেঙ্কারিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে আটক হওয়া চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিমেল কদর স্বপদে পুনরায় যোগ দিয়েছেন। তাকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং দুদকের দায়ের করা মামলায় তিনি কারাবাসও করেন। হাইকোর্টের রায়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয় এবং অধিদপ্তর তাকে একই উপজেলায় একই পদে পদায়ন করে। গত ২৩ অক্টোবর তিনি পুনরায় নিজ পদে যোগদান করেছেন। এ ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ ঘুষ গ্রহণের সময় দুদক কর্মকর্তা কর্তৃক হাতেনাতে গ্রেফতার হন আজিমেল কদর। এই ঘটনার পরপরই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরবর্তীতে বিচারিক আদালতে তিনি সাজাপ্রাপ্ত হন। তবে আজিমেল কদর এই সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। উচ্চ আদালত বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে তাকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। দুদকের পক্ষ থেকে এই রায়ের বিরুদ্ধে আর আপিল না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার ফলস্বরূপ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর অধিদপ্তর তাকে পূর্বের কর্মস্থলে, অর্থাৎ ফটিকছড়ি উপজেলাতেই পদায়ন করে।
এই অপ্রত্যাশিত পুনর্বহালকে শিক্ষক সমাজ মেনে নিতে পারছে না। প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ নেত্রী রহিমা বেগম এই প্রসঙ্গে বলেন, “শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতেই আজিমেল কদর দুদকের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং আদালতে সাজাও পেয়েছিলেন। এমন একজন ব্যক্তি কীভাবে আবার একই পদে যোগদান করলেন, তা শিক্ষক সমাজ মানতে পারছে না। অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
পুনরায় কাজে যোগদানের বিষয়ে জানতে চাইলে আজিমেল কদর জাগো নিউজকে বলেন, “হাইকোর্ট আমাকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর মন্ত্রণালয় আমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর অধিদপ্তর আমাকে স্বপদে পদায়ন করে এবং আমি গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যোগদান করেছি।
ঘুষ কেলেঙ্কারির মতো গুরুতর অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়ে বিতর্কিত একজন কর্মকর্তার পুনরায় একই পদে আসীন হওয়াকে কেন্দ্র করে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।



