
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট: সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ২ নম্বর রোডের শেষ প্রান্তে অবস্থিত ৯ নম্বর উপজাতি কুলি বস্তি এলাকা ও আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় সরকারি খাস জমি দখল ও অবৈধভাবে প্লট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, দেবপুর মৌজা জে.এল. নং ৯৬৮১-এর অন্তর্ভুক্ত সরকারী খাস জমি খাদিম চা বাগান কর্তৃপক্ষকে বন্দোবস্ত (লিজ) দেওয়া হয়। সম্প্রতি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সরকারী খাস ভূমির কয়েকটি প্লট উদ্ধার করা হয়। অভিযানে কিছু অবৈধ ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হয় এবং কিছু প্লট সরকারি নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় হয়।
বাগান কর্তৃপক্ষের লিজগ্রহীতা নীনা আফজাল রশিদ চৌধুরী, তার ম্যানেজার আতিকুর রহমান আতিক ও পাহারাদার ঝালু প্রমুখকে বাগানের সীমা রক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং সেখানে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়।

তবে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র বাগানের সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে ওই জমি নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা অনুমোদন ছাড়া স্ট্যাম্পে ক্রয়-বিক্রয় এবং ঘরবাড়ি নির্মাণ করছে। এমনকি সরকারি লিজকৃত চা বাগানের জায়গার গাছ কেটে প্লট বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই অবৈধ দখল ও বেচাকেনার সঙ্গে আনোয়ার হোসেন আনু মেম্বার, তার ছেলে বাবলু, সাবেক বাগান ম্যানেজার শামীম কোরেশী, চৌকিদার ছাত্তার, লিটন মিয়া, প্রদীপ, নির্মল মোড়া, মিন্টু মোড়া, চিটু মোড়া প্রমুখ জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা সংগঠিত লাঠিয়াল বাহিনী ব্যবহার করে এলাকায় ভীতি সৃষ্টি করছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী এই চক্র স্থানীয় লোকজনকে হুমকি, ভয়ভীতি, গুম ও মামলার ভয় দেখিয়ে অবৈধভাবে জমি দখল করছে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের ফায়দা হাসিল করছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো সিলেট জেলা প্রশাসক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন ও অপরাধ বিচিত্রা ক্রাইম তালাশ প্রতিদিনের পক্ষ থেকে অনুরোধ—
দুর্নীতি ও দখলদারিত্ব প্রতিরোধে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক, যাতে সরকারি সম্পদ সুরক্ষিত থাকে এবং একটি দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ে তোলা সম্ভব হয়।



