টুপি নিয়ে ঝগড়ার জেরে গলা কেটে হত্যা

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় এক মাদরাসা ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। জানা গেছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে টুপি পরা নিয়ে নিহত ছাত্রের সঙ্গে অভিযুক্তের ঝগড়া হয়েছিল। এই ঘটনার জের ধরেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রের নাম মো. নাজিম উদ্দিন। তিনি উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন। অপরদিকে, আটক হওয়া অভিযুক্ত ছাত্র আবু ছায়েদ ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসার আবাসিক বিভাগে থেকে নাজিম ২২ পারা এবং ছায়েদ ২৩ পারা পবিত্র কোরআন হেফজ (মুখস্থ) সম্পন্ন করেছেন। প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন আগে টুপি পরা নিয়ে নাজিম ও আবু ছায়েদের মধ্যে ঝগড়া হয়। মাদরাসার একজন শিক্ষক বিষয়টি জানার পর উভয়কে মিটমাট করে দেন। কিন্তু নাজিমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আবু ছায়েদ সোনাইমুড়ী বাজার থেকে তিনশ টাকা দিয়ে একটি ধারালো ছুরি কিনে আনেন।
অন্যান্য দিনের মতোই রোববার রাতে ১৪ জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক মাদরাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে অন্য ছাত্রদের অগোচরে ঘুম থেকে উঠে ছায়েদ, ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা নাজিমের গলা কেটে দেন। এ সময় নাজিমের গলার গোঙরানির শব্দ শুনে একই কক্ষে থাকা ছাত্র ও শিক্ষক জেগে উঠলে ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ভোররাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।



